ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

অভিনব কৌশলে অপহরণ

  • আপডেট সময় : ০২:২১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ ফেরতের কথা বলে ডেকে এনে অপহরণ ও মুক্তিপণের মোটা অংকের টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার লুটচক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। সেইসঙ্গে মুক্তিপণের হাতিয়ে নেওয়া স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান দক্ষিণখান জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার-এডিসি) মো. তরিকুর রহমান। গ্রেপ্তাররা হলেন, ফাহিম হোসেন খান শুক্ত (১৯), মো. মামুন মোল্লা (২৬), কাজী আহাদ হোসেন (৩৪), রুবেল (২৬), মো. ইমরান হোসাইন (২৪), মোছা. সালমা আক্তার (৩৫)। তরিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ (২৮) গত ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় দাপ্তরিক কাজে নেভাল হেডকোয়ার্টার্স এ আসেন। দাপ্তরিক কাজ শেষে পরদিন ১৬ জানুয়ারি উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বাস কাউন্টারে টিকিট কাটার উদ্দেশ্যে যান। কিন্তু তার মানিব্যাগ হারিয়ে যাওয়ায় টিকিট না কেটে ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদিতে তার বাবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। গন্তব্যে যাওয়া অবস্থায় খিলক্ষেত রিজেন্সি হোটেলের সামনে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে অজ্ঞাত একটি নম্বর হতে কল আসে এবং ভুক্তভোগীর হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগটি কলারের কাছে আছে বলে জানানো হয়।
ভুক্তভোগী রিয়াজ তা সংগ্রহের জন্য দক্ষিণখান থানার ফায়দাদাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ড্রিমটাচ বিল্ডিংয়ের সামনে গেলে গ্রেপ্তাররা তাকে বাসার ৩য় তলার ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়া মাত্রই কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অজ্ঞাতনামা ৬ জন তাকে ফ্ল্যাটের ভেতরে একটি রুমে জোর করে নিয়ে যান। তার হাত-পা বেঁধে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এসময় তার কাছে থাকা ভিসা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা এবং তার শ্বশুরকে মোবাইলে কল করিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার (স্বর্ণের হার, স্বর্ণের আংটি ও স্বর্ণের কানের দুল) আদায় করে তারা। স্বর্ণালংকার নেওয়ার পর অপহরণকারীরা রিয়াজ আহমেদকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে দক্ষিণখান থানায় মামলা হয়। থানার একটি টিম অভিযান চালিয়ে আসামি ফাহিম হোসেন খান শুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত বাকি সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামি মামুন মোল্লার (১৬) কাছ থেকে মুক্তিপণের জন্য দেওয়া স্বর্ণালংকার (একটি স্বর্ণের হার, একটি স্বর্ণের আংটি ও একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল) উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অভিনব কৌশলে অপহরণ

আপডেট সময় : ০২:২১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ ফেরতের কথা বলে ডেকে এনে অপহরণ ও মুক্তিপণের মোটা অংকের টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার লুটচক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। সেইসঙ্গে মুক্তিপণের হাতিয়ে নেওয়া স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান দক্ষিণখান জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার-এডিসি) মো. তরিকুর রহমান। গ্রেপ্তাররা হলেন, ফাহিম হোসেন খান শুক্ত (১৯), মো. মামুন মোল্লা (২৬), কাজী আহাদ হোসেন (৩৪), রুবেল (২৬), মো. ইমরান হোসাইন (২৪), মোছা. সালমা আক্তার (৩৫)। তরিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ (২৮) গত ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় দাপ্তরিক কাজে নেভাল হেডকোয়ার্টার্স এ আসেন। দাপ্তরিক কাজ শেষে পরদিন ১৬ জানুয়ারি উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বাস কাউন্টারে টিকিট কাটার উদ্দেশ্যে যান। কিন্তু তার মানিব্যাগ হারিয়ে যাওয়ায় টিকিট না কেটে ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদিতে তার বাবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। গন্তব্যে যাওয়া অবস্থায় খিলক্ষেত রিজেন্সি হোটেলের সামনে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে অজ্ঞাত একটি নম্বর হতে কল আসে এবং ভুক্তভোগীর হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগটি কলারের কাছে আছে বলে জানানো হয়।
ভুক্তভোগী রিয়াজ তা সংগ্রহের জন্য দক্ষিণখান থানার ফায়দাদাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ড্রিমটাচ বিল্ডিংয়ের সামনে গেলে গ্রেপ্তাররা তাকে বাসার ৩য় তলার ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়া মাত্রই কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অজ্ঞাতনামা ৬ জন তাকে ফ্ল্যাটের ভেতরে একটি রুমে জোর করে নিয়ে যান। তার হাত-পা বেঁধে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এসময় তার কাছে থাকা ভিসা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা এবং তার শ্বশুরকে মোবাইলে কল করিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার (স্বর্ণের হার, স্বর্ণের আংটি ও স্বর্ণের কানের দুল) আদায় করে তারা। স্বর্ণালংকার নেওয়ার পর অপহরণকারীরা রিয়াজ আহমেদকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে দক্ষিণখান থানায় মামলা হয়। থানার একটি টিম অভিযান চালিয়ে আসামি ফাহিম হোসেন খান শুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত বাকি সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামি মামুন মোল্লার (১৬) কাছ থেকে মুক্তিপণের জন্য দেওয়া স্বর্ণালংকার (একটি স্বর্ণের হার, একটি স্বর্ণের আংটি ও একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল) উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।