ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

অদ্ভুত মহাকাশযান

  • আপডেট সময় : ১১:১৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

মো: জোবাইদুল ইসলাম : নিতুন টেলিস্কোপ নিয়ে ছাদে উঠেছে। রাতে সে টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশে নতুন নতুন তারা খুঁজে। আর খুঁজে তার বইয়ে পড়া অদ্ভুত মহাকাশযানগুলোকে। কিছুদিন আগে সে দেখেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের নতুন একটি তারা। দেখে তো সে অবাক। এমন তারা সে আগে কখনো দেখে নি। সব তারা ঝিকমিক করে আলো ছড়ায়। কিন্তু এ তারা আলো ছড়ানোর পরিবর্তে অন্য তারা থেকে আলো চুষে নেয়। নিতুনের বাবা একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। নিতুন তার বাবাকে এই তারার ব্যাপারে বললে তিনিও টেলিস্কোপে চোখ রাখেন তারাটি দেখতে। দেখে তিনিও কিছুটা অবাক হয়ে যান কারণ এমন তারা তিনি আগে কখনো দেখেন নি। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই তারা নিয়ে গবেষণা করার। আজও এমন কোনো নতুন তারা খুঁজছে নিতুন। টেলিস্কোপে চোখ রেখে দূর দূরান্তের তারাগুলোকে দেখছে সে। এমন সময় নিতুনের টেলিস্কোপে দেখা যায় মহাকাশযান সদৃশ বিভিন্ন রঙের আলোয় ভরা উড়ন্ত কোনো কিছু। নিতুন এর আগেও অনেক মহাকাশযান দেখেছে টেলিস্কোপে এবং টিভিতে। কিন্তু এটা কেমন যেন অদ্ভুত ধরণের যান মনে হলো নিতুনের। নিতুন ভালো করে যানটিকে দেখতে চেষ্টা করলো। যানটি গোলাকার দেখতে। উজ্জ্বল আলোর বিভিন্ন রঙের লাইট জ্বলছে। এতটুকু দেখতেই চোখের পলকে যানটি হাওয়া হয়ে গেল। নিতুন টেলিস্কোপ এদিক ওদিক ঘুরিয়ে অনেক খুঁজলো যানটিকে কিন্তু কোথাও আর দেখতে পেল না। হঠাৎ নিতুনের বাবা তার যন্ত্রপাতি নিয়ে ছাদে আসেন। নিতুন তার বাবাকে সদ্য টেলিস্কোপে দেখা যানটির কথা বলল। নিতুনের বাবা বলল, নিতুন! শোনো, ওগুলো ঠিক মহাকাশযান নাকি অন্যকিছু তা বিজ্ঞানীরা এখনও সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারে নি। বিজ্ঞানীরা ওই অদ্ভুত আলো ছড়ানো যানগুলোর নাম দিয়েছে ‘ইউএফও’ যার বাংলা অর্থ হলো, “অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু”। বিশ্বের অনেক দেশে এমন অনেক উড়ন্ত যান মানুষ দেখেছে। কিন্তু এই উড়ন্ত যানগুলো চোখের পলকে আবার উধাও হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা এই যান সদৃশ বস্তুগুলো নিয়ে গবেষণা করছে। কেউ কেউ আবার এই উড়ন্ত যান গুলোকে ‘এলিয়েন শিপ’ও বলে থাকে। কোনো দেশে একবার এই রকম উড়ন্ত যান দেখে সে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সেনারা তাদের যুদ্ধ বিমান নিয়ে ওই যানটিকে তাড়া করে এমনকি তারা যানটিকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে চাইলো কিন্তু তখন বোমা ফেলার সুইচটি কাজ করছিলো না। আর তখন মুহূর্তেই সেই যানটিও অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কি কারণে তখন সুইচটি কাজ করে নি! তা আজও এক রহস্য। নিতুন এই কথা শুনে অবাক হয়ে গেল। আর বলল, বাবা! তোমাকে অনেক ধন্যবাদ তোমার মাধ্যমে অদ্ভুত যান সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনার মুক্তি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে ২৭ বিশিষ্ট নারীর স্মারকলিপি

অদ্ভুত মহাকাশযান

আপডেট সময় : ১১:১৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১

মো: জোবাইদুল ইসলাম : নিতুন টেলিস্কোপ নিয়ে ছাদে উঠেছে। রাতে সে টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশে নতুন নতুন তারা খুঁজে। আর খুঁজে তার বইয়ে পড়া অদ্ভুত মহাকাশযানগুলোকে। কিছুদিন আগে সে দেখেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের নতুন একটি তারা। দেখে তো সে অবাক। এমন তারা সে আগে কখনো দেখে নি। সব তারা ঝিকমিক করে আলো ছড়ায়। কিন্তু এ তারা আলো ছড়ানোর পরিবর্তে অন্য তারা থেকে আলো চুষে নেয়। নিতুনের বাবা একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। নিতুন তার বাবাকে এই তারার ব্যাপারে বললে তিনিও টেলিস্কোপে চোখ রাখেন তারাটি দেখতে। দেখে তিনিও কিছুটা অবাক হয়ে যান কারণ এমন তারা তিনি আগে কখনো দেখেন নি। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই তারা নিয়ে গবেষণা করার। আজও এমন কোনো নতুন তারা খুঁজছে নিতুন। টেলিস্কোপে চোখ রেখে দূর দূরান্তের তারাগুলোকে দেখছে সে। এমন সময় নিতুনের টেলিস্কোপে দেখা যায় মহাকাশযান সদৃশ বিভিন্ন রঙের আলোয় ভরা উড়ন্ত কোনো কিছু। নিতুন এর আগেও অনেক মহাকাশযান দেখেছে টেলিস্কোপে এবং টিভিতে। কিন্তু এটা কেমন যেন অদ্ভুত ধরণের যান মনে হলো নিতুনের। নিতুন ভালো করে যানটিকে দেখতে চেষ্টা করলো। যানটি গোলাকার দেখতে। উজ্জ্বল আলোর বিভিন্ন রঙের লাইট জ্বলছে। এতটুকু দেখতেই চোখের পলকে যানটি হাওয়া হয়ে গেল। নিতুন টেলিস্কোপ এদিক ওদিক ঘুরিয়ে অনেক খুঁজলো যানটিকে কিন্তু কোথাও আর দেখতে পেল না। হঠাৎ নিতুনের বাবা তার যন্ত্রপাতি নিয়ে ছাদে আসেন। নিতুন তার বাবাকে সদ্য টেলিস্কোপে দেখা যানটির কথা বলল। নিতুনের বাবা বলল, নিতুন! শোনো, ওগুলো ঠিক মহাকাশযান নাকি অন্যকিছু তা বিজ্ঞানীরা এখনও সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারে নি। বিজ্ঞানীরা ওই অদ্ভুত আলো ছড়ানো যানগুলোর নাম দিয়েছে ‘ইউএফও’ যার বাংলা অর্থ হলো, “অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু”। বিশ্বের অনেক দেশে এমন অনেক উড়ন্ত যান মানুষ দেখেছে। কিন্তু এই উড়ন্ত যানগুলো চোখের পলকে আবার উধাও হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা এই যান সদৃশ বস্তুগুলো নিয়ে গবেষণা করছে। কেউ কেউ আবার এই উড়ন্ত যান গুলোকে ‘এলিয়েন শিপ’ও বলে থাকে। কোনো দেশে একবার এই রকম উড়ন্ত যান দেখে সে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সেনারা তাদের যুদ্ধ বিমান নিয়ে ওই যানটিকে তাড়া করে এমনকি তারা যানটিকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে চাইলো কিন্তু তখন বোমা ফেলার সুইচটি কাজ করছিলো না। আর তখন মুহূর্তেই সেই যানটিও অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কি কারণে তখন সুইচটি কাজ করে নি! তা আজও এক রহস্য। নিতুন এই কথা শুনে অবাক হয়ে গেল। আর বলল, বাবা! তোমাকে অনেক ধন্যবাদ তোমার মাধ্যমে অদ্ভুত যান সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।