ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেসরকারিভাবে টিকা না দেওয়ার পরামর্শ সংসদীয় কমিটির

  • আপডেট সময় : ০১:০৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিচ্ছেন এক নারী। ছবি: কাজী সালাহউদ্দিন
রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিচ্ছেন এক নারী। ছবি: কাজী সালাহউদ্দি
করোনাভাইরাসের টিকা যাতে কোনোভাবেই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দেওয়া না হয় সে ব্যাপারে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেসরকারিভাবে টিকা দিতে মোবাইলে এসএমএস দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজেই এ ধরনের একটি এসএমএস পেয়েছি। কোন কোন ধরনের টিকা পাওয়া যায় সেটাও জানানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। বলেছি আমরা যেন কোনোভাবেই বেসরকারিভাবে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত না নিই।
“তাহলে দেখা যাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ টিকা নিয়ে আসবে। পানি ভরে টিকা দেওয়া হবে। আর সব দোষ পড়বে সরকারের ওপর। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পর্যন্ত টিকা বিক্রিতে নেমে পড়বে। এ ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই টিকা কমিটির মেম্বার। আমরা তাকে বলেছি ওই কমিটিতে যেন আমাদের এই পর্যবেক্ষণ জানানো হয়।“
ফারুক খান আরও বলেন, “যদিও এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। তারপরও আমরা তাদের বলেছি, টিকার মেয়াদ কতদিন আছে সেটা আনার আগে দেখে নিতে। সে টিকা আমরা যেভাবেই পাই না কেন, উপহার হিসেবে হোক বা কিনে আনা হোক। কারণ দেখা গেল, বাংলাদেশে এসে যখন পৌঁছাল তার মেয়াদ ১৫ থেকে ২০ দিন রয়েছে। ওই টিকা পরে মাঠ পর্যায়ে যেতে যেতে আর মেয়াদই থাকবে না। রোল আউট করতে করতে ডেট চলে যাবে। এ বিষয়ে আমরা তাদের সতর্ক করে দিয়েছি।”
দেশে এখন সরকারিভাবে গণটিকা কার্যক্রম চলছে। শুরুতে ৭ অগাস্ট থেকে এক সপ্তাহে কোটি মানুষকে কোভিডের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক। পরে লক্ষ্যমাত্রা অনেক কমিয়ে শনিবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গণটিকাদান শুরু হয়।
দেশে এখন চারটি কোম্পানির কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক, মর্ডানা ও সিনোফার্মের টিকা।
বিভিন্ন দেশ বা প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানির ক্ষেত্রে টিকার মেয়াদ যাতে ছয় মাস থাকে তা নিশ্চিতের পাশাপাশি পাইপলাইনে থাকা টিকা দ্রুততম সময়ে আনার তৎপরতা অব্যাহত রাখতে কমিটি মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে।
বিদেশে পড়তে যাওয়া দশ বছর বয়সী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা যায় কিনা তা বিবেচনা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোরও পরামর্শ দেওয়া হয় বৈঠকে।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নূরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আব্দুল মজিদ খান এবং হাবিবে মিল্লাত অংশ নেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মহান বিজয়ের মাস শুরু

বেসরকারিভাবে টিকা না দেওয়ার পরামর্শ সংসদীয় কমিটির

আপডেট সময় : ০১:০৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিচ্ছেন এক নারী। ছবি: কাজী সালাহউদ্দিন
রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিচ্ছেন এক নারী। ছবি: কাজী সালাহউদ্দি
করোনাভাইরাসের টিকা যাতে কোনোভাবেই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দেওয়া না হয় সে ব্যাপারে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেসরকারিভাবে টিকা দিতে মোবাইলে এসএমএস দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজেই এ ধরনের একটি এসএমএস পেয়েছি। কোন কোন ধরনের টিকা পাওয়া যায় সেটাও জানানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। বলেছি আমরা যেন কোনোভাবেই বেসরকারিভাবে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত না নিই।
“তাহলে দেখা যাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ টিকা নিয়ে আসবে। পানি ভরে টিকা দেওয়া হবে। আর সব দোষ পড়বে সরকারের ওপর। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পর্যন্ত টিকা বিক্রিতে নেমে পড়বে। এ ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই টিকা কমিটির মেম্বার। আমরা তাকে বলেছি ওই কমিটিতে যেন আমাদের এই পর্যবেক্ষণ জানানো হয়।“
ফারুক খান আরও বলেন, “যদিও এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। তারপরও আমরা তাদের বলেছি, টিকার মেয়াদ কতদিন আছে সেটা আনার আগে দেখে নিতে। সে টিকা আমরা যেভাবেই পাই না কেন, উপহার হিসেবে হোক বা কিনে আনা হোক। কারণ দেখা গেল, বাংলাদেশে এসে যখন পৌঁছাল তার মেয়াদ ১৫ থেকে ২০ দিন রয়েছে। ওই টিকা পরে মাঠ পর্যায়ে যেতে যেতে আর মেয়াদই থাকবে না। রোল আউট করতে করতে ডেট চলে যাবে। এ বিষয়ে আমরা তাদের সতর্ক করে দিয়েছি।”
দেশে এখন সরকারিভাবে গণটিকা কার্যক্রম চলছে। শুরুতে ৭ অগাস্ট থেকে এক সপ্তাহে কোটি মানুষকে কোভিডের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক। পরে লক্ষ্যমাত্রা অনেক কমিয়ে শনিবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গণটিকাদান শুরু হয়।
দেশে এখন চারটি কোম্পানির কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক, মর্ডানা ও সিনোফার্মের টিকা।
বিভিন্ন দেশ বা প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানির ক্ষেত্রে টিকার মেয়াদ যাতে ছয় মাস থাকে তা নিশ্চিতের পাশাপাশি পাইপলাইনে থাকা টিকা দ্রুততম সময়ে আনার তৎপরতা অব্যাহত রাখতে কমিটি মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে।
বিদেশে পড়তে যাওয়া দশ বছর বয়সী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা যায় কিনা তা বিবেচনা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোরও পরামর্শ দেওয়া হয় বৈঠকে।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নূরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আব্দুল মজিদ খান এবং হাবিবে মিল্লাত অংশ নেন।