ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

অবশেষে বিএনপি নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর নয়াপল্টন

  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বছর ২৮ অক্টোবরের পর সুনসান নীরবতা ছিল নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার নেতাকর্মীদের আনাগোনায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে কার্যালয়টি। সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে এই তালা ভাঙে নেতাকর্মীরা। রিজভী বলেন, আমাদের যুবদলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তা-ব শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ প- করে পুলিশ এক নারকীয় তা-ব চালিয়ে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। এই দুই মাসের বেশি সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি এবং আশপাশে ভিড়লেও তাদেরও আটক করে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, পুলিশ তালা মেরে এই কার্যালয়ের চাবি নিয়ে যায়। কত নাটক করেছে। তারপরে গেট বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। সবই গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা দেখেছেনৃ জানেন। আমরা আমাদের প্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখন ঢুকেছি। পুলিশের কাছে চাবি চাওয়ার পরেও আমাদের চাবি দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, পরে আমাদের কর্মীরা তালা ভেঙে এই কার্যালয়ে আমরা প্রবেশ করি। তালা ভাঙার বিষয়ে রিজভী বলেন, সেদিনের তা-বের পর দেখেছেন আপনাদের চোখের সামনে তালা লাগিয়ে পুলিশ চাবিয়ে নিয়ে যায়। এরপর কত নাটক ওরা করেছে। আমরা পুলিশের কাছে চাবি চেয়েছিলাম। সেটা তারা দেয়নি। দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক কার্যকর রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই দল বারবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে। সেই দলের প্রধান কার্যালয় একটি মাফিয়াতন্ত্র, একটি মাফিয়া সরকার বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং পুলিশ চাবি না দেওয়াতে তালা ভেঙে আমরা ঢুকেছি। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে কোনো কার্যক্রম করতে পারিনি এই কার্যালয়ে। একপ্রকারের পুলিশি বেষ্টনীতে ছিল অফিসটি। ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য এই কার্যালয়টি তীর্থ স্থানের মতো। এখানে না আসলে মনের তৃপ্তির পূর্ণ হয় না। নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে পুরো কার্যালয় ধুলোবালির স্তুপ জমেছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষগুলো এলোমেলোভাবে পড়ে আছে চেয়ার টেবিল, কাজগপত্র, পত্রিকা প্রভৃতি। গত ২৮ অক্টোবর দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে প- করে দেওয়ার পর থেকে এই কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে যায়। এরপর থেকে সিআইডির ‘ক্রাইম সিন’ স্টিকার লাগিয়ে কার্যালয়ের সামনে সকলের প্রবেশ বন্ধ করে রাখে এবং এখান থেকে তারা ১১টি আলামত সংগ্রহ করে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অবশেষে বিএনপি নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর নয়াপল্টন

আপডেট সময় : ০১:৪১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বছর ২৮ অক্টোবরের পর সুনসান নীরবতা ছিল নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার নেতাকর্মীদের আনাগোনায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে কার্যালয়টি। সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে এই তালা ভাঙে নেতাকর্মীরা। রিজভী বলেন, আমাদের যুবদলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তা-ব শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ প- করে পুলিশ এক নারকীয় তা-ব চালিয়ে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। এই দুই মাসের বেশি সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি এবং আশপাশে ভিড়লেও তাদেরও আটক করে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, পুলিশ তালা মেরে এই কার্যালয়ের চাবি নিয়ে যায়। কত নাটক করেছে। তারপরে গেট বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। সবই গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা দেখেছেনৃ জানেন। আমরা আমাদের প্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখন ঢুকেছি। পুলিশের কাছে চাবি চাওয়ার পরেও আমাদের চাবি দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, পরে আমাদের কর্মীরা তালা ভেঙে এই কার্যালয়ে আমরা প্রবেশ করি। তালা ভাঙার বিষয়ে রিজভী বলেন, সেদিনের তা-বের পর দেখেছেন আপনাদের চোখের সামনে তালা লাগিয়ে পুলিশ চাবিয়ে নিয়ে যায়। এরপর কত নাটক ওরা করেছে। আমরা পুলিশের কাছে চাবি চেয়েছিলাম। সেটা তারা দেয়নি। দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক কার্যকর রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই দল বারবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে। সেই দলের প্রধান কার্যালয় একটি মাফিয়াতন্ত্র, একটি মাফিয়া সরকার বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং পুলিশ চাবি না দেওয়াতে তালা ভেঙে আমরা ঢুকেছি। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে কোনো কার্যক্রম করতে পারিনি এই কার্যালয়ে। একপ্রকারের পুলিশি বেষ্টনীতে ছিল অফিসটি। ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য এই কার্যালয়টি তীর্থ স্থানের মতো। এখানে না আসলে মনের তৃপ্তির পূর্ণ হয় না। নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে পুরো কার্যালয় ধুলোবালির স্তুপ জমেছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষগুলো এলোমেলোভাবে পড়ে আছে চেয়ার টেবিল, কাজগপত্র, পত্রিকা প্রভৃতি। গত ২৮ অক্টোবর দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে প- করে দেওয়ার পর থেকে এই কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে যায়। এরপর থেকে সিআইডির ‘ক্রাইম সিন’ স্টিকার লাগিয়ে কার্যালয়ের সামনে সকলের প্রবেশ বন্ধ করে রাখে এবং এখান থেকে তারা ১১টি আলামত সংগ্রহ করে।