ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

স্পটিফাই মামলায় ইউরোপে ২০০ কোটি ডলার জরিমানা অ্যাপলের

  • আপডেট সময় : ১০:১৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : নিজস্ব অ্যাপ স্টোরে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অভিযোগে ইউরোপে ১৮৪ কোটি ইউরো (দুইশ কোটি ডলার) জরিমানার মুখে পড়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল। ইইউ’র নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটির প্রথম জরিমানার ঘটনা এটি। এর মধ্যে প্রাথমিক চার কোটি ইউরো’র জরিমানা ধার্য হয় প্রতিরোধক হিসেবে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যান্টিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রথম নজির। গত বছর সুইডিশ স্ট্রিমিং সেবা স্পটিফাই ও অন্যান্য সেবার ব্যবহারকারীদেরকে অ্যাপ স্টোরের বাইরের অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট তথ্য না জানানোর অভিযোগে অ্যাপলকে জরিমানা করেছিল ইউরোপীয় কমিশন। ২০১৯ সালে মামলাটি দায়ের করেছিল স্পটিফাই নিজেই। গেল সোমবার কোম্পানিটি বলেছে, অ্যাপলের নিষেধাজ্ঞার কারণে একটি অন্যায্য ব্যবসায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আর এ ‘তুলনামূলক আদর্শ’ যুক্তি ব্যবহার করা হয় একটি অ্যান্টিট্রাস্ট মামলায়। এর পাশাপাশি, ২০২১ সালে অ্যাপলের বিরুদ্ধে ডেটা অ্যাপ সরবরাহকদের দায়ের করা মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও এ যুক্তি ব্যবহার করেছে ডাচ অ্যান্টিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ, যেখানে মার্কিন এ টেক জায়ান্টকে এমন কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর বিপরীতে আপিল করার কথা জানিয়েছে অ্যাপল। তবে, ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে বিবেচিত লুক্সেমবর্গভিত্তিক জেনারেল কোর্টে দায়ের করা মামলাটি নিষ্পত্তি হতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। আর এর আগ পর্যন্ত অ্যাপলকে সে জরিমানা পরিশোধ করে যাওয়ার পাশাপাশি ইইউ’র নির্দেশ মেনে চলতে হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স। সোমবার বিকেলে অ্যাপলের শেয়ারমূল্য তিন দশমিক দুই শতাংশ কমে গিয়ে ঠেকেছে ১৭৩ দশমিক ৮৮ ডলারে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্ররা রয়টার্সকে বলেছে, তাদের অনুমান ছিল ইউরোপীয় কমিশন অ্যাপলকে ৫০ কোটি ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে। তবে, এ জরিমানা তাদের অনুমানের প্রায় চার গুণ। এর মধ্যে চার কোটি ইউরোর মৌলিক জরিমানাকে মার্কিন এ টেক জায়ান্টের জন্য ‘পার্কিং টিকিট’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন ইউরোপীয় প্রতিযোগিতাবিষয়ক কমিশনার মার্গারেথ ভেস্টেগার। আর ১৮০ কোটি ইউরো জরিমানা ধার্য করা হয়েছে প্রতিবন্ধক হিসেবে।
ভেস্টেগার বলেন, ১৮৪ কোটি ইউরো’র এ জরিমানা অ্যাপলের বৈশ্বিক আয়ের মাত্র আধা শতাংশ। এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে অ্যাপল এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের কার্যক্রমে “গ্রাহকদের ক্ষতির কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন। এর পরও তারা এ জরিমানা ধার্য করেছে, যেখানে সমৃদ্ধ, দ্রুত বর্ধনশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক এ বাজারের বাস্তবতা উপেক্ষিত।” “এ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে এর প্রাথমিক হোতা অর্থাৎ সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক কোম্পানি স্পটিফাই। তারা বিশ্বের বৃহত্তম মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ। তদন্তের সময় তারা অন্তত ৬৫ বার ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছে।”

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্পটিফাই মামলায় ইউরোপে ২০০ কোটি ডলার জরিমানা অ্যাপলের

আপডেট সময় : ১০:১৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : নিজস্ব অ্যাপ স্টোরে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অভিযোগে ইউরোপে ১৮৪ কোটি ইউরো (দুইশ কোটি ডলার) জরিমানার মুখে পড়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল। ইইউ’র নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটির প্রথম জরিমানার ঘটনা এটি। এর মধ্যে প্রাথমিক চার কোটি ইউরো’র জরিমানা ধার্য হয় প্রতিরোধক হিসেবে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যান্টিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রথম নজির। গত বছর সুইডিশ স্ট্রিমিং সেবা স্পটিফাই ও অন্যান্য সেবার ব্যবহারকারীদেরকে অ্যাপ স্টোরের বাইরের অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট তথ্য না জানানোর অভিযোগে অ্যাপলকে জরিমানা করেছিল ইউরোপীয় কমিশন। ২০১৯ সালে মামলাটি দায়ের করেছিল স্পটিফাই নিজেই। গেল সোমবার কোম্পানিটি বলেছে, অ্যাপলের নিষেধাজ্ঞার কারণে একটি অন্যায্য ব্যবসায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আর এ ‘তুলনামূলক আদর্শ’ যুক্তি ব্যবহার করা হয় একটি অ্যান্টিট্রাস্ট মামলায়। এর পাশাপাশি, ২০২১ সালে অ্যাপলের বিরুদ্ধে ডেটা অ্যাপ সরবরাহকদের দায়ের করা মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও এ যুক্তি ব্যবহার করেছে ডাচ অ্যান্টিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ, যেখানে মার্কিন এ টেক জায়ান্টকে এমন কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর বিপরীতে আপিল করার কথা জানিয়েছে অ্যাপল। তবে, ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে বিবেচিত লুক্সেমবর্গভিত্তিক জেনারেল কোর্টে দায়ের করা মামলাটি নিষ্পত্তি হতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। আর এর আগ পর্যন্ত অ্যাপলকে সে জরিমানা পরিশোধ করে যাওয়ার পাশাপাশি ইইউ’র নির্দেশ মেনে চলতে হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স। সোমবার বিকেলে অ্যাপলের শেয়ারমূল্য তিন দশমিক দুই শতাংশ কমে গিয়ে ঠেকেছে ১৭৩ দশমিক ৮৮ ডলারে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্ররা রয়টার্সকে বলেছে, তাদের অনুমান ছিল ইউরোপীয় কমিশন অ্যাপলকে ৫০ কোটি ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে। তবে, এ জরিমানা তাদের অনুমানের প্রায় চার গুণ। এর মধ্যে চার কোটি ইউরোর মৌলিক জরিমানাকে মার্কিন এ টেক জায়ান্টের জন্য ‘পার্কিং টিকিট’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন ইউরোপীয় প্রতিযোগিতাবিষয়ক কমিশনার মার্গারেথ ভেস্টেগার। আর ১৮০ কোটি ইউরো জরিমানা ধার্য করা হয়েছে প্রতিবন্ধক হিসেবে।
ভেস্টেগার বলেন, ১৮৪ কোটি ইউরো’র এ জরিমানা অ্যাপলের বৈশ্বিক আয়ের মাত্র আধা শতাংশ। এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে অ্যাপল এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের কার্যক্রমে “গ্রাহকদের ক্ষতির কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন। এর পরও তারা এ জরিমানা ধার্য করেছে, যেখানে সমৃদ্ধ, দ্রুত বর্ধনশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক এ বাজারের বাস্তবতা উপেক্ষিত।” “এ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে এর প্রাথমিক হোতা অর্থাৎ সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক কোম্পানি স্পটিফাই। তারা বিশ্বের বৃহত্তম মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ। তদন্তের সময় তারা অন্তত ৬৫ বার ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছে।”