নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিক জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক কমিশনের আলোচনা সভায অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, এমিরেটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশনের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কমিশনের পরিচালক শেখ মাহবুব উর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনৈতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি কমিশন কর্তৃক আয়োজিত রোড শোতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে করোনার মধ্যেও জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য রেখে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্ব, কর্তব্য ও দূরদর্শিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী, বাংলাদেশের আজকের উন্নয়নের পেছনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও রাজনৈতিক দর্শন এবং তার বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একজন মানুষ কতটা সাহসী ও বিশাল হৃদয়ের অধিকারী হতে পারেন বঙ্গবন্ধু তা বিশ্বকে দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের আজকের এই অর্জন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরও অনেক আগেই অর্জিত হতো। এমন মহান নেতার মৃত্যু জাতিকে বহু বছর পিছিয়ে দিয়েছে। সবশেষে ১৫ আগষ্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ১৫ আগষ্টের ঘাতকদের প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার ও দন্ড কার্যকরের কথা উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় তার পরিবারের চেয়ে দেশের মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এজন্য তিনি তার জীবনের সোনালী সময়ে বছরের পর বছর কারাবরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু হৃদয়ের বিশালতা দিয়ে আমৃত্যু মানুষকে ভালোবেসেছেন। বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে গেটিসবার্গের ভাষণের চেয়েও মহাত্তোম বলে উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ সামাজিক অগ্রগতির ভিত্তি হিসেবে অভিমত প্রকাশ করেন। এরকম একজন মহান নেতাকে কোন বাঙালি হত্যা করতে পারে, এই কলংক বাঙালি জাতিকে আজীবন বহন করতে হবে। জাতি হিসেবে বাঙালি অকৃতজ্ঞ নয়, মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পুরো জাতিকে মূল্য দিতে হচ্ছে। পরিশেষে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন কমিশনের কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, কমিশনার আবদুল হালিম ও নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম।