ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিবিসির এক সাংবাদিককে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে রাশিয়া

  • আপডেট সময় : ১১:২৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মস্কোয় কর্মরত ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র সাংবাদিক সারাহ রেইনসফোর্ডকে চলতি মাসের মধ্যেই রাশিয়া ছাড়তে বলেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
রুশ সাংবাদিকদের সঙ্গে লন্ডনের বৈষম্যমূলক আচরণের পাল্টায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে তারা।
“জীবনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় যেখানে কাটিয়েছি, যেখান থেকে বছরের পর বছর খবর পাঠিয়েছি, সেই রাশিয়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বেদনাদায়ক। আপনারা যারা সদয় বার্তা পাঠিয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ,” পরে টুইটারে এক প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই বলেছেন রেইনসফোর্ড।
বিদেশি সাংবাদিক হিসেবে রাশিয়ায় কাজ করতে তার যে অ্যাক্রেডিটেশন বা অনুমতিপত্র ছিল, এ মাসের পর তার মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে রোসিয়া টোয়েন্টিফোর টিভির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ কারণে চলতি মাসে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাই রেইনসফোর্ডের আর রাশিয়ায় থাকা হচ্ছে না।
যুক্তরাজ্যে কাজ করা রুশ সাংবাদিকদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো বা তাদের ভিসা দেওয়ার আবেদন লন্ডন প্রত্যাখ্যান করায় পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মস্কো বিবিসির সাংবাদিককে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে, বলেছে রোসিয়া টোয়েন্টিফোর।
যুক্তরাজ্য এখন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সম্প্রচারমাধ্যম আরটি ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিককে ব্রিটেনে কাজ করার অ্যাক্রেডিটেশন দিচ্ছে না।
“সারাহ রেইনসফোর্ড বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আমাদের বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিবিসির মস্কো ব্যুরের এই সংবাদদাতার ভিসার মেয়াদ আর বাড়ছে না। কারণ, গণমাধ্যমকে কাজ করতে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটেন আমাদের দেওয়া সকল লাল দাগ অতিক্রম করে ফেলেছে,” বলেছেু রোসিয়া টোয়েন্টিফোর।
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি মস্কোর এ সিদ্ধান্তকে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আক্রমণ’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, সাংবাদিকের ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিবিসির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে; তারা মন্ত্রণালয়ে এসেছিলেন, তাদেরকে সব ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য রুশ সাংবাদিকদের ওপর ভিসা নিয়ে যে ধরনের নিপীড়ন চালিয়েছে, তার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মস্কোর দিক থেকে বারবারই সতর্ক করা হয়েছিল, বলেছেন জাখারোভা।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ভাষ্যের পাল্টায় মস্কোর ব্রিটিশ দূতাবাস বলেছে, “তারা রুশ সাংবাদিকদের সঙ্গে লন্ডনের বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে যেসব অভিযোগ করছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।”
যুক্তরাজ্যে আইনের ভেতরে থেকে রাশিয়ার সাংবাদিকরা অবাধে কাজ করতে পারবে বলেও বিবৃতিতে বলেছে তারা।
রুশ ভাষায় কথা বলতে পারা সাংবাদিক রেইনসফোর্ড রাশিয়ার বাইরে কিউবা, স্পেন ও তুরস্কেও কাজ করেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

বিবিসির এক সাংবাদিককে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে রাশিয়া

আপডেট সময় : ১১:২৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মস্কোয় কর্মরত ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র সাংবাদিক সারাহ রেইনসফোর্ডকে চলতি মাসের মধ্যেই রাশিয়া ছাড়তে বলেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
রুশ সাংবাদিকদের সঙ্গে লন্ডনের বৈষম্যমূলক আচরণের পাল্টায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে তারা।
“জীবনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় যেখানে কাটিয়েছি, যেখান থেকে বছরের পর বছর খবর পাঠিয়েছি, সেই রাশিয়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বেদনাদায়ক। আপনারা যারা সদয় বার্তা পাঠিয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ,” পরে টুইটারে এক প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই বলেছেন রেইনসফোর্ড।
বিদেশি সাংবাদিক হিসেবে রাশিয়ায় কাজ করতে তার যে অ্যাক্রেডিটেশন বা অনুমতিপত্র ছিল, এ মাসের পর তার মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে রোসিয়া টোয়েন্টিফোর টিভির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ কারণে চলতি মাসে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাই রেইনসফোর্ডের আর রাশিয়ায় থাকা হচ্ছে না।
যুক্তরাজ্যে কাজ করা রুশ সাংবাদিকদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো বা তাদের ভিসা দেওয়ার আবেদন লন্ডন প্রত্যাখ্যান করায় পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মস্কো বিবিসির সাংবাদিককে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে, বলেছে রোসিয়া টোয়েন্টিফোর।
যুক্তরাজ্য এখন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সম্প্রচারমাধ্যম আরটি ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিককে ব্রিটেনে কাজ করার অ্যাক্রেডিটেশন দিচ্ছে না।
“সারাহ রেইনসফোর্ড বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আমাদের বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিবিসির মস্কো ব্যুরের এই সংবাদদাতার ভিসার মেয়াদ আর বাড়ছে না। কারণ, গণমাধ্যমকে কাজ করতে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটেন আমাদের দেওয়া সকল লাল দাগ অতিক্রম করে ফেলেছে,” বলেছেু রোসিয়া টোয়েন্টিফোর।
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি মস্কোর এ সিদ্ধান্তকে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আক্রমণ’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, সাংবাদিকের ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিবিসির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে; তারা মন্ত্রণালয়ে এসেছিলেন, তাদেরকে সব ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য রুশ সাংবাদিকদের ওপর ভিসা নিয়ে যে ধরনের নিপীড়ন চালিয়েছে, তার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মস্কোর দিক থেকে বারবারই সতর্ক করা হয়েছিল, বলেছেন জাখারোভা।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ভাষ্যের পাল্টায় মস্কোর ব্রিটিশ দূতাবাস বলেছে, “তারা রুশ সাংবাদিকদের সঙ্গে লন্ডনের বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে যেসব অভিযোগ করছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।”
যুক্তরাজ্যে আইনের ভেতরে থেকে রাশিয়ার সাংবাদিকরা অবাধে কাজ করতে পারবে বলেও বিবৃতিতে বলেছে তারা।
রুশ ভাষায় কথা বলতে পারা সাংবাদিক রেইনসফোর্ড রাশিয়ার বাইরে কিউবা, স্পেন ও তুরস্কেও কাজ করেছেন।