ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোগীর চাপ কমছে করোনা হাসপাতালে

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২। এক সপ্তাহ আগেও এ হাসপাতালে ভর্তির জন্য করোনা রোগীদের ভিড় লেগে থাকত। দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রোগীর স্বজনরা এ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতেন।
বেড খালি না থাকায় চিকিৎসকরা অন্য হাসপাতালে রেফার করে রোগীদের ফিরিয়ে দিতেন। কিন্তু বর্তমানে ঢামেক হাসপাতাল-২ ছাড়াও অন্য প্রায় সব হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির চাপ খানিকটা কমেছে। তবে মুমূর্ষু করোনা রোগীদের আইসিইউ বেডের সংকট এখনও প্রবল।
গতকাল রোববার ঢামেক হাসপাতালের অনুসন্ধান বিভাগে কর্তব্যরত একজন কর্মকর্তা জানান, গত (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৯ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরপর দুপুর ১টা পর্যন্ত ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা মাত্র ৬ জন।
ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা এত বেশি ছিল যে, বেড খালি না থাকায় নতুন রোগী ভর্তি করা যাচ্ছিল না। হাতেগোনা কিছু মুমূর্ষু রোগী ছাড়া অধিকাংশ রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার বা ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হতো।
রোববার দুপুর ১টার দিকে এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতো লাইন ধরে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে নেই। নেই অক্সিজেন মাস্ক পরিহিত কোনো রোগী। চারদিকে অনেকটা নিরবতা। মাঝে মধ্যে দুই-চারজন রোগী রিলিজ দেয়া হলে তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা প্রাইভেট কারে করে মালপত্র তুলে রোগীকে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। হঠাৎ এক নারীর মরদেহ বের করে আনা হয়। তার স্বজনরা জানান, তিনি করোনায় নন, অন্য রোগে মারা গেছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা সম্পর্কিত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে দেখা গেছে, ১৪ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর সরকারি করোনা ডেডিকেটেড সর্বমোট ১৭টি হাসপাতালে ৪ হাজার ২৭২টি সাধারণ বেডের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৮টি খালি রয়েছে। ৩৮২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ৫৫টি এবং ৪৩৫টি এইচডিইউ-এর মধ্যে ৩৯টি খালি রয়েছে।
এছাড়া বেসরকারি ২৯টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ২ হাজার ৬২টি সাধারণ বেডের মধ্যে ৮৭৮টি, ৫১৮টি আইসিইউয়ের মধ্যে ১৮৫টি এবং ২৬৬টি এইচডিইউয়ের মধ্যে ৯৬টি খালি আছে। রাজধানীতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৪৬টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সর্বমোট ৬ হাজার ৩৩৪টি বেডের মধ্যে ২ হাজার ৬১৬টি, ৯০০টি আইসিইউয়ের মধ্যে ২৪০টি এবং ৭০১টি এইচডিইউ বেডের মধ্যে ১৩৫টি খালি রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রোগীর চাপ কমছে করোনা হাসপাতালে

আপডেট সময় : ০১:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২। এক সপ্তাহ আগেও এ হাসপাতালে ভর্তির জন্য করোনা রোগীদের ভিড় লেগে থাকত। দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রোগীর স্বজনরা এ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতেন।
বেড খালি না থাকায় চিকিৎসকরা অন্য হাসপাতালে রেফার করে রোগীদের ফিরিয়ে দিতেন। কিন্তু বর্তমানে ঢামেক হাসপাতাল-২ ছাড়াও অন্য প্রায় সব হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির চাপ খানিকটা কমেছে। তবে মুমূর্ষু করোনা রোগীদের আইসিইউ বেডের সংকট এখনও প্রবল।
গতকাল রোববার ঢামেক হাসপাতালের অনুসন্ধান বিভাগে কর্তব্যরত একজন কর্মকর্তা জানান, গত (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৯ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরপর দুপুর ১টা পর্যন্ত ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা মাত্র ৬ জন।
ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা এত বেশি ছিল যে, বেড খালি না থাকায় নতুন রোগী ভর্তি করা যাচ্ছিল না। হাতেগোনা কিছু মুমূর্ষু রোগী ছাড়া অধিকাংশ রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার বা ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হতো।
রোববার দুপুর ১টার দিকে এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতো লাইন ধরে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে নেই। নেই অক্সিজেন মাস্ক পরিহিত কোনো রোগী। চারদিকে অনেকটা নিরবতা। মাঝে মধ্যে দুই-চারজন রোগী রিলিজ দেয়া হলে তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা প্রাইভেট কারে করে মালপত্র তুলে রোগীকে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। হঠাৎ এক নারীর মরদেহ বের করে আনা হয়। তার স্বজনরা জানান, তিনি করোনায় নন, অন্য রোগে মারা গেছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা সম্পর্কিত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে দেখা গেছে, ১৪ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর সরকারি করোনা ডেডিকেটেড সর্বমোট ১৭টি হাসপাতালে ৪ হাজার ২৭২টি সাধারণ বেডের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৮টি খালি রয়েছে। ৩৮২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ৫৫টি এবং ৪৩৫টি এইচডিইউ-এর মধ্যে ৩৯টি খালি রয়েছে।
এছাড়া বেসরকারি ২৯টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ২ হাজার ৬২টি সাধারণ বেডের মধ্যে ৮৭৮টি, ৫১৮টি আইসিইউয়ের মধ্যে ১৮৫টি এবং ২৬৬টি এইচডিইউয়ের মধ্যে ৯৬টি খালি আছে। রাজধানীতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৪৬টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সর্বমোট ৬ হাজার ৩৩৪টি বেডের মধ্যে ২ হাজার ৬১৬টি, ৯০০টি আইসিইউয়ের মধ্যে ২৪০টি এবং ৭০১টি এইচডিইউ বেডের মধ্যে ১৩৫টি খালি রয়েছে।