ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল এসে পড়লো বাংলাদেশে, আতঙ্ক

  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি লোকালয়ে পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না। যে কোনো মুহূর্তে ফের গোলাগুলির আশঙ্কা করছেন তারা। গত মঙ্গলবার রাতেও অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ে। এ অবস্থায় গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি ৩ নম্বর ঘুমধুম ইউনিয়নের ভাজাবনিয়া সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘাত চলমান। এ সংঘাতে বিভিন্ন সময় নিক্ষিপ্ত গোলা তাদের সীমানা পেরিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী লোকালয়ে এসে পড়ছে। এতে নিত্যদিনের কাজে ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে কোনার পাড়া এলাকায় বিস্ফোরিত মর্টার শেলের খোসা পাওয়া যায়। মঙ্গলবারও দিনগত রাতে ঘোনারপাড়া এলাকায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষিপ্ত অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ে। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভাজাবনিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নূরজাহান বেগম বলেন, সীমান্তের ওপারের গোলাগুলিরও ভারী গোলার শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। কোনো সময় আবার গোলাগুলি শুরু হয় তা বলা মুশকিল। এ পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে খুবই ভয় লাগে। তুমব্রু ঘোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু সিদ্দিক বলেন, মধ্যরাতে গোলাগুলি শুরু হলে ভয়ে কাঁচাঘরের বাসিন্দারা পাড়ার বা কাছাকাছি পাকা দালানে গিয়ে আশ্রয় নেন। গতকাল রাতে যখন আবারও গোলাগুলি শুরু হয় তখন অন্যের ঘরে আশ্রয় না পেয়ে সীমান্ত সড়কের ওপারে আশ্রয় নিয়েছিলাম।
সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে বিপজ্জনক এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে। এসময় স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল এসে পড়লো বাংলাদেশে, আতঙ্ক

আপডেট সময় : ১২:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি লোকালয়ে পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না। যে কোনো মুহূর্তে ফের গোলাগুলির আশঙ্কা করছেন তারা। গত মঙ্গলবার রাতেও অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ে। এ অবস্থায় গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি ৩ নম্বর ঘুমধুম ইউনিয়নের ভাজাবনিয়া সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘাত চলমান। এ সংঘাতে বিভিন্ন সময় নিক্ষিপ্ত গোলা তাদের সীমানা পেরিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী লোকালয়ে এসে পড়ছে। এতে নিত্যদিনের কাজে ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে কোনার পাড়া এলাকায় বিস্ফোরিত মর্টার শেলের খোসা পাওয়া যায়। মঙ্গলবারও দিনগত রাতে ঘোনারপাড়া এলাকায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষিপ্ত অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ে। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভাজাবনিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নূরজাহান বেগম বলেন, সীমান্তের ওপারের গোলাগুলিরও ভারী গোলার শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। কোনো সময় আবার গোলাগুলি শুরু হয় তা বলা মুশকিল। এ পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে খুবই ভয় লাগে। তুমব্রু ঘোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু সিদ্দিক বলেন, মধ্যরাতে গোলাগুলি শুরু হলে ভয়ে কাঁচাঘরের বাসিন্দারা পাড়ার বা কাছাকাছি পাকা দালানে গিয়ে আশ্রয় নেন। গতকাল রাতে যখন আবারও গোলাগুলি শুরু হয় তখন অন্যের ঘরে আশ্রয় না পেয়ে সীমান্ত সড়কের ওপারে আশ্রয় নিয়েছিলাম।
সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে বিপজ্জনক এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে। এসময় স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন তিনি।