ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

সংসদে সরকারের ত্রুটি ধরিয়ে দিতে গ্রুপ লাগে না: চুন্নু

  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১১টি আসনের জয় নিয়েই সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে ‘নিজেদের দায়িত্ব’ পালন করতে চান জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তার ভাষ্য, “আমরা কোনো শরিক না। আমরা সংসদে অপজিশনে বসে নিজেদের দায়িত্ব পালন করব। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সংসদে জনগণের পক্ষে যদি ভূমিকা রাখতে হয়, তবে গ্রুপওয়াইজ হওয়া লাগবে, তা তো কোনো কথা না। নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়েই আমরা কথা বলতে পারব বিরোধীদলীয় এমপি হিসেবে।
“আলোচনা হবে। আমরা কোনঠাসা সেটা তো বিষয় না। আমরা যে আসন পেয়েছি, সেটি নিয়েই আমরা সংসদে আমাদের ভূমিকা পালন করব।”
গতকাল বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদে শপথগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের নবনির্বাচিত এমপি চুন্নু। সংসদে সরকারের সমালোচনা করতে কোনো ‘গ্রুপের প্রয়োজন নেই’ বলে মনে করেন তিনি। জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, “সরকারের বিরোধী ভূমিকায় যেহেতু সংসদে আছি, সেহেতু সরকারের সমালোচনা করা, সরকারের ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া, এটার জন্য গ্রুপ লাগে না, ইনডিভিজুয়ালি আমরা করতে পারি। “গত সংসদে আমি ইনডিভিজুয়ালি অনেক কথা বলেছি। এবারও বলব। এতে তো কোনো বাধা নাই। গ্রুপ থাকলে যে কথা বলা যাবে, তা তো না। এটা হচ্ছে ইচ্ছা ও দায়িত্ববোধ। বিরোধী দলের একজন এমপি, কেউ স্বতন্ত্রে যদিও থাকেন, সে যদি সরকারের ত্রুটি নিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলতে চান, অবশ্যই পারেন।” এবারের নির্বাচনে ২২২টি আসনে জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জোটগতভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন মোট ২২৪ জন। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা। গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত ১১ আসনে জয় পেয়েছে। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং এক সময় বিএনপির জোটে থাকা কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। এবার রেকর্ড সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পাওয়ায় সংসদে বিরোধী দলের আসনে কারা থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তারা বিরোধী দলে ছিলেন, এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান। সংসদে বিরোধী দল হতে ২৫টি আসনের প্রয়োজন জানিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নু বলেন, “এটা একটা টেকনিক্যাল বিষয়। বিরোধীদল হতে গেলে সংসদে ২৫ জন এমপির একটি বিষয় আছে।
“আমাদের পার্লামেন্টারি পার্টির মিটিংয়ে স্বতন্ত্ররা মিলে যদি আমরা ২৫ জন বসতে পারি, তাহলে সেটা সম্ভব। আরও কোনো ফাঁক আছে কিনা সেটা আমরা দেখব। বিষয়টা কী হবে, এখনও সিদ্ধান্ত আমাদের হয়নি। আমরা মাননীয় স্পিকারের সাথে আবার বসব। তারপর আপনাদের পরিষ্কার সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সংসদে সরকারের ত্রুটি ধরিয়ে দিতে গ্রুপ লাগে না: চুন্নু

আপডেট সময় : ১২:৪৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১১টি আসনের জয় নিয়েই সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে ‘নিজেদের দায়িত্ব’ পালন করতে চান জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তার ভাষ্য, “আমরা কোনো শরিক না। আমরা সংসদে অপজিশনে বসে নিজেদের দায়িত্ব পালন করব। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সংসদে জনগণের পক্ষে যদি ভূমিকা রাখতে হয়, তবে গ্রুপওয়াইজ হওয়া লাগবে, তা তো কোনো কথা না। নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়েই আমরা কথা বলতে পারব বিরোধীদলীয় এমপি হিসেবে।
“আলোচনা হবে। আমরা কোনঠাসা সেটা তো বিষয় না। আমরা যে আসন পেয়েছি, সেটি নিয়েই আমরা সংসদে আমাদের ভূমিকা পালন করব।”
গতকাল বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদে শপথগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের নবনির্বাচিত এমপি চুন্নু। সংসদে সরকারের সমালোচনা করতে কোনো ‘গ্রুপের প্রয়োজন নেই’ বলে মনে করেন তিনি। জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, “সরকারের বিরোধী ভূমিকায় যেহেতু সংসদে আছি, সেহেতু সরকারের সমালোচনা করা, সরকারের ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া, এটার জন্য গ্রুপ লাগে না, ইনডিভিজুয়ালি আমরা করতে পারি। “গত সংসদে আমি ইনডিভিজুয়ালি অনেক কথা বলেছি। এবারও বলব। এতে তো কোনো বাধা নাই। গ্রুপ থাকলে যে কথা বলা যাবে, তা তো না। এটা হচ্ছে ইচ্ছা ও দায়িত্ববোধ। বিরোধী দলের একজন এমপি, কেউ স্বতন্ত্রে যদিও থাকেন, সে যদি সরকারের ত্রুটি নিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলতে চান, অবশ্যই পারেন।” এবারের নির্বাচনে ২২২টি আসনে জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জোটগতভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন মোট ২২৪ জন। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা। গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত ১১ আসনে জয় পেয়েছে। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং এক সময় বিএনপির জোটে থাকা কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। এবার রেকর্ড সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পাওয়ায় সংসদে বিরোধী দলের আসনে কারা থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তারা বিরোধী দলে ছিলেন, এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান। সংসদে বিরোধী দল হতে ২৫টি আসনের প্রয়োজন জানিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নু বলেন, “এটা একটা টেকনিক্যাল বিষয়। বিরোধীদল হতে গেলে সংসদে ২৫ জন এমপির একটি বিষয় আছে।
“আমাদের পার্লামেন্টারি পার্টির মিটিংয়ে স্বতন্ত্ররা মিলে যদি আমরা ২৫ জন বসতে পারি, তাহলে সেটা সম্ভব। আরও কোনো ফাঁক আছে কিনা সেটা আমরা দেখব। বিষয়টা কী হবে, এখনও সিদ্ধান্ত আমাদের হয়নি। আমরা মাননীয় স্পিকারের সাথে আবার বসব। তারপর আপনাদের পরিষ্কার সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।”