ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

‘আমাকে বাবা ডেকেছিলেন ভুলে যাবেন না’

  • আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : ভোটের প্রচারণা চালাতে গিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সোনালী মার্কেট এলাকায় দলটির দুই জনের মধ্যে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সোনালী মার্কেট এলাকায় নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছিলেন মৃণাল কান্তি দাস। এ সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের (কাঁচি প্রতীক) সমর্থক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম। দুই জনের মধ্যে সেখানে কথোপকথন হয়। এক পর্যায়ে উভয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। বাদানুবাদ চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাশ বলেন, ‘আমাকে বাবা ডাকছিলেন। ভুলে যাবেন না। আমাকে টাকা সাধছিলেন। এক টাকাও নেই নাই।’ উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাকে বাপ ডাকুম কেন? আমার কি বাপ নাই? আপনার মাথা কি ঠিক আছে? মাথা ঠান্ডা করেন।’ পরে মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘আমার মাথা ঠান্ডা আছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানো শেষে সোনালী মার্কেট হয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় সংসদ সদস্যের গাড়ি বহর দেখতে পেয়ে সেখানে নামি। তার সঙ্গে কথা বলতে গেলেই তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘প্রতিদিনই বাদানুবাদ হচ্ছে। আমরা প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছি। আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গজারিয়ার সোনালি মার্কেট এলাকায় ভোট চাচ্ছিলাম। সে সময় চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে কাঁচি কাঁচি বলে স্লোগান দিল। আমি তখন তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে জিজ্ঞেস করলাম যে আপনি উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে এমন করলে এটা কি আপনাকে মানায়? একপর্যায়ে আমার সাথে বাদানুবাদ হয়। তখন তাকে গত নির্বাচনের বিষয়ে বলি।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

‘আমাকে বাবা ডেকেছিলেন ভুলে যাবেন না’

আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : ভোটের প্রচারণা চালাতে গিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সোনালী মার্কেট এলাকায় দলটির দুই জনের মধ্যে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সোনালী মার্কেট এলাকায় নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছিলেন মৃণাল কান্তি দাস। এ সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের (কাঁচি প্রতীক) সমর্থক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম। দুই জনের মধ্যে সেখানে কথোপকথন হয়। এক পর্যায়ে উভয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। বাদানুবাদ চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাশ বলেন, ‘আমাকে বাবা ডাকছিলেন। ভুলে যাবেন না। আমাকে টাকা সাধছিলেন। এক টাকাও নেই নাই।’ উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাকে বাপ ডাকুম কেন? আমার কি বাপ নাই? আপনার মাথা কি ঠিক আছে? মাথা ঠান্ডা করেন।’ পরে মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘আমার মাথা ঠান্ডা আছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানো শেষে সোনালী মার্কেট হয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় সংসদ সদস্যের গাড়ি বহর দেখতে পেয়ে সেখানে নামি। তার সঙ্গে কথা বলতে গেলেই তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘প্রতিদিনই বাদানুবাদ হচ্ছে। আমরা প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছি। আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গজারিয়ার সোনালি মার্কেট এলাকায় ভোট চাচ্ছিলাম। সে সময় চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে কাঁচি কাঁচি বলে স্লোগান দিল। আমি তখন তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে জিজ্ঞেস করলাম যে আপনি উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে এমন করলে এটা কি আপনাকে মানায়? একপর্যায়ে আমার সাথে বাদানুবাদ হয়। তখন তাকে গত নির্বাচনের বিষয়ে বলি।’