ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

প্রেমিকের সঙ্গে নববধূ, স্বামীর আত্মহত্যা

  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুর সংবাদদাতা : বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় প্রেমিকের সঙ্গে নববধূ চলে যাওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে বিষ খেয়ে স্বামী ইবাদ খান (৩০) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের নববধূর বাবার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার (১৩ মার্চ) বাদ আসর নিজ বাড়ির কবরস্থানে ইবাদ খানকে দাফন করা হয়। মৃত ইবাদ খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা বেগম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খানের ছেলে। তিনি একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মার্কেটিংয়ে চাকরি করতেন। পলাতক নববধূ খাদিজা আক্তার বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর শাখার পরিদর্শক পাইলট দিদারুল আলমের মেয়ে। স্থানীয়রা জানায়, ইবাদ খানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে গত ৭ মার্চ খাদিজা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত ১১ মার্চ নববধূ খাদিজা আক্তার স্বামীর বাড়িতে আসার কথা থাকলেও সে অসুস্থ দাবি করে পরদিন মঙ্গলবার যাবেন বলে জানান। কিন্তু সোমবার রাতেই খাদিজা তার প্রেমিকের কাছে চলে যান। এ ঘটনার পর ১২ মার্চ শ্বশুরবাড়িতে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ইবাদ ইঁদুর মারা বিষ খান। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ইবাদের মৃত্যু হয়। ইবাদ খানের বোন ইফতি বলেন, গত ৭ মার্চ আমার ভাইয়ার বিয়ে হয়। ভাবির অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তার প্রেমের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তবে বিয়ের পর প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হয়। গত সোমবার ভাইয়া-ভাবি আমাদের বাড়িতে আসার কথা ছিল। ওই রাতে ভাবি তার প্রেমিকের কাছে চলে যায়। এ ঘটনায় ভাইয়া বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে খাদিজা আক্তারের বাবা বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর শাখার পরিদর্শক পাইলট দিদারুল আলম মোবাইল ফোনে বলেন, মেয়ে কোথায়, কী কারণে গেছে আমার জানা নেই। জামাই কী কারণে আত্মহত্যা করছে তাও আমি জানি না। আমি অসুস্থ। পরে কথা বলব। চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, ইবাদ শ্বশুরবাড়িতে মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার মৃত্যুর বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। স্ত্রী বিয়ের পাঁচদিনের মাথায় প্রেমিকের সঙ্গে নববধূ চলে যাওয়ার কারণে ইবাদ আত্মহত্যা করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ইবাদের পরিবার এখন পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে তারা অভিযোগ করবে বলে জানিয়েছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রেমিকের সঙ্গে নববধূ, স্বামীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ১১:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

চাঁদপুর সংবাদদাতা : বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় প্রেমিকের সঙ্গে নববধূ চলে যাওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে বিষ খেয়ে স্বামী ইবাদ খান (৩০) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের নববধূর বাবার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার (১৩ মার্চ) বাদ আসর নিজ বাড়ির কবরস্থানে ইবাদ খানকে দাফন করা হয়। মৃত ইবাদ খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা বেগম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খানের ছেলে। তিনি একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মার্কেটিংয়ে চাকরি করতেন। পলাতক নববধূ খাদিজা আক্তার বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর শাখার পরিদর্শক পাইলট দিদারুল আলমের মেয়ে। স্থানীয়রা জানায়, ইবাদ খানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে গত ৭ মার্চ খাদিজা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত ১১ মার্চ নববধূ খাদিজা আক্তার স্বামীর বাড়িতে আসার কথা থাকলেও সে অসুস্থ দাবি করে পরদিন মঙ্গলবার যাবেন বলে জানান। কিন্তু সোমবার রাতেই খাদিজা তার প্রেমিকের কাছে চলে যান। এ ঘটনার পর ১২ মার্চ শ্বশুরবাড়িতে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ইবাদ ইঁদুর মারা বিষ খান। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ইবাদের মৃত্যু হয়। ইবাদ খানের বোন ইফতি বলেন, গত ৭ মার্চ আমার ভাইয়ার বিয়ে হয়। ভাবির অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তার প্রেমের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তবে বিয়ের পর প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হয়। গত সোমবার ভাইয়া-ভাবি আমাদের বাড়িতে আসার কথা ছিল। ওই রাতে ভাবি তার প্রেমিকের কাছে চলে যায়। এ ঘটনায় ভাইয়া বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে খাদিজা আক্তারের বাবা বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর শাখার পরিদর্শক পাইলট দিদারুল আলম মোবাইল ফোনে বলেন, মেয়ে কোথায়, কী কারণে গেছে আমার জানা নেই। জামাই কী কারণে আত্মহত্যা করছে তাও আমি জানি না। আমি অসুস্থ। পরে কথা বলব। চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, ইবাদ শ্বশুরবাড়িতে মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার মৃত্যুর বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। স্ত্রী বিয়ের পাঁচদিনের মাথায় প্রেমিকের সঙ্গে নববধূ চলে যাওয়ার কারণে ইবাদ আত্মহত্যা করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ইবাদের পরিবার এখন পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে তারা অভিযোগ করবে বলে জানিয়েছে।