ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

গণতন্ত্রে বিশ্বাস নেই এমন বিদেশি শক্তির প্রতিনিধি এই সরকার: রিজভী

  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের মানুষ এখন একক উপনিবেশ শাসকের অধীনে রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এমন বিদেশি শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার এ দেশে কাজ করছে। তিনি বলেন, গ্যারান্টি হচ্ছে তারা (আ.লীগ সরকার) সেই সমস্ত দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে। সেই সমস্ত দেশ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমে এই অঞ্চলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। আর এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কেবলমাত্র একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয় তার অধীনেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের মন্ত্রী নেতাকর্মীরা এত কথা বলেন, কিন্তু অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললে তারা এত বিচলিত হয় কেন? তারা অস্থির হয়ে যান এক ভীতির মধ্যে পড়ে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের পরিণতি কী হয় এই ভয় থেকেই তারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চান না।

তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গোয়েন্দা বাহিনী ব্যবহার করে, প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের শক্তিকে ব্যবহার করছে তা প্রতিদিন সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ এখন পরাধীন। আমরা এখন একক উপনিবেশ শাসকের অধীনে রয়েছি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে এ দেশে কাজ করছে। গ্যারান্টি হচ্ছে তারা সেই সমস্ত দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে। সেই সমস্ত দেশ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। কয়েকটি দেশ রয়েছে তারা বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচার সংস্কৃতি আবহমানকাল থেকে চলমান সেটার তারা ধার ধরে না। এখানে একটা অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চলছে। সেটা বজায় রাখতে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে হবে আর সেই রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করেছে শেখ হাসিনার মাধ্যমে। সেইজন্যে শেখ হাসিনা কাউকে তোয়াক্কা করছে না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকলো আর না থাকলো সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। রিজভী বলেন, যারা এদেশে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তারা এদেশের জনগণের ভালো-মন্দ বিচার করে না। এটা করে না বলেই বাংলাদেশের মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। কিন্তু অনেক দেশ বাংলাদেশের জনগণের ভালো-মন্দ এবং গণতন্ত্র চায়। গতকাল অস্ট্রেলিয়া থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জন্যে তাদের দেশ আপসহীন। সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বলে বাংলাদেশের উন্নয়ন করেছে। কীসের উন্নয়ন করেছে? আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য বৃদ্ধি করেছে যাতে বিরোধী দল দমন করা যায়। কোথাও কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির চিন্তা করলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যাবে এরকম পরিস্থিতি দেশে বিরাজ করছে দেশে। সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন নির্যাতনের কারণে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা সবাই আজ আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে এক মহামান্য বিচারপতি বলেছিলেন দেশটাকে জাহান্নামের পরিণত করা হয়েছে। সেই জাহান্নামের পরিস্থিতি সব দিক দিয়ে গত দেড় দশক সুস্পষ্ট। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা, গণমাধ্যমকর্মীরা সবাই আজ আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। এই অবৈধ সরকার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে কবরস্থ করেছে মাটি চাপা দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন এরা বিশ্বাস করে না। এরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে তামাশা করে। এদের অধীনে কখনো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, এই সরকার দেশের সকল জনগণকে পশুর ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছে। গোটা দেশকে পশুর খোয়ারে পরিণত করতে চাচ্ছে। এই অন্যায় অবিচার জুলুম আর কতদিন চলবে। আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরায় এই জুলুম অত্যাচারের শিকার হচ্ছে না গণমাধ্যম কর্মীরা এবং নানান পেশার মানুষ সরকারের এই জুলুম অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে হলে গণতন্ত্রের আন্দোলন আরো বেগবান করতে হবে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাজশাহীতে সাংবাদিক ডালিম হোসেন শান্তকে শুধুমাত্র একটি নিউজ করার জন্য আটক করা হয়েছে। এর আগে কাপাসিয়ায় স্থানীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হুদা লিটনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অপরাধ তারা এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে সত্য নিউজ করেছে।
রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের মোট ২৫৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট মামলা দায়ের হয়েছে ৭টি। মোট আসামি ৮৭০ জনের বেশি নেতাকর্মী। আহত হয়েছেন ৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

গণতন্ত্রে বিশ্বাস নেই এমন বিদেশি শক্তির প্রতিনিধি এই সরকার: রিজভী

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের মানুষ এখন একক উপনিবেশ শাসকের অধীনে রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এমন বিদেশি শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার এ দেশে কাজ করছে। তিনি বলেন, গ্যারান্টি হচ্ছে তারা (আ.লীগ সরকার) সেই সমস্ত দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে। সেই সমস্ত দেশ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমে এই অঞ্চলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। আর এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কেবলমাত্র একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয় তার অধীনেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের মন্ত্রী নেতাকর্মীরা এত কথা বলেন, কিন্তু অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললে তারা এত বিচলিত হয় কেন? তারা অস্থির হয়ে যান এক ভীতির মধ্যে পড়ে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের পরিণতি কী হয় এই ভয় থেকেই তারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চান না।

তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গোয়েন্দা বাহিনী ব্যবহার করে, প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের শক্তিকে ব্যবহার করছে তা প্রতিদিন সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ এখন পরাধীন। আমরা এখন একক উপনিবেশ শাসকের অধীনে রয়েছি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে এ দেশে কাজ করছে। গ্যারান্টি হচ্ছে তারা সেই সমস্ত দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে। সেই সমস্ত দেশ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। কয়েকটি দেশ রয়েছে তারা বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচার সংস্কৃতি আবহমানকাল থেকে চলমান সেটার তারা ধার ধরে না। এখানে একটা অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চলছে। সেটা বজায় রাখতে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে হবে আর সেই রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করেছে শেখ হাসিনার মাধ্যমে। সেইজন্যে শেখ হাসিনা কাউকে তোয়াক্কা করছে না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকলো আর না থাকলো সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। রিজভী বলেন, যারা এদেশে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তারা এদেশের জনগণের ভালো-মন্দ বিচার করে না। এটা করে না বলেই বাংলাদেশের মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। কিন্তু অনেক দেশ বাংলাদেশের জনগণের ভালো-মন্দ এবং গণতন্ত্র চায়। গতকাল অস্ট্রেলিয়া থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জন্যে তাদের দেশ আপসহীন। সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বলে বাংলাদেশের উন্নয়ন করেছে। কীসের উন্নয়ন করেছে? আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য বৃদ্ধি করেছে যাতে বিরোধী দল দমন করা যায়। কোথাও কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির চিন্তা করলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যাবে এরকম পরিস্থিতি দেশে বিরাজ করছে দেশে। সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন নির্যাতনের কারণে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা সবাই আজ আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে এক মহামান্য বিচারপতি বলেছিলেন দেশটাকে জাহান্নামের পরিণত করা হয়েছে। সেই জাহান্নামের পরিস্থিতি সব দিক দিয়ে গত দেড় দশক সুস্পষ্ট। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা, গণমাধ্যমকর্মীরা সবাই আজ আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। এই অবৈধ সরকার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে কবরস্থ করেছে মাটি চাপা দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন এরা বিশ্বাস করে না। এরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে তামাশা করে। এদের অধীনে কখনো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, এই সরকার দেশের সকল জনগণকে পশুর ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছে। গোটা দেশকে পশুর খোয়ারে পরিণত করতে চাচ্ছে। এই অন্যায় অবিচার জুলুম আর কতদিন চলবে। আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরায় এই জুলুম অত্যাচারের শিকার হচ্ছে না গণমাধ্যম কর্মীরা এবং নানান পেশার মানুষ সরকারের এই জুলুম অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে হলে গণতন্ত্রের আন্দোলন আরো বেগবান করতে হবে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাজশাহীতে সাংবাদিক ডালিম হোসেন শান্তকে শুধুমাত্র একটি নিউজ করার জন্য আটক করা হয়েছে। এর আগে কাপাসিয়ায় স্থানীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হুদা লিটনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অপরাধ তারা এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে সত্য নিউজ করেছে।
রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের মোট ২৫৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট মামলা দায়ের হয়েছে ৭টি। মোট আসামি ৮৭০ জনের বেশি নেতাকর্মী। আহত হয়েছেন ৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী।