ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও হত্যা, আসামি গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে মাদ্রাসাছাত্র মো. তাওহীদ ইসলামকে (১০) অপহরণ করার পরে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। কিন্তু মুক্তিপণ পাওয়ার পরেও তাওহীদকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী মকবুল হোসেনকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। র‌্যাব জানায়, মকবুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ভিকটিমের পরিবার ও মকবুল একই এলাকায় বসবাস করতো। কিছুদিন আগে ভিকটিমের বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে পরিবারিক সুসম্পর্ক গড়ে উঠে তার। ভিকটিম তাওহীদের বাবা একজন প্রবাসী হওয়ায় মুক্তিপণের আশায় নানা কৌশল অবলম্বন করে হত্যাকারী। খন্দকার আল মঈন বলেন, গত শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার রসুলপুর জামিআ ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে অধ্যয়নরত মাদ্রাসাছাত্র তাওহীদ ইসলাম নিখোঁজ হয়। পরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ওইদিন রাতেই অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কল করে জানায়, সে তাওহীদকে অপহরণ করেছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা করে। গতকাল রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভিকটিমের মা তার ছেলেকে উদ্ধারে র‌্যাবের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেন।
র‌্যাব জানায়, মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার করে সেপ্টিক ট্যাংকে লাশ গুম করে মকবুল। পরে মুক্তিপণ দাবি করে সে। এঘটনায় অভিযান চালিয়ে পোস্তগোলা এলাকায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে হত্যাকারী মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। উদ্ধার করা হয় মুক্তিপণের ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কমান্ডার মঈন বলেন, প্রাথমিকভাবে মকবুলের আগের কোনও অপরাধের তথ্য পায়নি র‌্যাব। তবে এই ধরনের অপরাধের ধরণ দেখে আমরা ধারণা করছি তার আগের অপরাধের ইতিহাস থাকতে পারে। এটা মামলার বিস্তারিত তদন্তে উঠে আসবে বলে আশা করি। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‌্যাব।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও হত্যা, আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১২:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে মাদ্রাসাছাত্র মো. তাওহীদ ইসলামকে (১০) অপহরণ করার পরে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। কিন্তু মুক্তিপণ পাওয়ার পরেও তাওহীদকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী মকবুল হোসেনকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। র‌্যাব জানায়, মকবুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ভিকটিমের পরিবার ও মকবুল একই এলাকায় বসবাস করতো। কিছুদিন আগে ভিকটিমের বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে পরিবারিক সুসম্পর্ক গড়ে উঠে তার। ভিকটিম তাওহীদের বাবা একজন প্রবাসী হওয়ায় মুক্তিপণের আশায় নানা কৌশল অবলম্বন করে হত্যাকারী। খন্দকার আল মঈন বলেন, গত শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার রসুলপুর জামিআ ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে অধ্যয়নরত মাদ্রাসাছাত্র তাওহীদ ইসলাম নিখোঁজ হয়। পরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ওইদিন রাতেই অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কল করে জানায়, সে তাওহীদকে অপহরণ করেছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা করে। গতকাল রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভিকটিমের মা তার ছেলেকে উদ্ধারে র‌্যাবের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেন।
র‌্যাব জানায়, মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার করে সেপ্টিক ট্যাংকে লাশ গুম করে মকবুল। পরে মুক্তিপণ দাবি করে সে। এঘটনায় অভিযান চালিয়ে পোস্তগোলা এলাকায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে হত্যাকারী মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। উদ্ধার করা হয় মুক্তিপণের ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কমান্ডার মঈন বলেন, প্রাথমিকভাবে মকবুলের আগের কোনও অপরাধের তথ্য পায়নি র‌্যাব। তবে এই ধরনের অপরাধের ধরণ দেখে আমরা ধারণা করছি তার আগের অপরাধের ইতিহাস থাকতে পারে। এটা মামলার বিস্তারিত তদন্তে উঠে আসবে বলে আশা করি। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‌্যাব।