ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ সফরের দলে ডাক পেয়ে রোমাঞ্চিত কিউই অলরাউন্ডার

  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অগাস্ট ২০২১
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : নিউ জিল্যান্ডে ক্রিকেট মৌসুম শুরু হয়নি। অফুরন্ত অবসর। কোল ম্যাকনকি সময় কাটাচ্ছিলেন গলফ খেলে। সেখানেই পেলেন একটি ফোন কল। অপর প্রান্ত থেকে যে শব্দগুলো ভেসে এলো ইথারে, তাতে এই অলরাউন্ডার নিজেও যেন ভেসে গেলেন খুশিতে। জায়গা পেয়েছেন তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরের নিউ জিল্যান্ড দলে!
ফোনটি করেছিলেন গ্যারি স্টেড। ২০১২ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে সেই সময়ের ক্যান্টারবুরি কোচ স্টেডের কাছ থেকেই ক্যাপ পেয়েছিলেন ম্যাকনকি। সেই স্টেড এখন নিউ জিল্যান্ডের প্রধান কোচ। প্রায় ৯ বছর পর তার কাছ থেকেই ম্যাকনকি জানতে পারলেন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার খবর।
“আমি গলফ কোর্সে ছিলাম, তখন গ্যারির (স্টেড) ফোন পেলাম। ভাবছিলাম, ভালো কোনো খবর পাব কিংবা খারাপ। তার কাছ থেকে খবরটি পাওয়া সত্যিই সম্মানের এবং আমার নিজের ও পরিবারের জন্য দারুণ খবর সেটি।”
“তখনই আমার স্ত্রী সারাহকে ফোন করে জানাই, এরপর বাবা-মাকে। সত্যিই স্পেশাল ফোন কল ছিল সেটি। ছেলেবেলার স্বপ্ন ছিল এটি, তা পূরণ হলো। সত্যিই বিশেষ মুহূর্ত।”
ম্যাকনকি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, পাশাপাশি করেন অফ স্পিন। নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সুপার স্ম্যাশের গত আসরে পঞ্চম সর্বোচ্চ ২৯৮ রান করেন তিনি ১২০.১৬ স্ট্রাইক রেটে। ঘরোয়া অন্যান্য আসরেও তিনি নিয়মিত পারফরমার। তার নেতৃত্বে ক্যান্টারবুরি গত মৌসুমে জেতে দুটি ঘরোয়া শিরোপা। খেলেছেন তিনি নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলেও।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরের দলে ২৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার সুযোগ পেয়েছেন মূলত দলের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা না থাকায়। স্পিনিং অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনারের ভূমিকায় ম্যাকনকিকে ভাবছে দল, জানালেন কোচ স্টেড।
“কোলের জন্য এটি রোমাঞ্চকর। স্যান্টনার ও ইশ সোধি যখন থাকছে না, টড অ্যাস্টলকেও শুরুতে পাওয়া যাচ্ছে না, তখন পরের বিকল্পগুলোর দিকে তাকাতে হয়েছে। কোল ক্যান্টারবুরির হয়ে ধারাবাহিক পারফরমার। তাকে নিয়ে আমাদের যেটি ভালো লেগেছে, তার ব্যাটিং গভীরতা যথেষ্ট।”
“আমরা তাকে দেখতে চাইব স্যান্টনারের মতো কোনো একটা ভূমিকায়, ব্যাট হাতে ফিনিশিং দেওয়ার চেষ্টা করবে এবং বল হাতে ইনিংসের নানা পর্যায়ে অবদান রাখতে পারবে।”
নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলে খেলার পর এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেকে তৈরি বলে মনে করেন ম্যাকনকি।
“নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক দলগুলি ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা সত্যিই বিশেষ কিছু। এই পর্যায়ে সাফল্য পাওয়ার পর নিজের ভেতরেও আশার জায়গা তৈরি হয় যে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সাফল্য মিলবে। আমার জন্য এটি সুযোগ পরের পর্যায়ে নিজের স্কিল পরীক্ষা করার। সুযোগটির জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ সফরের দলে ডাক পেয়ে রোমাঞ্চিত কিউই অলরাউন্ডার

আপডেট সময় : ১১:৩৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অগাস্ট ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : নিউ জিল্যান্ডে ক্রিকেট মৌসুম শুরু হয়নি। অফুরন্ত অবসর। কোল ম্যাকনকি সময় কাটাচ্ছিলেন গলফ খেলে। সেখানেই পেলেন একটি ফোন কল। অপর প্রান্ত থেকে যে শব্দগুলো ভেসে এলো ইথারে, তাতে এই অলরাউন্ডার নিজেও যেন ভেসে গেলেন খুশিতে। জায়গা পেয়েছেন তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরের নিউ জিল্যান্ড দলে!
ফোনটি করেছিলেন গ্যারি স্টেড। ২০১২ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে সেই সময়ের ক্যান্টারবুরি কোচ স্টেডের কাছ থেকেই ক্যাপ পেয়েছিলেন ম্যাকনকি। সেই স্টেড এখন নিউ জিল্যান্ডের প্রধান কোচ। প্রায় ৯ বছর পর তার কাছ থেকেই ম্যাকনকি জানতে পারলেন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার খবর।
“আমি গলফ কোর্সে ছিলাম, তখন গ্যারির (স্টেড) ফোন পেলাম। ভাবছিলাম, ভালো কোনো খবর পাব কিংবা খারাপ। তার কাছ থেকে খবরটি পাওয়া সত্যিই সম্মানের এবং আমার নিজের ও পরিবারের জন্য দারুণ খবর সেটি।”
“তখনই আমার স্ত্রী সারাহকে ফোন করে জানাই, এরপর বাবা-মাকে। সত্যিই স্পেশাল ফোন কল ছিল সেটি। ছেলেবেলার স্বপ্ন ছিল এটি, তা পূরণ হলো। সত্যিই বিশেষ মুহূর্ত।”
ম্যাকনকি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, পাশাপাশি করেন অফ স্পিন। নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সুপার স্ম্যাশের গত আসরে পঞ্চম সর্বোচ্চ ২৯৮ রান করেন তিনি ১২০.১৬ স্ট্রাইক রেটে। ঘরোয়া অন্যান্য আসরেও তিনি নিয়মিত পারফরমার। তার নেতৃত্বে ক্যান্টারবুরি গত মৌসুমে জেতে দুটি ঘরোয়া শিরোপা। খেলেছেন তিনি নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলেও।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরের দলে ২৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার সুযোগ পেয়েছেন মূলত দলের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা না থাকায়। স্পিনিং অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনারের ভূমিকায় ম্যাকনকিকে ভাবছে দল, জানালেন কোচ স্টেড।
“কোলের জন্য এটি রোমাঞ্চকর। স্যান্টনার ও ইশ সোধি যখন থাকছে না, টড অ্যাস্টলকেও শুরুতে পাওয়া যাচ্ছে না, তখন পরের বিকল্পগুলোর দিকে তাকাতে হয়েছে। কোল ক্যান্টারবুরির হয়ে ধারাবাহিক পারফরমার। তাকে নিয়ে আমাদের যেটি ভালো লেগেছে, তার ব্যাটিং গভীরতা যথেষ্ট।”
“আমরা তাকে দেখতে চাইব স্যান্টনারের মতো কোনো একটা ভূমিকায়, ব্যাট হাতে ফিনিশিং দেওয়ার চেষ্টা করবে এবং বল হাতে ইনিংসের নানা পর্যায়ে অবদান রাখতে পারবে।”
নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলে খেলার পর এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেকে তৈরি বলে মনে করেন ম্যাকনকি।
“নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক দলগুলি ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা সত্যিই বিশেষ কিছু। এই পর্যায়ে সাফল্য পাওয়ার পর নিজের ভেতরেও আশার জায়গা তৈরি হয় যে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সাফল্য মিলবে। আমার জন্য এটি সুযোগ পরের পর্যায়ে নিজের স্কিল পরীক্ষা করার। সুযোগটির জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”