ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করা জটিল: অফলাইন ম্যান

  • আপডেট সময় : ০১:১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ছয় বছরে একবারও ব্যবহার করেননি কোনো সামাজিক মাধ্যম। আসল নাম ছাপিয়ে তার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে অফলাইন ম্যান। সেই লুক ইয়ং বলছেন, শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা কঠিন হবে। যুক্তরাজ্যের ব্রাইটন শহরের বাসিন্দা লুক ১৮ বছর বয়স থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পুরোপুরি বিদায় দিয়েছেন। ইয়ং বলেছেন, “কেউ যদি স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে একে আসক্তিমূলক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে, তবে আমার ধারণা, অনেকেই গোপনে ম্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করবেন।”
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘প্যারেন্টকাইন্ড’-এর চালানো এক জরিপে উঠে এসেছে, ৫৮ শতাংশ অভিভাবক বিশ্বাস করেন, সরকারের উচিৎ, ১৬ বছরের কম বয়সীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা। যুক্তরাজ্যের এক সরকারি মুখপাত্র বলেছেন, “প্রযুক্তির শিক্ষাগত ও সামাজিক সুবিধা অপরিসীম হলেও, তা শিশু নিরাপত্তার উর্ধ্বে নয়।”
খুব জটিল: ২৪ বছরের তরুণ ইয়ং বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটালে তা সামনাসামনি অন্যদের সঙ্গে মেশার আগ্রহ কমিয়ে দেয়। “সামাজিকীকরণের প্রতিটি ধাপই অনলাইন কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত,” বলেন ইয়ং। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, অনলাইনে থাকার বিষয়টি তাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল, বিশেষ করে এমন ঘরে প্রবেশের সময়, যেখানে অনেক মানুষ আছে। ইয়ং বলেছেন, অফলাইনে আসা তার জন্য ‘খুব কঠিন’ ছিল, বিশেষ করে যখন তিনি ইউনিভার্সিটিতে ছিলেন। ‘বিবিসি রেডিও সাসেক্স’কে ইয়ং বলেছেন, স্মার্টফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ‘জটিল’ হবে। কারণ, যারা স্কুলে ভর্তি হতে চায় তাদের জন্য স্মার্টফোনের বিভিন্ন সুবিধা ‘অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও প্রবল’। ‘প্যারেন্টকাইন্ড’ এ জরিপ চালিয়েছে ইংল্যান্ডের ২৪৯৬ জন স্কুল-বয়সী শিশুর অভিভাবকদের নিয়ে। জরিপে দেখা যায়, ৮৩ শতাংশ অভিভাবকের অনুমান বলছে, স্মার্টফোন শিশু ও তরুণদের জন্য ‘ক্ষতিকর’। ইয়ং বলেছেন, এমন ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি, বিশেষ করে টিনএজাররা কীভাবে অনলাইনে নিরাপদে থাকবেন, তার একটি ‘সঠিক নির্দেশনা’ থাকা উচিৎ। গেল ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্কুলের শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে একটি সরকারি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, একবার ‘অনলাইন সেইফটি অ্যাক্ট’ বা অনলাইন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ শুরু হলে ‘নিজস্ব প্লাটফর্মে বয়স সীমা জারি করার পাশাপাশি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর ও বয়স-অনুপযুক্ত কনটেন্টে প্রবেশ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার” মতো শর্ত পূরণ করতে হবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করা জটিল: অফলাইন ম্যান

আপডেট সময় : ০১:১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : ছয় বছরে একবারও ব্যবহার করেননি কোনো সামাজিক মাধ্যম। আসল নাম ছাপিয়ে তার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে অফলাইন ম্যান। সেই লুক ইয়ং বলছেন, শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা কঠিন হবে। যুক্তরাজ্যের ব্রাইটন শহরের বাসিন্দা লুক ১৮ বছর বয়স থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পুরোপুরি বিদায় দিয়েছেন। ইয়ং বলেছেন, “কেউ যদি স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে একে আসক্তিমূলক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে, তবে আমার ধারণা, অনেকেই গোপনে ম্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করবেন।”
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘প্যারেন্টকাইন্ড’-এর চালানো এক জরিপে উঠে এসেছে, ৫৮ শতাংশ অভিভাবক বিশ্বাস করেন, সরকারের উচিৎ, ১৬ বছরের কম বয়সীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা। যুক্তরাজ্যের এক সরকারি মুখপাত্র বলেছেন, “প্রযুক্তির শিক্ষাগত ও সামাজিক সুবিধা অপরিসীম হলেও, তা শিশু নিরাপত্তার উর্ধ্বে নয়।”
খুব জটিল: ২৪ বছরের তরুণ ইয়ং বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটালে তা সামনাসামনি অন্যদের সঙ্গে মেশার আগ্রহ কমিয়ে দেয়। “সামাজিকীকরণের প্রতিটি ধাপই অনলাইন কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত,” বলেন ইয়ং। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, অনলাইনে থাকার বিষয়টি তাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল, বিশেষ করে এমন ঘরে প্রবেশের সময়, যেখানে অনেক মানুষ আছে। ইয়ং বলেছেন, অফলাইনে আসা তার জন্য ‘খুব কঠিন’ ছিল, বিশেষ করে যখন তিনি ইউনিভার্সিটিতে ছিলেন। ‘বিবিসি রেডিও সাসেক্স’কে ইয়ং বলেছেন, স্মার্টফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ‘জটিল’ হবে। কারণ, যারা স্কুলে ভর্তি হতে চায় তাদের জন্য স্মার্টফোনের বিভিন্ন সুবিধা ‘অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও প্রবল’। ‘প্যারেন্টকাইন্ড’ এ জরিপ চালিয়েছে ইংল্যান্ডের ২৪৯৬ জন স্কুল-বয়সী শিশুর অভিভাবকদের নিয়ে। জরিপে দেখা যায়, ৮৩ শতাংশ অভিভাবকের অনুমান বলছে, স্মার্টফোন শিশু ও তরুণদের জন্য ‘ক্ষতিকর’। ইয়ং বলেছেন, এমন ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি, বিশেষ করে টিনএজাররা কীভাবে অনলাইনে নিরাপদে থাকবেন, তার একটি ‘সঠিক নির্দেশনা’ থাকা উচিৎ। গেল ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্কুলের শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে একটি সরকারি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, একবার ‘অনলাইন সেইফটি অ্যাক্ট’ বা অনলাইন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ শুরু হলে ‘নিজস্ব প্লাটফর্মে বয়স সীমা জারি করার পাশাপাশি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর ও বয়স-অনুপযুক্ত কনটেন্টে প্রবেশ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার” মতো শর্ত পূরণ করতে হবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে।