ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

শীতে রংপুর বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

  • আপডেট সময় : ১২:২২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

রংপুর প্রতিনিধি : তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় রংপুর বিভাগের আট জেলার সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর রংপুরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ফলে কোমলমতি শিশুরা প্রচ- শীতে বিদ্যালয়ে আসতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে। অনেকে অসুস্থ হচ্ছে। রংপুর অঞ্চলে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। মঙ্গলবার রংপুরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এমন অবস্থায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে রংপুর বিভাগের সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শীতের তীব্রতা কমলে আবারও যথারীতি স্কুলগুলো খুলবে এবং পাঠদান চালু করা হবে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের কারণে বিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লে বিদ্যালয় আবার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। শিক্ষকদের সবাইকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে। শীতের মধ্যে শিশুশিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রাখার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪ হাজার ৩৬৫টি। এ ছাড়াও বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৩ হাজার ৯শ’ ৪৬টি, মাদ্রাসা ৫ হাজার ১শ ৩৮টি এবং এবতেদায়ি মাদ্রাসা এক হাজার ৫শ’ ৩৮টি রয়েছে। এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগের আট জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার রংপুরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬, দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ দশমিক ৫, নীলফামারীর ডিমলায় ৮ দশমিক ৫, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ৬, লালমনিরহাটে ৮ দশমিক ১, ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ দশমিক শূন্য, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ১ এবং গাইবান্ধায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
রাজশাহীতে খোলার কিছুক্ষণ আগে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ: রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে গত দুই দিন স্কুল বন্ধ থাকার পর সর্বনি¤œ তাপমাত্রায় খুলেছে সব স্কুল। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকেই আগের নিয়মে স্কুলগুলো খুলেছে। তবে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আবারও স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
গতকাল মঙ্গলবার জেলায় মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় ছিল ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে দুই দিন স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছিল শিক্ষা দফতর। ওই দিন রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর একই সঙ্গে এই ঘোষণা দেয়। রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। রোববার ও সোমবার (২১ ও ২২ জানুয়ারি) রাজশাহী জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলো।
মঙ্গলবার প্রাথমিক স্কুল চালু করে আবার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা অফিস। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আবহাওয়ার খবর পেয়ে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটার পরামর্শ দিয়েছেন আমাদের উপপরিচালক। তিনি অফিসে এসে স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেন।’
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা: শৈত্যপ্রবাহ থেকে স্কুলশিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ঠাকুরগাঁওয়ের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুধ ও বৃহস্পতিবার ২ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আখতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে হলেও ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত ক্লাস চলেছে। দুই সপ্তাহে গতকালই প্রথম সূর্যের মুখ দেখা গেলেও আজ আবার ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ঠাকুরগাঁও। সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দায়িত্বশীলদের কোনও নির্দেশনা না পাওয়ায় স্কুল খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে শিক্ষার্থীদের। হিমালয়ের পাদদেশ-সংলগ্ন ঠাকুরগাঁও জেলাতে একদিন পরে আবার বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। ঝিরঝির করে ঝরছে কুয়াশা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও কর্মজীবী মানুষ। কাজে বের হতে পারছেন না অনেকেই। বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। অনেক যানবাহন দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিময়াসহ বাড়ছে শীতজনিত নানান রোগ। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। জেলার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় বলেন, ‘তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলেও কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছাড়া তো আমরা স্কুল বন্ধ করতে পারি না।’
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) অব্দুর রশীদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের জানাবেন বলেছেন। এখন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ করার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসেনি।’ এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আখতার বলেন, ‘এইমাত্র আমরা নোটিশ দিলাম। তীব্র শীতের কারণে বুধ ও বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শীতে রংপুর বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

আপডেট সময় : ১২:২২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

রংপুর প্রতিনিধি : তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় রংপুর বিভাগের আট জেলার সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর রংপুরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ফলে কোমলমতি শিশুরা প্রচ- শীতে বিদ্যালয়ে আসতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে। অনেকে অসুস্থ হচ্ছে। রংপুর অঞ্চলে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। মঙ্গলবার রংপুরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এমন অবস্থায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে রংপুর বিভাগের সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শীতের তীব্রতা কমলে আবারও যথারীতি স্কুলগুলো খুলবে এবং পাঠদান চালু করা হবে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের কারণে বিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লে বিদ্যালয় আবার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। শিক্ষকদের সবাইকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে। শীতের মধ্যে শিশুশিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রাখার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪ হাজার ৩৬৫টি। এ ছাড়াও বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৩ হাজার ৯শ’ ৪৬টি, মাদ্রাসা ৫ হাজার ১শ ৩৮টি এবং এবতেদায়ি মাদ্রাসা এক হাজার ৫শ’ ৩৮টি রয়েছে। এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগের আট জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার রংপুরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬, দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ দশমিক ৫, নীলফামারীর ডিমলায় ৮ দশমিক ৫, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ৬, লালমনিরহাটে ৮ দশমিক ১, ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ দশমিক শূন্য, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ১ এবং গাইবান্ধায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
রাজশাহীতে খোলার কিছুক্ষণ আগে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ: রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে গত দুই দিন স্কুল বন্ধ থাকার পর সর্বনি¤œ তাপমাত্রায় খুলেছে সব স্কুল। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকেই আগের নিয়মে স্কুলগুলো খুলেছে। তবে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আবারও স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
গতকাল মঙ্গলবার জেলায় মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় ছিল ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে দুই দিন স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছিল শিক্ষা দফতর। ওই দিন রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর একই সঙ্গে এই ঘোষণা দেয়। রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। রোববার ও সোমবার (২১ ও ২২ জানুয়ারি) রাজশাহী জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলো।
মঙ্গলবার প্রাথমিক স্কুল চালু করে আবার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা অফিস। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আবহাওয়ার খবর পেয়ে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটার পরামর্শ দিয়েছেন আমাদের উপপরিচালক। তিনি অফিসে এসে স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেন।’
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা: শৈত্যপ্রবাহ থেকে স্কুলশিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ঠাকুরগাঁওয়ের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুধ ও বৃহস্পতিবার ২ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আখতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে হলেও ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত ক্লাস চলেছে। দুই সপ্তাহে গতকালই প্রথম সূর্যের মুখ দেখা গেলেও আজ আবার ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ঠাকুরগাঁও। সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দায়িত্বশীলদের কোনও নির্দেশনা না পাওয়ায় স্কুল খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে শিক্ষার্থীদের। হিমালয়ের পাদদেশ-সংলগ্ন ঠাকুরগাঁও জেলাতে একদিন পরে আবার বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। ঝিরঝির করে ঝরছে কুয়াশা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও কর্মজীবী মানুষ। কাজে বের হতে পারছেন না অনেকেই। বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। অনেক যানবাহন দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিময়াসহ বাড়ছে শীতজনিত নানান রোগ। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। জেলার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় বলেন, ‘তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলেও কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছাড়া তো আমরা স্কুল বন্ধ করতে পারি না।’
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) অব্দুর রশীদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের জানাবেন বলেছেন। এখন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ করার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসেনি।’ এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আখতার বলেন, ‘এইমাত্র আমরা নোটিশ দিলাম। তীব্র শীতের কারণে বুধ ও বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’