শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলায় বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে উপজেলাব্যাপী ব্যাপক বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টিপাতকে উপেক্ষা করে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারী পাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাশেল (১৫) ট্রাক্টরের মাধ্যমে জমি চাষ করছিলেন। একপর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের হামেদ আলীর ছেলে আরমান (১১) বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। জেলার নকলা উপজেলায় বজ্রপাতে আজিজুল হক (৩৬) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
নকলার ঘটনায় হুমায়ূন কবির ও বাবু নামে আরও দুই কৃষি শ্রমিক আহত হয়েছেন। এছাড়া শেরপুর সদর উপজেলায় মোস্তফা (৪০) নামে এক কৃষি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। একই উপজেলায় বদু মিয়া ও আবু সাঈদ নামে আরও দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরের দিকে নকলা পৌরসভার লাভা গ্রামে এবং সদর উপজেলার লছমপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকায় এই ঘটনা দুটি ঘটে। নকলায় নিহত আজিজুল হক পৌরসভার লাভা এলাকার মো. বদ্দি মিয়ার ছেলে এবং আহতরা হলেন একই এলাকার মুক্তার মিয়ার ছেলে হুমায়ূন কবির (৩০) ও আব্দুছ সালামের ছেলে বাবু মিয়া। শেরপুরে নিহত মোস্তফা কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে এবং আহতরা হলেন ফজু মিয়ার ছেলে বদু মিয়া (৩৫) ও জোসনা মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (৩৪)। এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরের দিকে লাভা এলাকার লাভা মাঠে দুই শ্রমিক নিয়ে বাড়ির সামনে আমন ধানের চারা রোপণ করার সময় হঠাৎ বজ্রপাত হতে আজিজুল হক ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং দুজন আহত হন।
পরে এলাকার লোকজন তাদের উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আজিজুল হককে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদের নকলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অন্যদিকে দুপুরে শেরপুর সদর সদর উপজেলার লছমপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকায় স্থানীয় কৃষক ভাসানীর কৃষি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হয় এবং মোস্তফা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় বদু মিয়া ও আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন। আহতদের শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বজ্রপাতে একইদিনে চারজন নিহতের ঘটনায় জেলাব্যাপী আতঙ্ক বিরাজ করছে।