ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুক্তির চার দশক পর টপচার্টের শীর্ষে ‘লাস্ট ক্রিসমাস’

  • আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: বড়দিনের আগ দিয়ে উৎসবের আমেজে মানুষ বহু কিছুই করে। ২০১৫ সালে বড়দিনে অস্ট্রিয়ার একজন রেডিও জকি রেডিওতে একটি গান বাজিয়েছিলেন। গানটি একবার, দুবার বা তিনবার নয়, বেজেছিল টানা ২৪ বার! আর সেই গানটি হল ‘লাস্ট ক্রিসমাস’। আর এবার বড়দিনের আগে যুক্তরাজ্যের টপচার্টের ঠিক চূড়ায় বসে আছে প্রায় চার দশক আগে মুক্তি পাওয়া এই গানটি। ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায় ‘লাস্ট ক্রিসমাস’, যা গেয়েছিলেন আশি-নব্বই দশকে গানের দুনিয়া কাপাঁনো শিল্পী জর্জ মাইকেল। লিরিকও লিখেছিলেন তিনিই। এই গানেরও আগে সংগীতের এই বরপুত্র তার স্কুলের বন্ধু অ্যান্ড্রু রিজলের সঙ্গে ১৯৮১ সালে গড়ে তোলেন গানের দল ‘হোয়াম’। এই ‘হোয়াম’ থেকেই ‘লাস্ট ক্রিসমাস’ গেয়ে মাত করে দেন মাইকেল। সিএনএন লিখেছে, ‘হোয়াম’র সোশাল মিডিয়ার পেইজে জানানো হয়েছে ‘লাস্ট ক্রিসমাস’ গানটি চলতি বছরের বড়দিনের আগে যুক্তরাজ্যের টপচার্ট দখল করে নিয়েছে। সেই খবরে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে রিজলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ‘হোয়াম’র পেইজে। তাতে রিজলে বলেছেন, “এত বছর পরেও তুমিই আছো মাইকেল! এখনও সর্বোচ্চ নম্বর তুমিই অর্জন করেছ।”
রিজলে বন্ধু মাইকেলের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে বলেছেন, “একটি মিশন নিয়ে এগিয়েছিলাম আমরা, সেটিকে সফল বলাই যায়, তাই না? ” ‘হোয়ামের প্রতি ভালোবাসা এবং আমাদের বড়দিন এসে গেছে’ বলে ভিডিওটি শেষ করেন রিজলে। ‘লাস্ট ক্রিসমাস’ মুক্তি পায় ৩৯ বছর আগে বড়দিনে। সে সময় গানটি যুক্তরাজ্যের টপচার্টের দ্বিতীয় স্থানে ছিল টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে। মাইকেলের গাওয়া ‘লাস্ট ক্রিসমাস’ গানটি তিনি ছাড়াও পৃথিবীতে বিভিন্ন জন গেয়েছেন চারশবারের বেশি। আর ‘হোয়াম’ এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে চীনের কঠিন বিধিনিষেধের বেড়াজাল এড়িয়ে সেখানেও পৌঁছে গিয়েছিল ব্যান্ডটি। ৫৩ বছর বয়সে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডশায়ারে নিজের বাড়িতে মারা যান মাইকেল। সে কথা স্মরণ করে রিজলে বলেছেন, “‘প্রিয় বন্ধুর বিদায়ে হৃদয় আমার ভেঙে গেছে সেই কবেই।” তিনি বন্ধুর চলে যাওয়ার ঘটনাটিকে বর্ণনা করেছেন ‘এক প্রতিভাবান শিল্পীর মহাবিদায়’ হিসেবে। ১৯৮৭ সালে ‘হোয়াম’ ভেঙে গেলেও এই গানটি পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে শ্রোতা-ভক্তদের হৃদয়ে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মুক্তির চার দশক পর টপচার্টের শীর্ষে ‘লাস্ট ক্রিসমাস’

আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক: বড়দিনের আগ দিয়ে উৎসবের আমেজে মানুষ বহু কিছুই করে। ২০১৫ সালে বড়দিনে অস্ট্রিয়ার একজন রেডিও জকি রেডিওতে একটি গান বাজিয়েছিলেন। গানটি একবার, দুবার বা তিনবার নয়, বেজেছিল টানা ২৪ বার! আর সেই গানটি হল ‘লাস্ট ক্রিসমাস’। আর এবার বড়দিনের আগে যুক্তরাজ্যের টপচার্টের ঠিক চূড়ায় বসে আছে প্রায় চার দশক আগে মুক্তি পাওয়া এই গানটি। ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায় ‘লাস্ট ক্রিসমাস’, যা গেয়েছিলেন আশি-নব্বই দশকে গানের দুনিয়া কাপাঁনো শিল্পী জর্জ মাইকেল। লিরিকও লিখেছিলেন তিনিই। এই গানেরও আগে সংগীতের এই বরপুত্র তার স্কুলের বন্ধু অ্যান্ড্রু রিজলের সঙ্গে ১৯৮১ সালে গড়ে তোলেন গানের দল ‘হোয়াম’। এই ‘হোয়াম’ থেকেই ‘লাস্ট ক্রিসমাস’ গেয়ে মাত করে দেন মাইকেল। সিএনএন লিখেছে, ‘হোয়াম’র সোশাল মিডিয়ার পেইজে জানানো হয়েছে ‘লাস্ট ক্রিসমাস’ গানটি চলতি বছরের বড়দিনের আগে যুক্তরাজ্যের টপচার্ট দখল করে নিয়েছে। সেই খবরে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে রিজলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ‘হোয়াম’র পেইজে। তাতে রিজলে বলেছেন, “এত বছর পরেও তুমিই আছো মাইকেল! এখনও সর্বোচ্চ নম্বর তুমিই অর্জন করেছ।”
রিজলে বন্ধু মাইকেলের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে বলেছেন, “একটি মিশন নিয়ে এগিয়েছিলাম আমরা, সেটিকে সফল বলাই যায়, তাই না? ” ‘হোয়ামের প্রতি ভালোবাসা এবং আমাদের বড়দিন এসে গেছে’ বলে ভিডিওটি শেষ করেন রিজলে। ‘লাস্ট ক্রিসমাস’ মুক্তি পায় ৩৯ বছর আগে বড়দিনে। সে সময় গানটি যুক্তরাজ্যের টপচার্টের দ্বিতীয় স্থানে ছিল টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে। মাইকেলের গাওয়া ‘লাস্ট ক্রিসমাস’ গানটি তিনি ছাড়াও পৃথিবীতে বিভিন্ন জন গেয়েছেন চারশবারের বেশি। আর ‘হোয়াম’ এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে চীনের কঠিন বিধিনিষেধের বেড়াজাল এড়িয়ে সেখানেও পৌঁছে গিয়েছিল ব্যান্ডটি। ৫৩ বছর বয়সে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডশায়ারে নিজের বাড়িতে মারা যান মাইকেল। সে কথা স্মরণ করে রিজলে বলেছেন, “‘প্রিয় বন্ধুর বিদায়ে হৃদয় আমার ভেঙে গেছে সেই কবেই।” তিনি বন্ধুর চলে যাওয়ার ঘটনাটিকে বর্ণনা করেছেন ‘এক প্রতিভাবান শিল্পীর মহাবিদায়’ হিসেবে। ১৯৮৭ সালে ‘হোয়াম’ ভেঙে গেলেও এই গানটি পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে শ্রোতা-ভক্তদের হৃদয়ে।