ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

স্বাস্থ্য সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অগাস্ট ২০২১
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের এন্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি নিয়ে এক রায় অমান্য করায় স্বাস্থ্য সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
বাকিরা হলেন- ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার শাহা এবং ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম আনোয়ারুল হক।
এন্টিবায়োটিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস’ (জিএমপি) নীতি অনুসরণ এবং জিএমপি অনুসরণের সক্ষমতা অর্জনের ভিত্তিতে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের অনুমোদন সংক্রান্ত রায় অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভযোগ আনা হবে না তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ রুল জারি করে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এ আইনজীবী বলেন, “আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এন্টিবায়োটিকের উৎপাদন চালিয়ে গেলেও ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বা অন্যান্যরা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
জিএমপি অনুসরণ না করে এন্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে ২০১৬ সাল মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাই কোর্টে জনস্বার্থে মামলা করে।
ওই মামলার শুনানি শেষে আদালত ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ইন্দো বাংলা ফর্মাসিউটিক্যালসসহ ২০টি ওষুধ কোম্পানির মানহীন ওষুধ উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পাশাপাশি ১৪টি কোম্পানিকে এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। সেই সাথে ৩৪টি কোম্পানির অনুমোদন বাতিলে ‘বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা’ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এসব কোম্পানির লাইসেন্স ও এন্টিবায়োটিক উৎপাদনের অনুমোদন কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়।
চার কোম্পানি এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলেও হাই কোর্টের আদেশই বহাল থাকে। পরবর্তীতে রুল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত রায় দেয়। রায়ে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ‘ব্যর্থ’ ২০ কোম্পানির সব ওষুধ এবং ১৪টি কোম্পানির এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এসব কোম্পানি গোপনে ওষুধ তৈরি বা বিক্রি করছে কি না এবং কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতি তিন মাস পর পর আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় রায়ে।
যে ১৪টি কোম্পানির এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট তার মধ্যে বরিশালের ইন্দো বাংলা ফর্মাসিউটিক্যালসও ছিল। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে এই ওষুধ কোম্পানিটি ফের এন্টিবায়োটিক উৎপাদন করছে, সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশ হলে বিবাদিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনতে এইচআরপিবির পক্ষ থেকে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। বুধবার সে আবেদনের শুনানি করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননরা রুল জারি করে হাই কোর্ট।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাস্থ্য সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

আপডেট সময় : ০১:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের এন্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি নিয়ে এক রায় অমান্য করায় স্বাস্থ্য সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
বাকিরা হলেন- ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার শাহা এবং ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম আনোয়ারুল হক।
এন্টিবায়োটিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস’ (জিএমপি) নীতি অনুসরণ এবং জিএমপি অনুসরণের সক্ষমতা অর্জনের ভিত্তিতে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের অনুমোদন সংক্রান্ত রায় অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভযোগ আনা হবে না তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ রুল জারি করে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এ আইনজীবী বলেন, “আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এন্টিবায়োটিকের উৎপাদন চালিয়ে গেলেও ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বা অন্যান্যরা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
জিএমপি অনুসরণ না করে এন্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে ২০১৬ সাল মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাই কোর্টে জনস্বার্থে মামলা করে।
ওই মামলার শুনানি শেষে আদালত ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ইন্দো বাংলা ফর্মাসিউটিক্যালসসহ ২০টি ওষুধ কোম্পানির মানহীন ওষুধ উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পাশাপাশি ১৪টি কোম্পানিকে এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। সেই সাথে ৩৪টি কোম্পানির অনুমোদন বাতিলে ‘বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা’ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এসব কোম্পানির লাইসেন্স ও এন্টিবায়োটিক উৎপাদনের অনুমোদন কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়।
চার কোম্পানি এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলেও হাই কোর্টের আদেশই বহাল থাকে। পরবর্তীতে রুল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত রায় দেয়। রায়ে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ‘ব্যর্থ’ ২০ কোম্পানির সব ওষুধ এবং ১৪টি কোম্পানির এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এসব কোম্পানি গোপনে ওষুধ তৈরি বা বিক্রি করছে কি না এবং কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতি তিন মাস পর পর আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় রায়ে।
যে ১৪টি কোম্পানির এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট তার মধ্যে বরিশালের ইন্দো বাংলা ফর্মাসিউটিক্যালসও ছিল। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে এই ওষুধ কোম্পানিটি ফের এন্টিবায়োটিক উৎপাদন করছে, সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশ হলে বিবাদিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনতে এইচআরপিবির পক্ষ থেকে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। বুধবার সে আবেদনের শুনানি করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননরা রুল জারি করে হাই কোর্ট।