ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

রেকর্ড গড়ে জয়ী স্বতন্ত্র যারা

  • আপডেট সময় : ০২:০২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হতে দেখল দেশ। এর আগে এত বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ের নজির নেই। ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতে সংসদে পৌঁছেছিলেন। বিএনপির ভোট বর্জনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগে আওয়ামী লীগের নেতারাই নৌকার বিরুদ্ধে লড়েছেন এবার। তারাসহ স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন স্বতন্ত্রের মধ্যে ৬২ জন বিজয়ী হয়েছেন। এদের ৫৯ জন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। বাকিদের মধ্যে দুজন সরাসরি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের একজন মোহাম্মদ সিদ্দিকুল আলম জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বাজিমাত করেছেন। নৌকার ছাড় পেয়েও আসনটিতে জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান।
স্বতন্ত্র হয়ে জেতা আরেকজন সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপির বর্তমান ও সাবেক নেতা-কর্মীরা তাকে সমর্থন দেন।
আর সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট) আসনে নৌকাকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন ধর্মভিত্তিক সংগঠন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মোহাম্মদ হুছাম উদ্দিন চৌধুরী। সরকার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ফুলতলীর এই পীরের কাছে ১৪ হাজার ভোটে হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ২৯৮ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২২টিতে। এর বাইরে জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
স্বতন্ত্র জয়ীরা হলেন: দিনাজপুর-১ মো. জাকারিয়া। নীলফামারি-৩ মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল। নীলফামারি-৪ মো. সিদ্দিকুল আলম। রংপুর-১ মো. আসাদুজ্জামান। রংপুর-৫ মো. জাকির হোসেন সরকার। কুড়িগ্রাম-২ মো. হামিদুল হক খন্দকার। গাইবান্ধা-১ আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। গাইবান্ধা-২ শাহ সারোয়ার কবীর। বগুড়া-৩ খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। নওগাঁ-৪ এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ। নওগাঁ-৬ মো. ওমর ফারুক। রাজশাহী-২ মো. শফিকুর রহমান। নাটোর-১ মো. আবুল কালাম। কুষ্টিয়া-১ মো. রেজাউল হক চৌধুরী। কুষ্টিয়া-২ মো. কামারুল আরেফিন। কুষ্টিয়া-৪ আব্দুর রউফ। ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। যশোর-৫ মো. ইয়াকুব আলী। যশোর-৬ মো. আজিজুল ইসলাম। বরগুনা-১ গোলাম সরোয়ার টুকু। বরিশাল-৪ পংকজ নাথ। পিরোজপুর-২ মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। পিরোজপুর-৩ মো. শামীম শাহনেওয়াজ। টাঙ্গাইল-৩ মো. আমানুর রহমান খান রানা। টাঙ্গাইল-৪ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল-৫ মো. ছানোয়ার হোসেন। জামালপুর-৪ মো. আব্দুর রশীদ। শেরপুর-১ মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু। ময়মনসিংহ-১ মাহমুদুল হক সায়েম। ময়মনসিংহ-৫ মো. নজরুল ইসলাম। ময়মনিসংহ-৬ মো. আব্দুল মালেক সরকার। ময়মনসিংহ-৮ মাহমুদুল হাসান সুমন। ময়মনসিংহ-১১ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ। নেত্রকোনা-৩ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু। কিশোরগঞ্জ-২ মো. সোহরাব উদ্দিন। মানিকগঞ্জ-১ সালাউদ্দিন মাহমুদ। মানিকগঞ্জ-২ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ। মুন্সিগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ ফয়সাল। ঢাকা-৪ মো. আওলাদ হোসেন। ঢাকা-৫ মো. মশিউর রহমান মোল্লা সজল। ঢাকা-১৮ মো. খসরু চৌধুরী। ঢাকা-১৯ মো. সাইফুল ইসলাম। গাজীপুর-৫ আক্তারুজ্জামান। নরসিংদী-৩ মো. সিরাজুল ইসলাম। ফরিদপুর-৩ আব্দুল কাদের আজাদ। ফরিদপুর-৪ মজিবুর রহমান চৌধুরী। মাদারিপুর-৩ মোসা. তাহমিনা বেগম। সুনামগঞ্জ-২ জয়াসেন গুপ্তা। সিলেট-৫ মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী। হবিগঞ্জ-১ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। হবিগঞ্জ-৪ সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ব্রাম্মবাড়িয়া-১ এস এ কে একরামুজ্জামান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. মঈন উদ্দিন। কুমিল্লা-২ মো. আব্দুল মজিদ। কুমিল্লা-৩ জাহাঙ্গীর আলম। কুমিল্লা-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ। কুমিল্লা-৫ এম এ জাহের। লক্ষীপুর-৪ মো. আব্দুল্লাহ। চট্টগ্রাম-৮ মো. আব্দুচ ছালাম। চট্টগ্রাম-১৫ আব্দুল মোতালেব। চট্টগ্রাম-১৬ মুজিবুর রহমান।
অতীতের খতিয়ান: ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৯ প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ১২০ জন। তারা ভোট পেয়েছিলেন ৫.২ শতাংশ। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচনে ২ হাজার ১২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ৪২২ জন। তারা পেয়েছিলেন মোট ভোটের ১০.১০ শতাংশ। ১৯৮৬ সালে বিএনপির বর্জনের মধ্যে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ৪৫৩ জন। তবে সেই নির্বাচনে তারা খুব একটা ভোট টানতে পারেননি, প্রদত্ত ভোটের ১.৭৩ শতাংশ পায় তারা। ১৯৮৮ সালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বর্জনের মধ্যে চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোট পান। সেই নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৯১৯ জন, যার মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ২১২ জন। তারা পান প্রদত্ত ভোটের ১৩.৫০ শতাংশ। ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ২ হাজার ৭৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ৪২৪ জন, তারা ভোট পান ৪.৩৯ শতাংশ। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের বর্জনের মধ্যে ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৪৫০ জন। সেই নির্বাচনের অনেক তথ্যই পাওয় যায় না। তবে স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রার্থীদের ১০টি আসনে জয়ে তথ্য আছে। ১৯৯৬ সালের জুনের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে ২ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ২৮৪ জন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে ভোট পড়ে ১.০৬ শতাংশ। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ভোট, দুটোই আবার বাড়ে। সেই বছর ১ হাজার ৯৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিল ৪৮৬ জন, তারা পান প্রদত্ত ভোটের ৪.০৬ শতাংশ। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় কড়াকড়ি করে তৎকালীন ইসি। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ভোটারদের আগাম সমর্থনের প্রমাণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ হয়। এতে কমে আসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৫৬৭ প্রার্থীর মধ্যে ১৫১ জন ছিলেন স্বতন্ত্র, যারা পান প্রদত্ত ভোটের ২.৯৮ শতাংশ, আসন পায় ৪টি। আনুপাতিক হারে স্বতন্ত্র সবচেয়ে বেশি ছিল বিএনপি-জাময়াত জোটের বর্জনে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে একজন প্রার্থী ছিল বলে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি ১৪৭ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৩৯০ জন, এর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ১০৪ জন। সেই নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫.০৬ শতাংশই পান এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা আসন জেতেন ১৬টি। এদের সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ভোটে দাঁড়ান সে সময়। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১২৮ জন। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ১ হাজার ৮৬১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান ৩ আসনে। তবে তাদেরও দলীয় পরিচয় ছিল। ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১৯৭০ জন, তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

রেকর্ড গড়ে জয়ী স্বতন্ত্র যারা

আপডেট সময় : ০২:০২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হতে দেখল দেশ। এর আগে এত বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ের নজির নেই। ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতে সংসদে পৌঁছেছিলেন। বিএনপির ভোট বর্জনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগে আওয়ামী লীগের নেতারাই নৌকার বিরুদ্ধে লড়েছেন এবার। তারাসহ স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন স্বতন্ত্রের মধ্যে ৬২ জন বিজয়ী হয়েছেন। এদের ৫৯ জন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। বাকিদের মধ্যে দুজন সরাসরি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের একজন মোহাম্মদ সিদ্দিকুল আলম জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বাজিমাত করেছেন। নৌকার ছাড় পেয়েও আসনটিতে জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান।
স্বতন্ত্র হয়ে জেতা আরেকজন সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপির বর্তমান ও সাবেক নেতা-কর্মীরা তাকে সমর্থন দেন।
আর সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট) আসনে নৌকাকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন ধর্মভিত্তিক সংগঠন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মোহাম্মদ হুছাম উদ্দিন চৌধুরী। সরকার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ফুলতলীর এই পীরের কাছে ১৪ হাজার ভোটে হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ২৯৮ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২২টিতে। এর বাইরে জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
স্বতন্ত্র জয়ীরা হলেন: দিনাজপুর-১ মো. জাকারিয়া। নীলফামারি-৩ মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল। নীলফামারি-৪ মো. সিদ্দিকুল আলম। রংপুর-১ মো. আসাদুজ্জামান। রংপুর-৫ মো. জাকির হোসেন সরকার। কুড়িগ্রাম-২ মো. হামিদুল হক খন্দকার। গাইবান্ধা-১ আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। গাইবান্ধা-২ শাহ সারোয়ার কবীর। বগুড়া-৩ খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। নওগাঁ-৪ এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ। নওগাঁ-৬ মো. ওমর ফারুক। রাজশাহী-২ মো. শফিকুর রহমান। নাটোর-১ মো. আবুল কালাম। কুষ্টিয়া-১ মো. রেজাউল হক চৌধুরী। কুষ্টিয়া-২ মো. কামারুল আরেফিন। কুষ্টিয়া-৪ আব্দুর রউফ। ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। যশোর-৫ মো. ইয়াকুব আলী। যশোর-৬ মো. আজিজুল ইসলাম। বরগুনা-১ গোলাম সরোয়ার টুকু। বরিশাল-৪ পংকজ নাথ। পিরোজপুর-২ মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। পিরোজপুর-৩ মো. শামীম শাহনেওয়াজ। টাঙ্গাইল-৩ মো. আমানুর রহমান খান রানা। টাঙ্গাইল-৪ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল-৫ মো. ছানোয়ার হোসেন। জামালপুর-৪ মো. আব্দুর রশীদ। শেরপুর-১ মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু। ময়মনসিংহ-১ মাহমুদুল হক সায়েম। ময়মনসিংহ-৫ মো. নজরুল ইসলাম। ময়মনিসংহ-৬ মো. আব্দুল মালেক সরকার। ময়মনসিংহ-৮ মাহমুদুল হাসান সুমন। ময়মনসিংহ-১১ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ। নেত্রকোনা-৩ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু। কিশোরগঞ্জ-২ মো. সোহরাব উদ্দিন। মানিকগঞ্জ-১ সালাউদ্দিন মাহমুদ। মানিকগঞ্জ-২ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ। মুন্সিগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ ফয়সাল। ঢাকা-৪ মো. আওলাদ হোসেন। ঢাকা-৫ মো. মশিউর রহমান মোল্লা সজল। ঢাকা-১৮ মো. খসরু চৌধুরী। ঢাকা-১৯ মো. সাইফুল ইসলাম। গাজীপুর-৫ আক্তারুজ্জামান। নরসিংদী-৩ মো. সিরাজুল ইসলাম। ফরিদপুর-৩ আব্দুল কাদের আজাদ। ফরিদপুর-৪ মজিবুর রহমান চৌধুরী। মাদারিপুর-৩ মোসা. তাহমিনা বেগম। সুনামগঞ্জ-২ জয়াসেন গুপ্তা। সিলেট-৫ মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী। হবিগঞ্জ-১ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। হবিগঞ্জ-৪ সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ব্রাম্মবাড়িয়া-১ এস এ কে একরামুজ্জামান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. মঈন উদ্দিন। কুমিল্লা-২ মো. আব্দুল মজিদ। কুমিল্লা-৩ জাহাঙ্গীর আলম। কুমিল্লা-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ। কুমিল্লা-৫ এম এ জাহের। লক্ষীপুর-৪ মো. আব্দুল্লাহ। চট্টগ্রাম-৮ মো. আব্দুচ ছালাম। চট্টগ্রাম-১৫ আব্দুল মোতালেব। চট্টগ্রাম-১৬ মুজিবুর রহমান।
অতীতের খতিয়ান: ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৯ প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ১২০ জন। তারা ভোট পেয়েছিলেন ৫.২ শতাংশ। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচনে ২ হাজার ১২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ৪২২ জন। তারা পেয়েছিলেন মোট ভোটের ১০.১০ শতাংশ। ১৯৮৬ সালে বিএনপির বর্জনের মধ্যে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ৪৫৩ জন। তবে সেই নির্বাচনে তারা খুব একটা ভোট টানতে পারেননি, প্রদত্ত ভোটের ১.৭৩ শতাংশ পায় তারা। ১৯৮৮ সালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বর্জনের মধ্যে চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোট পান। সেই নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৯১৯ জন, যার মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ২১২ জন। তারা পান প্রদত্ত ভোটের ১৩.৫০ শতাংশ। ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ২ হাজার ৭৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ৪২৪ জন, তারা ভোট পান ৪.৩৯ শতাংশ। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের বর্জনের মধ্যে ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৪৫০ জন। সেই নির্বাচনের অনেক তথ্যই পাওয় যায় না। তবে স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রার্থীদের ১০টি আসনে জয়ে তথ্য আছে। ১৯৯৬ সালের জুনের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে ২ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ২৮৪ জন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে ভোট পড়ে ১.০৬ শতাংশ। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ভোট, দুটোই আবার বাড়ে। সেই বছর ১ হাজার ৯৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিল ৪৮৬ জন, তারা পান প্রদত্ত ভোটের ৪.০৬ শতাংশ। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় কড়াকড়ি করে তৎকালীন ইসি। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ভোটারদের আগাম সমর্থনের প্রমাণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ হয়। এতে কমে আসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৫৬৭ প্রার্থীর মধ্যে ১৫১ জন ছিলেন স্বতন্ত্র, যারা পান প্রদত্ত ভোটের ২.৯৮ শতাংশ, আসন পায় ৪টি। আনুপাতিক হারে স্বতন্ত্র সবচেয়ে বেশি ছিল বিএনপি-জাময়াত জোটের বর্জনে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে একজন প্রার্থী ছিল বলে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি ১৪৭ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৩৯০ জন, এর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ১০৪ জন। সেই নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫.০৬ শতাংশই পান এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা আসন জেতেন ১৬টি। এদের সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ভোটে দাঁড়ান সে সময়। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১২৮ জন। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ১ হাজার ৮৬১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান ৩ আসনে। তবে তাদেরও দলীয় পরিচয় ছিল। ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১৯৭০ জন, তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন।