ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এক মাসে যেভাবে ফের যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রাস করল করোনাভাইরাস

  • আপডেট সময় : ১১:৪০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ৯৮ শতাংশের বেশি বাসিন্দা এখন এমন এলাকায় বসবাস করেন, যেখানে কোভিড-১৯ এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গণসংক্রমণের ঝুঁকির মাত্রা ‘উচ্চ’ বা ‘উল্লেখযোগ্য’। এক মাস আগেও এই হার ছিল ১৯ শতাংশ।
সিএনএন এর এক প্রতিবেদন বলছে, হঠাৎ সংক্রমণের মাত্রা এতখানি বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন এবং অনেক এলাকায় টিকাদানের নি¤œহার।
৫ জুলাই থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত পাঁচ সপ্তাহে কমিউনিটি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা এলাকা কীভাবে দ্রুত বেড়ে গেছে, তা কয়েকটি মানচিত্র পাশাপাশি তুলনা করে দেখানো হয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) দুটি সূচকের ভিত্তিতে কমিউনিটিতে সংক্রমণ পরিমাপ করছে- প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা এবং পরীক্ষায় পজেটিভ হওয়ার হার। দুই সূচকই পরিমাপ করা হচ্ছে সাত দিনের গড়ের ভিত্তিতে।
যেখানে প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১০ জনের কম সংক্রমিত হচ্ছে এবং পরীক্ষায় কোভিড শনাক্তের হার ৫ শতাংশের কম, সেসব জায়গাকে সংক্রমণের কম ঝুঁকিতে থাকা এলাকা হিসেবে বিবেবচনা করা হচ্ছে। আর সেসব জায়গাকে ‘উচ্চ’ ঝুঁকির এলাকা বলা হচ্ছে, যেখানে প্রতি এক লাখের মধ্যে ১০০ জন সংক্রমিত হচ্ছে এবং কোভিড পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ শতাংশ বা তার বেশি আসছে।
কমিউনিটি সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় থাকা কাউন্টির সংখ্যা কীভাবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, তা উঠে এসেছে সিডিসির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৩৬১ কাউন্টি ছিল ‘উচ্চ’ ঝুঁকির এই তালিকায়। অথচ জুলাইয়ের শুরুতেও এ ধরনের কাউন্টির সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৫৭টি।
গত পাঁচ সপ্তাহের পরিসংখ্যান থেকে দেখে যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে খুব দ্রুত বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। কমিউনিটিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সিডিসির পক্ষ থেকে আবারও মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে এবং জরুরি ভিত্তিতে দেশজুড়ে টিকাদানের গতি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। সিডিসি এখন পরামর্শ দিচ্ছে, সংক্রমণের ‘উল্লেখযোগ্য’ বা ‘উচ্চ’ ঝুঁকির এলাকাগুলোতে চার দেয়ালের ভেতরে জনসমাগমেও মাস্ক পরতে হবে, টিকা দেওয়া থাক বা না থাক। কোন কাউন্টির সংক্রমণ পরিস্থিতি কেমন, সে বিষয়ে সিডিসির ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়া হচ্ছে এবং সপ্তাহে কয়েকবার তা হালনাগাদ করা হচ্ছে।
সিডিসি বলছে, নতুন ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে লড়তে টিকাই এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার’। বর্তমানে মানুষের হাতে থাকা কোনো টিকাই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে পুরোপুরি রুখতে পারছে না। তবে আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বা মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিচ্ছে টিকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

এক মাসে যেভাবে ফের যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রাস করল করোনাভাইরাস

আপডেট সময় : ১১:৪০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ৯৮ শতাংশের বেশি বাসিন্দা এখন এমন এলাকায় বসবাস করেন, যেখানে কোভিড-১৯ এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গণসংক্রমণের ঝুঁকির মাত্রা ‘উচ্চ’ বা ‘উল্লেখযোগ্য’। এক মাস আগেও এই হার ছিল ১৯ শতাংশ।
সিএনএন এর এক প্রতিবেদন বলছে, হঠাৎ সংক্রমণের মাত্রা এতখানি বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন এবং অনেক এলাকায় টিকাদানের নি¤œহার।
৫ জুলাই থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত পাঁচ সপ্তাহে কমিউনিটি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা এলাকা কীভাবে দ্রুত বেড়ে গেছে, তা কয়েকটি মানচিত্র পাশাপাশি তুলনা করে দেখানো হয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) দুটি সূচকের ভিত্তিতে কমিউনিটিতে সংক্রমণ পরিমাপ করছে- প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা এবং পরীক্ষায় পজেটিভ হওয়ার হার। দুই সূচকই পরিমাপ করা হচ্ছে সাত দিনের গড়ের ভিত্তিতে।
যেখানে প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১০ জনের কম সংক্রমিত হচ্ছে এবং পরীক্ষায় কোভিড শনাক্তের হার ৫ শতাংশের কম, সেসব জায়গাকে সংক্রমণের কম ঝুঁকিতে থাকা এলাকা হিসেবে বিবেবচনা করা হচ্ছে। আর সেসব জায়গাকে ‘উচ্চ’ ঝুঁকির এলাকা বলা হচ্ছে, যেখানে প্রতি এক লাখের মধ্যে ১০০ জন সংক্রমিত হচ্ছে এবং কোভিড পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ শতাংশ বা তার বেশি আসছে।
কমিউনিটি সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় থাকা কাউন্টির সংখ্যা কীভাবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, তা উঠে এসেছে সিডিসির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৩৬১ কাউন্টি ছিল ‘উচ্চ’ ঝুঁকির এই তালিকায়। অথচ জুলাইয়ের শুরুতেও এ ধরনের কাউন্টির সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৫৭টি।
গত পাঁচ সপ্তাহের পরিসংখ্যান থেকে দেখে যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে খুব দ্রুত বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। কমিউনিটিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সিডিসির পক্ষ থেকে আবারও মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে এবং জরুরি ভিত্তিতে দেশজুড়ে টিকাদানের গতি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। সিডিসি এখন পরামর্শ দিচ্ছে, সংক্রমণের ‘উল্লেখযোগ্য’ বা ‘উচ্চ’ ঝুঁকির এলাকাগুলোতে চার দেয়ালের ভেতরে জনসমাগমেও মাস্ক পরতে হবে, টিকা দেওয়া থাক বা না থাক। কোন কাউন্টির সংক্রমণ পরিস্থিতি কেমন, সে বিষয়ে সিডিসির ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়া হচ্ছে এবং সপ্তাহে কয়েকবার তা হালনাগাদ করা হচ্ছে।
সিডিসি বলছে, নতুন ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে লড়তে টিকাই এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার’। বর্তমানে মানুষের হাতে থাকা কোনো টিকাই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে পুরোপুরি রুখতে পারছে না। তবে আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বা মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিচ্ছে টিকা।