ঢাকা ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

ভোটদানে বাধা দিলে মোকাবিলা, যানবাহনে নিলেও ব্যবস্থা

  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জন শান্তিপূর্ণ হলে তা চ্যালেঞ্জ নয়। তবে ভোটের দিন বা তার আগের দিন ভোটারদের বাধা দিলে সেটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। সেটা মোকাবিলা করা হবে। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারদের যানবাহনে নিলেই আচরণবিধি ভঙ্গ হবে। আর কাজ যদি কোনো প্রার্থী করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সিইসি বলেন, যে কোনো নির্বাচনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকে। বিএনপি এবারের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণকে নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছে। সেটা শান্তিপূর্ণভাবে হলে আমাদের কাছে কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। কারণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক অধিকার অনুযায়ী একটি নির্বাচনের পক্ষে যেমন বলা যায় তেমনি বিপক্ষেও বলা যায়। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করা যাবে না। যদি তারা প্রতিহত করতে চায় তাহলে যে চ্যালেঞ্জ আসবে সেটার মোকাবিলা করতে হবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেটা ফুটিয়ে তোলা হবে গণমাধ্যম ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ও বৈধ ব্যক্তি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। অবৈধ ব্যক্তি প্রবেশ করে নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইলে সাংবাদিকরা তা প্রচার করবেন। নির্বাচনের প্রকৃত অবস্থা সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশ তথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরলে ‘ক্রেডিবিলিটি’ সংকট কেটে যাবে। মানুষ ভোটকেন্দ্রে থেকে বেরিয়ে যদি বলে ভোট দিতে পেরেছি, এরকম খবর যদি সারাদেশ থেকে আসে তাহলে সার্বিকভাবে বোঝা যাবে ভোটটা গ্রহণযোগ্য হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকবো। তবে নির্বাচন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কেউ মিথ্যা সংবাদ প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশের প্রয়োজন। এ পরিবেশ তৈরিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে। এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচরণের ঘনত্ব থাকবে। তারা ভ্রাম্যমাণ থাকবে যাতে সাধারণ ভোটাররা বুঝতে পারে রাষ্ট্র তাদের সঙ্গে আছে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ নির্বাচনে ইসির নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবে। আমরা তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে বলেছি তাদের আচরণ জনগণের কাছে পক্ষপাতমূলক মনে না হয়। এর আগে তিনি সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেটের বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় প্রার্থীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এসময় নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রার্থীরা ভোটারদের যানবাহনে নিলেই ব্যবস্থা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারদের যানবাহনে নিলেই আচরণবিধি ভঙ্গ হবে। আর কাজ যদি কোনো প্রার্থী করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষর করা এক পরিপত্রে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংস্থাটি। পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট এবং সমর্থকরা যাতে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য কোনো প্রকার যানবাহন ব্যবহার করতে না পারেন অথবা আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করেন সে বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের করণীয় ও বর্জনীয় দিকগুলো উল্লেখ করে সতর্ক করে দিতে হবে। অন্যথায় আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। আর ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন। এবার নির্বাচনে ১ হাজার ৮৯১ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রত্যেক প্রার্থী ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা এবং পুরো আসনের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসেবে দিতে হবে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভোটদানে বাধা দিলে মোকাবিলা, যানবাহনে নিলেও ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জন শান্তিপূর্ণ হলে তা চ্যালেঞ্জ নয়। তবে ভোটের দিন বা তার আগের দিন ভোটারদের বাধা দিলে সেটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। সেটা মোকাবিলা করা হবে। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারদের যানবাহনে নিলেই আচরণবিধি ভঙ্গ হবে। আর কাজ যদি কোনো প্রার্থী করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সিইসি বলেন, যে কোনো নির্বাচনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকে। বিএনপি এবারের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণকে নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছে। সেটা শান্তিপূর্ণভাবে হলে আমাদের কাছে কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। কারণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক অধিকার অনুযায়ী একটি নির্বাচনের পক্ষে যেমন বলা যায় তেমনি বিপক্ষেও বলা যায়। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করা যাবে না। যদি তারা প্রতিহত করতে চায় তাহলে যে চ্যালেঞ্জ আসবে সেটার মোকাবিলা করতে হবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেটা ফুটিয়ে তোলা হবে গণমাধ্যম ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ও বৈধ ব্যক্তি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। অবৈধ ব্যক্তি প্রবেশ করে নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইলে সাংবাদিকরা তা প্রচার করবেন। নির্বাচনের প্রকৃত অবস্থা সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশ তথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরলে ‘ক্রেডিবিলিটি’ সংকট কেটে যাবে। মানুষ ভোটকেন্দ্রে থেকে বেরিয়ে যদি বলে ভোট দিতে পেরেছি, এরকম খবর যদি সারাদেশ থেকে আসে তাহলে সার্বিকভাবে বোঝা যাবে ভোটটা গ্রহণযোগ্য হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকবো। তবে নির্বাচন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কেউ মিথ্যা সংবাদ প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশের প্রয়োজন। এ পরিবেশ তৈরিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে। এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচরণের ঘনত্ব থাকবে। তারা ভ্রাম্যমাণ থাকবে যাতে সাধারণ ভোটাররা বুঝতে পারে রাষ্ট্র তাদের সঙ্গে আছে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ নির্বাচনে ইসির নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবে। আমরা তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে বলেছি তাদের আচরণ জনগণের কাছে পক্ষপাতমূলক মনে না হয়। এর আগে তিনি সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেটের বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় প্রার্থীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এসময় নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রার্থীরা ভোটারদের যানবাহনে নিলেই ব্যবস্থা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারদের যানবাহনে নিলেই আচরণবিধি ভঙ্গ হবে। আর কাজ যদি কোনো প্রার্থী করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষর করা এক পরিপত্রে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংস্থাটি। পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট এবং সমর্থকরা যাতে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য কোনো প্রকার যানবাহন ব্যবহার করতে না পারেন অথবা আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করেন সে বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের করণীয় ও বর্জনীয় দিকগুলো উল্লেখ করে সতর্ক করে দিতে হবে। অন্যথায় আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। আর ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন। এবার নির্বাচনে ১ হাজার ৮৯১ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রত্যেক প্রার্থী ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা এবং পুরো আসনের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসেবে দিতে হবে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।