ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

টানা চতুর্থবারের মতো ছেলুন-টগর

  • আপডেট সময় : ১২:১৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গায় টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও আলী আজগর টগর। ছেলুন চুয়াডাঙ্গা-১ ও টগর চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন পেয়েছেন ৯৬ হাজার ২৬৬ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালা পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭৬৮ ভোট। এ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮১টি। ভোট পড়েছে ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে এক লাখ ৭ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান এমপি আলী আজগর। তার নিকটতম ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসেম রেজা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৪৪ ভোট। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৩টি। ভোট পড়েছে ৩২ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টায় বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
৫টিতে নৌকা, ১টিতে স্বতন্ত্র
দিনাজপুর সংবাদদাতা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে নৌকা ও একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া জাকা। ট্রাক মার্কা নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ ভোট। দিনাজপুর-২ আসনে (বিরল-বোচাগঞ্জ) বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯১২। তার নিকটতম ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবন ১০ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়েছেন। দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ ভোট। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন ইকবালুর রহিম। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী হযরত আলী বেলাল পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৮২ ভোট। এ নিয়ে অষ্টম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।
দিনাজপুর-৬ (নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিবলী সাদিক বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন শিবলী সাদিক।
৫ আসনেই নৌকার প্রার্থীরা
পাবনা সংবাদদাতা
পাবনার পাঁচটি আসনে নৌকার প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (০৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান। ঘোষিত ফলাফলে পাবনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকু নৌকা প্রতীকে ৯৪,৩১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২,৩৮৭ ভোট। এ আসনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) শামসুল হক আম প্রতীকে ২৭৭ ভোট, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দলের (জাসদ) পারভীন খাতুন মশাল প্রতীকে ১৯০ ভোট, তৃণমূল বিএনপির জয়নাল আবেদীন সোনালী আঁশ প্রতীকে ৪০১ ভোট এবং জাতীয় পার্টির সরদার শাজাহান লাঙ্গল প্রতীকে ৩৭৬ ভোট পেয়েছেন। পাবনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির নৌকা প্রতীকে ১,৬৫,৮৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনএম প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী নোঙর প্রতীকে পেয়েছেন ৪,৩৮২ ভোট। পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন নৌকা প্রতীকে ১,১৯,৪৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ১,০০,১৫৯ ভোট। পাবনা-৪ আসনে গালিবুর রহমান শরীফ নৌকা প্রতীকে ১,৬৭,৪৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪,৬৬২ ভোট। পাবনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক প্রিন্স ১,৫৭,২৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩,৩১৬ ভোট।
নতুন এমপি পেলো মিরসরাই
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে দীর্ঘ ৫৪ বছর পর আওয়ামী লীগের এমপি পরিবর্তন হয়েছে। তবে একই ঘরে এই পদ রয়ে গেছে। বাবার পরিবর্তে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ছেলে। ১৯৭০ সাল থেকে অদ্যাবধি এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তার ছেলে মাহবুব উর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (ঈগল) পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট। মাহবুব উর রহমান ৩৬ হাজার ৬৯ ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৩৯.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। মিরসরাইয়ে ১০৬টি কেন্দ্রে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬২৫ জন। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৭। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪৫। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬২। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙ্গল) পান ৪০৮ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত আবদুল মান্নান (চেয়ার) পান ২০৫ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত মো. ইউসুফ (টেলিভিশন) পান ২০০ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বিএসপি) মনোনীত মো. নুরুল করিম আফছার (একতারা) পান ১৯৯ ভোট ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) মনোনীত শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাতপাঞ্জা) পান ৪৬ ভোট।মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় পর মিরসরাইয়ে আমরা নতুন এমপি পেয়েছি। দীর্ঘ ৫৪ বছর আমাদের প্রিয় অভিবাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ছিলেন। তিনি মিরসরাইকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তার মেজ ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেলকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিয়েছে দল। ৭ জানুয়ারি তাকে মিরসরাইবাসী বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। আমরা ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করছি এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিজয়ী হলেন জাহিদ মালেক স্বপন
মোঃ ইউনুছ আলী, সাটুরিয়া(মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে আঃলীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব জাহিদ মালেক স্বপন গতকাল অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২৬৭২০ টি ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম গণফোরামের সূর্য প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মফিজুল ইসলাম কামাল ৫৩৯১টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছেন। স্বপন তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মফিজুল ইসলাম খান কামালের চেয়ে বিপুল সংখ্যক বেশী ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ভোটাররা উৎসব মূখোর হয়ে ভোট দিয়েছেন। কোথাও কোন জ্বাল ভোটসহ অপ্রিতীকর ঘটনা কিংবা আইন শৃঙ্খলার অবনতির কোন খবর শুনা যায়নি। উক্ত ৩ নম্বর আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে আঃলীগের নৌকার মনোনিত প্রার্থী জাহিদ মালেক স্বপনের প্রতীক (নৌকা), জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনএম) প্রার্থী খালিদ দেওয়ানের প্রতীক (নোঙ্গর), কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রার্থী এম হাবিব উল্লাহর প্রতীক (গামছা), গণফোরামের প্রার্থী মফিজুল ইসলাম খাঁন কামালের প্রতীক (উদীয়মান সূর্য), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ জহিরুল আলমের প্রতীক (লাঙ্গল) ও তৃণমূল (বিএনপি) এর মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন মজলিশের প্রতীক হচ্ছে (সোনালী আঁশ)। সাটুরিয়া উপজেলায় ৯টি ও মানিকগঞ্জ সদরে ৭টি ইউনিয়নসহ মোট ১৬টি ইউনিয়ন এবং মানিকগঞ্জ পৌরসভা নিয়ে এ ৩ নম্বর আসন গঠিত। এখানে মোট ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৯ জন। এর মধ্েয পুরুষ ভোটার হচ্ছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৪ জন ও নারী ভোটার হচ্ছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯১৫ জন। আর ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে মোট ১৪৩টি তন্মধ্েয সাটুরিয়ায় ৬০টি ও মানিকগঞ্জ সদরে হচ্ছে ৮৩টি কেন্দ্র। বিগত ০৮ইং সন হতে এ আসনটি আঃলীগের দখলে রয়েছে। এবারসহ পরপর ৪ বার একই আসন থেকে জাহিদ মালেক স্বপন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্ত এক সময় এটা বিএনপির ভোটের দূর্গো হিসেবে পরিচিত ছিল। আলহাজ্ব জাহিদ মালেক স্বপন প্রধানমন্ত্রী ও আঃলীগের সভাপতি জননেত্রী দরদী শেখ হাসিনার নিকট থেকে মানিকগঞ্জে কয়েক হাজার কোটি টাকা এনে তা ব্যয় করে এলাকার আশাতীত (দৃশ্যমান) উন্নয়ন করেছেন। তাই এলাকার ভোটাররা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জাহিদ মালেক স্বপনকে বিজয়ী করে প্রধান মন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করেছেন বলে ভোটাররা জানান।
মাদারীপুরে দুটিতে নৌকার জয়, একটিতে স্বতন্ত্র
মাদারীপুর সংবাদদাতা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুরের তিনটি আসনের দুইটিতেই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী নৌকা প্রতীকে টানা ৭ম বারের মতো নির্বাচিত হলেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের মো. মোতাহার হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৬ ভোট। এ আসনে ১০২টি ভোটকেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ লাখ ১ হাজার ৯৫ জন। মোট প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ১ হাজার ১২৩টি। এরমধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫১৯টি। ভোট পড়ার হার ৬৬ দশমিক ৭৯ ভাগ। মাদারীপুর-২ (সদর-রাজৈর) আসনে শাজাহান খান নৌকা প্রতীকে টানা ৮ম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে একে.এম নুরুজ্জামান পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫টি ভোট। আসনটিতে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭ হাজার ৪৮০ জন। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ১৮২টি। এরমধ্যে বৈধ ভোট ২ লাখ ৩১ হাজার ৬১৫টি। এ আসনে মোট ভোটের হার ৫৭ দশমিক ৪৮ ভাগ। মাদারীপুর-৩ (কালকিনি-ডাসার) আসনে ঈগল প্রতীকের মোসা. তহমিনা বেগম ৯৬ হাজার ৬৩৩টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুস সোবাহান গোলাপ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১টি। এ আসনে ভোট পড়েছে ৪৫ দশমিক ২৬ ভাগ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টানা চতুর্থবারের মতো ছেলুন-টগর

আপডেট সময় : ১২:১৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গায় টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও আলী আজগর টগর। ছেলুন চুয়াডাঙ্গা-১ ও টগর চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন পেয়েছেন ৯৬ হাজার ২৬৬ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালা পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭৬৮ ভোট। এ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮১টি। ভোট পড়েছে ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে এক লাখ ৭ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান এমপি আলী আজগর। তার নিকটতম ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসেম রেজা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৪৪ ভোট। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৩টি। ভোট পড়েছে ৩২ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টায় বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
৫টিতে নৌকা, ১টিতে স্বতন্ত্র
দিনাজপুর সংবাদদাতা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে নৌকা ও একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া জাকা। ট্রাক মার্কা নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ ভোট। দিনাজপুর-২ আসনে (বিরল-বোচাগঞ্জ) বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯১২। তার নিকটতম ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবন ১০ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়েছেন। দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ ভোট। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন ইকবালুর রহিম। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী হযরত আলী বেলাল পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৮২ ভোট। এ নিয়ে অষ্টম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।
দিনাজপুর-৬ (নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিবলী সাদিক বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন শিবলী সাদিক।
৫ আসনেই নৌকার প্রার্থীরা
পাবনা সংবাদদাতা
পাবনার পাঁচটি আসনে নৌকার প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (০৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান। ঘোষিত ফলাফলে পাবনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকু নৌকা প্রতীকে ৯৪,৩১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২,৩৮৭ ভোট। এ আসনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) শামসুল হক আম প্রতীকে ২৭৭ ভোট, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দলের (জাসদ) পারভীন খাতুন মশাল প্রতীকে ১৯০ ভোট, তৃণমূল বিএনপির জয়নাল আবেদীন সোনালী আঁশ প্রতীকে ৪০১ ভোট এবং জাতীয় পার্টির সরদার শাজাহান লাঙ্গল প্রতীকে ৩৭৬ ভোট পেয়েছেন। পাবনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির নৌকা প্রতীকে ১,৬৫,৮৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনএম প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী নোঙর প্রতীকে পেয়েছেন ৪,৩৮২ ভোট। পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন নৌকা প্রতীকে ১,১৯,৪৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ১,০০,১৫৯ ভোট। পাবনা-৪ আসনে গালিবুর রহমান শরীফ নৌকা প্রতীকে ১,৬৭,৪৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪,৬৬২ ভোট। পাবনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক প্রিন্স ১,৫৭,২৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩,৩১৬ ভোট।
নতুন এমপি পেলো মিরসরাই
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে দীর্ঘ ৫৪ বছর পর আওয়ামী লীগের এমপি পরিবর্তন হয়েছে। তবে একই ঘরে এই পদ রয়ে গেছে। বাবার পরিবর্তে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ছেলে। ১৯৭০ সাল থেকে অদ্যাবধি এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তার ছেলে মাহবুব উর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (ঈগল) পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট। মাহবুব উর রহমান ৩৬ হাজার ৬৯ ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৩৯.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। মিরসরাইয়ে ১০৬টি কেন্দ্রে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬২৫ জন। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৭। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪৫। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬২। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙ্গল) পান ৪০৮ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত আবদুল মান্নান (চেয়ার) পান ২০৫ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত মো. ইউসুফ (টেলিভিশন) পান ২০০ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বিএসপি) মনোনীত মো. নুরুল করিম আফছার (একতারা) পান ১৯৯ ভোট ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) মনোনীত শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাতপাঞ্জা) পান ৪৬ ভোট।মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় পর মিরসরাইয়ে আমরা নতুন এমপি পেয়েছি। দীর্ঘ ৫৪ বছর আমাদের প্রিয় অভিবাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ছিলেন। তিনি মিরসরাইকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তার মেজ ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেলকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিয়েছে দল। ৭ জানুয়ারি তাকে মিরসরাইবাসী বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। আমরা ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করছি এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিজয়ী হলেন জাহিদ মালেক স্বপন
মোঃ ইউনুছ আলী, সাটুরিয়া(মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে আঃলীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব জাহিদ মালেক স্বপন গতকাল অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২৬৭২০ টি ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম গণফোরামের সূর্য প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মফিজুল ইসলাম কামাল ৫৩৯১টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছেন। স্বপন তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মফিজুল ইসলাম খান কামালের চেয়ে বিপুল সংখ্যক বেশী ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ভোটাররা উৎসব মূখোর হয়ে ভোট দিয়েছেন। কোথাও কোন জ্বাল ভোটসহ অপ্রিতীকর ঘটনা কিংবা আইন শৃঙ্খলার অবনতির কোন খবর শুনা যায়নি। উক্ত ৩ নম্বর আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে আঃলীগের নৌকার মনোনিত প্রার্থী জাহিদ মালেক স্বপনের প্রতীক (নৌকা), জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনএম) প্রার্থী খালিদ দেওয়ানের প্রতীক (নোঙ্গর), কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রার্থী এম হাবিব উল্লাহর প্রতীক (গামছা), গণফোরামের প্রার্থী মফিজুল ইসলাম খাঁন কামালের প্রতীক (উদীয়মান সূর্য), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ জহিরুল আলমের প্রতীক (লাঙ্গল) ও তৃণমূল (বিএনপি) এর মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন মজলিশের প্রতীক হচ্ছে (সোনালী আঁশ)। সাটুরিয়া উপজেলায় ৯টি ও মানিকগঞ্জ সদরে ৭টি ইউনিয়নসহ মোট ১৬টি ইউনিয়ন এবং মানিকগঞ্জ পৌরসভা নিয়ে এ ৩ নম্বর আসন গঠিত। এখানে মোট ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৯ জন। এর মধ্েয পুরুষ ভোটার হচ্ছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৪ জন ও নারী ভোটার হচ্ছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯১৫ জন। আর ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে মোট ১৪৩টি তন্মধ্েয সাটুরিয়ায় ৬০টি ও মানিকগঞ্জ সদরে হচ্ছে ৮৩টি কেন্দ্র। বিগত ০৮ইং সন হতে এ আসনটি আঃলীগের দখলে রয়েছে। এবারসহ পরপর ৪ বার একই আসন থেকে জাহিদ মালেক স্বপন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্ত এক সময় এটা বিএনপির ভোটের দূর্গো হিসেবে পরিচিত ছিল। আলহাজ্ব জাহিদ মালেক স্বপন প্রধানমন্ত্রী ও আঃলীগের সভাপতি জননেত্রী দরদী শেখ হাসিনার নিকট থেকে মানিকগঞ্জে কয়েক হাজার কোটি টাকা এনে তা ব্যয় করে এলাকার আশাতীত (দৃশ্যমান) উন্নয়ন করেছেন। তাই এলাকার ভোটাররা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জাহিদ মালেক স্বপনকে বিজয়ী করে প্রধান মন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করেছেন বলে ভোটাররা জানান।
মাদারীপুরে দুটিতে নৌকার জয়, একটিতে স্বতন্ত্র
মাদারীপুর সংবাদদাতা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুরের তিনটি আসনের দুইটিতেই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী নৌকা প্রতীকে টানা ৭ম বারের মতো নির্বাচিত হলেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের মো. মোতাহার হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৬ ভোট। এ আসনে ১০২টি ভোটকেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ লাখ ১ হাজার ৯৫ জন। মোট প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ১ হাজার ১২৩টি। এরমধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫১৯টি। ভোট পড়ার হার ৬৬ দশমিক ৭৯ ভাগ। মাদারীপুর-২ (সদর-রাজৈর) আসনে শাজাহান খান নৌকা প্রতীকে টানা ৮ম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে একে.এম নুরুজ্জামান পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫টি ভোট। আসনটিতে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭ হাজার ৪৮০ জন। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ১৮২টি। এরমধ্যে বৈধ ভোট ২ লাখ ৩১ হাজার ৬১৫টি। এ আসনে মোট ভোটের হার ৫৭ দশমিক ৪৮ ভাগ। মাদারীপুর-৩ (কালকিনি-ডাসার) আসনে ঈগল প্রতীকের মোসা. তহমিনা বেগম ৯৬ হাজার ৬৩৩টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুস সোবাহান গোলাপ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১টি। এ আসনে ভোট পড়েছে ৪৫ দশমিক ২৬ ভাগ।