নিজস্ব প্রতিবেদক : সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকে উৎসাহিত করতে আগামী ৬ অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বিকালে সচিবালয়ে বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দিবসটি উদযাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এ বিষয়ক পরিপত্রের ‘গ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।’
সচিব বলেন, কারণ আমাদের এসডিজির একটা টার্গেট রয়েছে ২০৩০ এর মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ এর ৮ ধারা অনুযায়ী কোনো শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং কোন ব্যক্তির মৃত্যুও ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করার কথা রয়েছে। তবে, বিষয়টিকে আরও কার্যকর করার জন্য এবং সাধারণের মধ্যে সচেতনতা আনয়নের জন্য এখন পৃথক দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সচিব বলেন, সাকসেশন সার্টিফিকেট, ইন্সুরেন্স এবং জমি-জমার ক্ষেত্রে মৃত্যু সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেজন্য জন্ম নিবন্ধন যেমন প্রয়োজন তেমনি মৃত্যু নিবন্ধনও ও প্রয়োজন। সরকার ইতিমধ্যে গত ৫/৬ মাস আগ থেকেই এর কোয়ার্ডিনেশন শুরু করেছে। তিনি বলেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ইনস্ট্রাকশন দিয়েছেন যেন কেবিনেট থেকে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে কোয়ার্ডিনেশন করা হয় মূলত সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলো এবং ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব এটা।


























