বিনোদন প্রতিবেদক : গতকাল বুধবার থেকে উঠে গেছে করোনার জেরে ঘোষিত বিধিনিষেধ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছুই চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জল পথ, স্থল পথ, অফিস, আদালত, কল-কারখানা সবই খোলা। তাই অন্যান্য সেক্টরের মতো সচল হয়েছে বিনোদনপাড়াও। শুরু হয়েছে নাটক-সিনেমাসহ সব ধরনের শুটিং। আউটডোরেও করা যাবে শুটিং। বুধবার সকাল থেকে অনেকে কাজে নেমেও পড়েছেন।
তবে এক্ষেত্রে সবাইকে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিংয়ে হাজির হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন খ্যাতিমান অভিনেতা ও অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘বিধিনিষেধ উঠে যাওয়া মানেই করোনা চলে যাওয়া নয়। শুটিং জীবিকা নির্বাহের জন্য। তাই জীবিকার পথ দিয়ে জীবনটা যেন নিরাপদে থাকে।’
এই শিল্পী নেতা আরও বলেছেন, ‘এখনো প্রতিদিন আড়াই শতাধিক মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছেন। তাই যত কম লোক নিয়ে শুটিং করা যায়, ততই মঙ্গল। শুটিংয়ের সব আর্টিস্ট প্রয়োজনে প্লেট-গ্লাস সঙ্গে নিয়ে যাবেন। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত মুখে মাস্ক রাখুন। এছাড়া যারা এখনো করোনার টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিয়ে শুটিংয়ে আসুন।’
ঈদের আগে লকডাউনের মধ্যেও চলেছে শুটিং। তবে সে সময় আউটডোরে শুটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধ না মেনে খিলগাঁওয়ে রাস্তার উপর শুটিং করায় একটি শুটিং দলকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য মুচলেকা নিয়ে ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় বাইরে শুটিং করতে এখন কোনো বাধা নেই।
তবে সে সময় সিনেমার শুটিং ছিল বন্ধ। কারণ সিনেমা হল বন্ধ থাকায় শুটিং করেননি চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকরা। যেহেতু ঈদ উৎসবে সিনেমা হলে কোনো ছবি মুক্তি দেওয়া যাবে না। তবে ঈদে যেহেতু এক সপ্তাহের বেশি ধরে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে অসংখ্য নাটক প্রচারিত হয়, তাই স্বাস্থবিধি শুটিং করেছিলেন ছোটপর্দার পরিচালক-প্রযোজকরা।
চালু হয়েছে লাইট-ক্যামেরাও
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ