ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

চিনি ও রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে নকল ট্যাং, হাতেনাতে ধরা

  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্বাস্থ্যকর উপায়ে কাপড়ের রং আর চিনি মিশিয়ে নকল ট্যাং তৈরির সময় আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালস নামে একটি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। অভিযানে অবৈধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ট্যাং, চানাচুর, ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের সময় হাতেনাতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পূর্ব বাড্ডা আলিফনগর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে বিএসটিআই। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল হক। অভিযান প্রসঙ্গে রেজাউল হক বলেন, আমরা গোপন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালসের কথা জানতে পারি। আজ অভিযানে এসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ট্যাং, চানাচুর, ডিটারজেন্ট, মটর ভাজাসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করতে দেখি। আমাদের কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে, এখানে উৎপাদিত কোনো পণ্যই খাওয়া বা ব্যবহার উপযোগী নয়।
তিনি বলেন, আমরা সোমবার আমাদের একটি টিমকে গোপনে পাঠাই, তারা এসে প্রতিষ্ঠানটি শনাক্ত করে যায়। তারা অনেক আগে দুই/তিনটি পণ্য তৈরির অনুমোদন নিয়েছিল। সেই মেয়াদও ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তখন থেকেই ২/৩টির অনুমোদন নিয়ে তারা পণ্য তৈরি করছিল ৭/৮টি, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। রেজাউল হক বলেন, এখানে ভয়াবহ আরেকটি বিষয় পেয়েছি। তারা একইসঙ্গে সফট ড্রিংকস ও চানাচুর তৈরির পাশাপাশি একই জায়গায় ডিটারজেন্ট-হারপিকও তৈরি করছিল। যা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মালিক রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বড় প্রস্তুতি নিয়ে রাতদিন ট্যাং তৈরি করছিল। আমরা মনে করছি, এই ট্যাং যদি কেউ খায় তাহলে তার পেটের পীড়া থেকে শুরু করে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ট্যাংয়ে তারা যে রংটি ব্যবহার করছে সেই রংয়ের কোথাও ফুডগ্রেড উল্লেখ ছিল না। তার মানে তারা কাপড়ের রং ব্যবহার করছিল বলে আমাদের ধারণা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চিনি ও রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে নকল ট্যাং, হাতেনাতে ধরা

আপডেট সময় : ১২:৫৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্বাস্থ্যকর উপায়ে কাপড়ের রং আর চিনি মিশিয়ে নকল ট্যাং তৈরির সময় আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালস নামে একটি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। অভিযানে অবৈধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ট্যাং, চানাচুর, ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের সময় হাতেনাতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পূর্ব বাড্ডা আলিফনগর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে বিএসটিআই। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল হক। অভিযান প্রসঙ্গে রেজাউল হক বলেন, আমরা গোপন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালসের কথা জানতে পারি। আজ অভিযানে এসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ট্যাং, চানাচুর, ডিটারজেন্ট, মটর ভাজাসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করতে দেখি। আমাদের কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে, এখানে উৎপাদিত কোনো পণ্যই খাওয়া বা ব্যবহার উপযোগী নয়।
তিনি বলেন, আমরা সোমবার আমাদের একটি টিমকে গোপনে পাঠাই, তারা এসে প্রতিষ্ঠানটি শনাক্ত করে যায়। তারা অনেক আগে দুই/তিনটি পণ্য তৈরির অনুমোদন নিয়েছিল। সেই মেয়াদও ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তখন থেকেই ২/৩টির অনুমোদন নিয়ে তারা পণ্য তৈরি করছিল ৭/৮টি, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। রেজাউল হক বলেন, এখানে ভয়াবহ আরেকটি বিষয় পেয়েছি। তারা একইসঙ্গে সফট ড্রিংকস ও চানাচুর তৈরির পাশাপাশি একই জায়গায় ডিটারজেন্ট-হারপিকও তৈরি করছিল। যা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মালিক রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বড় প্রস্তুতি নিয়ে রাতদিন ট্যাং তৈরি করছিল। আমরা মনে করছি, এই ট্যাং যদি কেউ খায় তাহলে তার পেটের পীড়া থেকে শুরু করে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ট্যাংয়ে তারা যে রংটি ব্যবহার করছে সেই রংয়ের কোথাও ফুডগ্রেড উল্লেখ ছিল না। তার মানে তারা কাপড়ের রং ব্যবহার করছিল বলে আমাদের ধারণা।