ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দুই বছরেই উড়ুক্কু ট্যাক্সি দেখা যাবে যুক্তরাজ্যের আকাশে?

  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : দুই বছরের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের আকাশে দেখা যেতে পারে বিশ্বের প্রথম চালকযুক্ত উড়ুক্কু ট্যাক্সি। সম্প্রতি ‘ফিউচার অফ ফ্লাইট অ্যাকশন প্ল্যান’ নামে নিজস্ব পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি)’। এমনকি ২০৩০ সাল নাগাদ চালকবিহীন ট্যাক্সি আনার প্রস্তাবও রয়েছে এতে। এ ছাড়া, বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে এ দশক শেষে ড্রোনের নিয়মিত ব্যবহার ও জরুরী অবস্থায় ড্রোন ডেলিভারি ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ও উল্লেখ রয়েছে এ পরিকল্পনায়।
ডিএফটি’র মতে, এই ‘রোডম্যাপ’-আরও নির্ভুল করে বললে ‘ফ্লাইট’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্ভাব্য মানে দাঁড়ায়, এমন প্রযুক্তির জগতে প্রবেশ করা, যা এক সময় ‘শুধু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতেই সীমাবদ্ধ ছিল’। আর ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ালে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটির অর্থনীতিতে যোগ হবে পাঁচ হাজার সাতশ কোটি ডলারের বেশি। যুক্তরাজ্যের বিমান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অ্যান্থনি ব্রাউন বলেন, “যুগান্তকারী ব্যাটারি প্রযুক্তি যে পরিবহন খাতে বিপ্লব ঘটাবে, তা আমরা সবাই জানি। আর একে বাস্তবে রূপান্তরের জন্য যে ধরনের অবকাঠামো ও নীতিমালা প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করবে এ পরিকল্পনা।”
“উড়ুক্কু ট্যাক্সি থেকে জরুরী সেবার ড্রোন, আমরা নিশ্চিত করছি, পরিবহন খাতের এই নাটকীয় পরিবর্তন, মানুষের জীবনমান উন্নতি ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির বেলায় যুক্তরাজ্য যেন সম্মুখসারীতে থাকে।”
এদিকে, গত বছরের নভেম্বরে একই ধরনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন আটলান্টিক পাড়ের শহর নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস, যেখানে ২০২৫/২৬ নাগাদ শহরের বিভিন্ন এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রীসহ বিদ্যুচ্চালিত এয়ার ট্যাক্সি উড্ডয়ন করানোর লক্ষ্যস্থির করেছেন তিনি। এইসব প্রস্তাবনার সহায়তায় ‘বিয়ন্ড ভিজুয়াল লাইন অফ সাইট (বিভিলস)’ নামের এক ব্যবস্থায় আকাশে উড়তে পারবে বিভিন্ন ড্রোন। ফলে, আকাশের অন্যান্য এয়ারক্রাফটের চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করেই এ খাত বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
পাশাপাশি, বিভিন্ন এমন বিদ্যুচ্চালিত এয়ারক্রাফট, যেগুলো উলম্বভাবে মাটি থেকে উড্ডয়ন করে (ইভিটল এয়ারক্রাফট নামেও পরিচিত), সেগুলোর জন্য ছোট আকারের বিভিন্ন এয়ারোড্রোম নতুনভাবে সাজিয়ে ‘ভার্টিপোর্ট’ হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যও রয়েছে এইসব পরিকল্পনায়। এ ছাড়া, ড্রোন প্রযুক্তির প্রচলিত ব্যবহার বিকাশেও এইসব পরিকল্পনা সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, সহিংস অপরাধ এবং অসামাজিক কার্যকলাপ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের কাউন্টি ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ড্রোন ব্যবহারের ঘটনা।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে দুইজন অপরাধী ও একজন সন্দেহভাজনকে দূর থেকে খুব দ্রুতই সফলভাবে শনাক্ত করেছিলেন একদল ড্রোন ব্যবহারকারী, যেখানে ঘটনাস্থলে কর্মরত অফিসারদের তা ট্র্যাক করতে সময় লাগত কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুই বছরেই উড়ুক্কু ট্যাক্সি দেখা যাবে যুক্তরাজ্যের আকাশে?

আপডেট সময় : ১০:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : দুই বছরের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের আকাশে দেখা যেতে পারে বিশ্বের প্রথম চালকযুক্ত উড়ুক্কু ট্যাক্সি। সম্প্রতি ‘ফিউচার অফ ফ্লাইট অ্যাকশন প্ল্যান’ নামে নিজস্ব পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি)’। এমনকি ২০৩০ সাল নাগাদ চালকবিহীন ট্যাক্সি আনার প্রস্তাবও রয়েছে এতে। এ ছাড়া, বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে এ দশক শেষে ড্রোনের নিয়মিত ব্যবহার ও জরুরী অবস্থায় ড্রোন ডেলিভারি ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ও উল্লেখ রয়েছে এ পরিকল্পনায়।
ডিএফটি’র মতে, এই ‘রোডম্যাপ’-আরও নির্ভুল করে বললে ‘ফ্লাইট’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্ভাব্য মানে দাঁড়ায়, এমন প্রযুক্তির জগতে প্রবেশ করা, যা এক সময় ‘শুধু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতেই সীমাবদ্ধ ছিল’। আর ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ালে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটির অর্থনীতিতে যোগ হবে পাঁচ হাজার সাতশ কোটি ডলারের বেশি। যুক্তরাজ্যের বিমান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অ্যান্থনি ব্রাউন বলেন, “যুগান্তকারী ব্যাটারি প্রযুক্তি যে পরিবহন খাতে বিপ্লব ঘটাবে, তা আমরা সবাই জানি। আর একে বাস্তবে রূপান্তরের জন্য যে ধরনের অবকাঠামো ও নীতিমালা প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করবে এ পরিকল্পনা।”
“উড়ুক্কু ট্যাক্সি থেকে জরুরী সেবার ড্রোন, আমরা নিশ্চিত করছি, পরিবহন খাতের এই নাটকীয় পরিবর্তন, মানুষের জীবনমান উন্নতি ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির বেলায় যুক্তরাজ্য যেন সম্মুখসারীতে থাকে।”
এদিকে, গত বছরের নভেম্বরে একই ধরনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন আটলান্টিক পাড়ের শহর নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস, যেখানে ২০২৫/২৬ নাগাদ শহরের বিভিন্ন এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রীসহ বিদ্যুচ্চালিত এয়ার ট্যাক্সি উড্ডয়ন করানোর লক্ষ্যস্থির করেছেন তিনি। এইসব প্রস্তাবনার সহায়তায় ‘বিয়ন্ড ভিজুয়াল লাইন অফ সাইট (বিভিলস)’ নামের এক ব্যবস্থায় আকাশে উড়তে পারবে বিভিন্ন ড্রোন। ফলে, আকাশের অন্যান্য এয়ারক্রাফটের চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করেই এ খাত বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
পাশাপাশি, বিভিন্ন এমন বিদ্যুচ্চালিত এয়ারক্রাফট, যেগুলো উলম্বভাবে মাটি থেকে উড্ডয়ন করে (ইভিটল এয়ারক্রাফট নামেও পরিচিত), সেগুলোর জন্য ছোট আকারের বিভিন্ন এয়ারোড্রোম নতুনভাবে সাজিয়ে ‘ভার্টিপোর্ট’ হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যও রয়েছে এইসব পরিকল্পনায়। এ ছাড়া, ড্রোন প্রযুক্তির প্রচলিত ব্যবহার বিকাশেও এইসব পরিকল্পনা সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, সহিংস অপরাধ এবং অসামাজিক কার্যকলাপ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের কাউন্টি ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ড্রোন ব্যবহারের ঘটনা।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে দুইজন অপরাধী ও একজন সন্দেহভাজনকে দূর থেকে খুব দ্রুতই সফলভাবে শনাক্ত করেছিলেন একদল ড্রোন ব্যবহারকারী, যেখানে ঘটনাস্থলে কর্মরত অফিসারদের তা ট্র্যাক করতে সময় লাগত কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত।