ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সরকারকে ট্যাক্স না দিতে বিএনপির প্রচারণা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ

  • আপডেট সময় : ০১:০১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : হরতাল, অবরোধসহ ভোট বর্জনের কর্মসূচির নামে নাশকতার কাজে বিএনপি দিনমজুর-শ্রমিকদের ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বিএনপি ভোট বর্জনের কর্মসূচির নামে যা করছে তা দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী। তারা যে লিফলেট বিতরণ করছেন সেখানে বলা হচ্ছে, সরকারকে সব ধরনের ট্যাক্স খাজনা, ইউটিলিটি বিল স্থগিত করুন। তারা একদিকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে নাশকতার কাজ করছেন। বিএনপির এসব অপপ্রচার রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ। তাদের এই অপপ্রচার সংবিধানবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী এবং জনবিরোধী। এই প্রচেষ্টা থামানোর জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ বদ্ধপরিকর।
গতকাল রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। গত ২৮ অক্টোবর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তারের পর ওই ঘটনায় রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় মামলা হয়। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গতকাল শনিবার রাতে পশ্চিম ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির রমনা ও লালবাগ বিভাগের একাধিক টিমের অভিযানে তাদের হেফাজত থেকে নির্বাচন বর্জন, সব রকমের ট্যাক্স, সেবা কর পরিশোধ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সম্বলিত দুই হাজার পিস লিফলেট উদ্ধার করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ১০ হাজার পিস নির্বাচনবিরোধী লিফলেট, গান পাউডার ও ককটেলসহ গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার ১১ জনের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ও বিস্ফোরক আইনের একাধিক ধারায় মামলা হয়। ওই মামলার সূত্র ধরে ডিবি রমনা ও লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম পশ্চিম ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে নাজমুল হুদা ওরফে রাকির (২৬), রাসেল মিয়া (২৭), নাহিদ হোসেন (৩৩) এবং বিকাশ কুমার শীল (২৮) চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে নাজমুল হুদা রাকিব ছাত্রদল তেজগাঁও কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রাসেল ও নাহিদ নির্মাণ শ্রমিক এবং যুবদল কর্মী। আর বিকাশ কুমার শীল প্রিন্টিং দোকানের লোক। নির্বাচন বর্জন, সব রকমের ট্যাক্স, সেবা কর পরিশোধ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সম্বলিত লিফলেট পশ্চিম ধানমন্ডির ‘ডিজাইন রুম’ নামক দোকানে প্রিন্ট করা হয়েছে। ওই দোকান থেকে প্রিন্টিং মেশিন, ফটোকপিয়ার ও প্রিন্টারক জব্দ করা হয়েছে।
হারুন বলেন, গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতা এবং যুবদল কর্মীরা স্বীকার করেছে যে নগদ টাকা, দলীয় পদ দেয়ার লোভ দেখিয়ে ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক ও ইয়াং লোককে যুবদল এবং ছাত্রদলের বেশ কিছু সিনিয়র নেতার তত্ত্বাবধানে ঢাকার ওয়ারী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে এনে তাদেরকে দিয়ে ঝটিকা মিছিল, মশাল মিছিল, ভাঙচুর আগুন দেওয়া, বিস্ফোরণ ঘটানোসহ নির্বাচনবিরোধী লিফলেট ছাপানো এবং বিতরণের কাজ করা হচ্ছিল। ওই সিনিয়র যুবদল এবং ছাত্রদল নেতাদেরকেও খোঁজা হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য দায়বদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা একদিকে যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমা বিস্ফোরণ, রেলের বগিতে আগুন দেওয়া রেলের স্লিপার চুরি করে দুর্ঘটনায় ফেলে দেওয়ার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়েও সফল হতে পারেনি। এই ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য লিফলেট ছাপিয়ে, নানা রকমের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জনগণকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে, নির্বাচন কেন্দ্রে না আসতে কুমন্ত্রণা দিয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। এই লিফলেটের মাধ্যমে তারা নাগরিকদেরকে সব ধরনের খাজনা, কর ও বিল পরিশোধ না করে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির কুমন্ত্রণা দিচ্ছে। এভাবে তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করে যাচ্ছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সরকারকে ট্যাক্স না দিতে বিএনপির প্রচারণা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ

আপডেট সময় : ০১:০১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : হরতাল, অবরোধসহ ভোট বর্জনের কর্মসূচির নামে নাশকতার কাজে বিএনপি দিনমজুর-শ্রমিকদের ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বিএনপি ভোট বর্জনের কর্মসূচির নামে যা করছে তা দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী। তারা যে লিফলেট বিতরণ করছেন সেখানে বলা হচ্ছে, সরকারকে সব ধরনের ট্যাক্স খাজনা, ইউটিলিটি বিল স্থগিত করুন। তারা একদিকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে নাশকতার কাজ করছেন। বিএনপির এসব অপপ্রচার রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ। তাদের এই অপপ্রচার সংবিধানবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী এবং জনবিরোধী। এই প্রচেষ্টা থামানোর জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ বদ্ধপরিকর।
গতকাল রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। গত ২৮ অক্টোবর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তারের পর ওই ঘটনায় রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় মামলা হয়। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গতকাল শনিবার রাতে পশ্চিম ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির রমনা ও লালবাগ বিভাগের একাধিক টিমের অভিযানে তাদের হেফাজত থেকে নির্বাচন বর্জন, সব রকমের ট্যাক্স, সেবা কর পরিশোধ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সম্বলিত দুই হাজার পিস লিফলেট উদ্ধার করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ১০ হাজার পিস নির্বাচনবিরোধী লিফলেট, গান পাউডার ও ককটেলসহ গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার ১১ জনের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ও বিস্ফোরক আইনের একাধিক ধারায় মামলা হয়। ওই মামলার সূত্র ধরে ডিবি রমনা ও লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম পশ্চিম ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে নাজমুল হুদা ওরফে রাকির (২৬), রাসেল মিয়া (২৭), নাহিদ হোসেন (৩৩) এবং বিকাশ কুমার শীল (২৮) চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে নাজমুল হুদা রাকিব ছাত্রদল তেজগাঁও কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রাসেল ও নাহিদ নির্মাণ শ্রমিক এবং যুবদল কর্মী। আর বিকাশ কুমার শীল প্রিন্টিং দোকানের লোক। নির্বাচন বর্জন, সব রকমের ট্যাক্স, সেবা কর পরিশোধ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সম্বলিত লিফলেট পশ্চিম ধানমন্ডির ‘ডিজাইন রুম’ নামক দোকানে প্রিন্ট করা হয়েছে। ওই দোকান থেকে প্রিন্টিং মেশিন, ফটোকপিয়ার ও প্রিন্টারক জব্দ করা হয়েছে।
হারুন বলেন, গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতা এবং যুবদল কর্মীরা স্বীকার করেছে যে নগদ টাকা, দলীয় পদ দেয়ার লোভ দেখিয়ে ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক ও ইয়াং লোককে যুবদল এবং ছাত্রদলের বেশ কিছু সিনিয়র নেতার তত্ত্বাবধানে ঢাকার ওয়ারী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে এনে তাদেরকে দিয়ে ঝটিকা মিছিল, মশাল মিছিল, ভাঙচুর আগুন দেওয়া, বিস্ফোরণ ঘটানোসহ নির্বাচনবিরোধী লিফলেট ছাপানো এবং বিতরণের কাজ করা হচ্ছিল। ওই সিনিয়র যুবদল এবং ছাত্রদল নেতাদেরকেও খোঁজা হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য দায়বদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা একদিকে যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমা বিস্ফোরণ, রেলের বগিতে আগুন দেওয়া রেলের স্লিপার চুরি করে দুর্ঘটনায় ফেলে দেওয়ার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়েও সফল হতে পারেনি। এই ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য লিফলেট ছাপিয়ে, নানা রকমের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জনগণকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে, নির্বাচন কেন্দ্রে না আসতে কুমন্ত্রণা দিয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। এই লিফলেটের মাধ্যমে তারা নাগরিকদেরকে সব ধরনের খাজনা, কর ও বিল পরিশোধ না করে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির কুমন্ত্রণা দিচ্ছে। এভাবে তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করে যাচ্ছে।