নিজস্ব প্রতিবেদক : বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলায় এবছর ৬০ কোটি টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে ৩ হাজার ৭৫১টি নতুন বই। যেখানে আর গতবছর বিক্রি হয়েছিল ৪৭ কোটি টাকার বেশি বই আর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৩০টি।
গতকাল শনিবার (২ মার্চ) অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক শাহেদ মমতাজ। এর আগে বাংলায় একাডেমিতে ৩১ দিনের বইমেলায় সমাপণী অনুষ্ঠান হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীর ঘুরে এমন একটি বইমেলা কেউ খুঁজে পাবেন না। এই বইমেলা আমাদের আবেগের এবং জাতিসত্তার মেলা। গতবছরের তুলনায় এবার ১৩ কোটি টাকার বেশি বই বিক্রি বেড়েছে। পহেলা মার্চ পর্যন্ত মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা ৬০ লাখের কাছাকাছি ছিল। ২ মার্চ পর্যন্ত নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ৭৫১ টি। যেখানে গতবছর ছিলো ৩ হাজার ৭৩০টি। মোড়ক উন্মোচন হয়েছে ৬০০ বইয়ের। যুগ যুগ ধরে এই মেলার বেঁচে থাকবে হাজারো মানুষের মাঝে।
সম্মানীয় অতিথি উপস্থিত ছিলেন নতুন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। তার বক্তব্যের শুরুতে রাজধানীর বেইলি রোডে নিহতদের স্মরণ করে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, গত পহেলা ফেব্রুয়ারি আমি বইমেলার উদ্বোধনী আয়োজনে এসেছিলাম। জীবনে চিন্তাও করিনি যে বইমেলার সমাপনী আয়োজনে আমি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে হাজির হবো।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমি কোনো প্রতিশ্রুতি করতে চাই না। আমি কোনো প্রমিজে বিশ্বাস করি না। আমি কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। প্রতিশ্রুতি তো ভঙ্গ হয়ে যায়। আমরা সবাই মিলে যদি একটি টিমওয়ার্ক করতে পারি, তাহলে কাজটি ভালো হবে।
বইমেলা স্থানান্তরের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা এখন ঐতিহ্য হয়ে গেছে। এই বইমেলা প্রস্থানের বিষয়ে কথা উঠেছে। আমরা কোনো না কোনো ব্যবস্থা করে বইমেলা এখানে রাখার ব্যবস্থা করবো।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। আর স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।