ক্রীড়া প্রতিবেদক: বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে লড়াই জমিয়ে তুলল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরেও দাঁড়াল তারা, কিন্তু অস্কার ব্রুসনের দলকে আটকাতে পারল না। স্বস্তির জয়ে স্বাধীনতা কাপের সেমি-ফাইনালে উঠল শিরোপাধারীরা। নিজেদের মাঠে মঙ্গলবার চতুর্থ কোয়ার্টার-ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। বোবুরবেক ইয়ুলদাশভ কিংসকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা ফেরান শাহরিয়ার ইমন। পরে ব্যবধান গড়ে দেন দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তো। আগেই সেরা চারে খেলা নিশ্চিত করেছে আবাহনী, মোহামেডান ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। প্রথম সেমি-ফাইনালে কিংস মুখোমুখি হবে আবাহনীর। পরে মোহামেডান লড়বে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। কিংস অ্যারেনায় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ, কিন্তু গোলের পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই। ৩৭তম মিনিটে দামাশেনোর ফ্রি কিকে শেখ মোরসালিনের ভলি কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ডিফেন্ডার হাসান মুরাদ।
এই কর্নার থেকে এগিয়ে যাওয়া গোলের দেখা পায় ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেরা আটে উঠে আসা কিংস। দামাশেনোর কর্নারে অনেকটা লাফিয়ে বোবুরবেকের হেড ভেতর থেকে একজন ফেরানোর আগেই পেরিয়ে যায় গোললাইন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দোরিয়েলতনের দারুণ সাইড ভলি ফিরিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি গোলরক্ষক আলমগীর হোসেন। কিংস সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে ৬০তম মিনিটে সমতার উল্লাসে নেচে ওঠে সেনাবাহিনী। আসরর গফুরভের ব্যাক পাস ক্লিয়ার করতে পারেননি মেহেদী হাসান শ্রাবণ; ছুটে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন রঞ্জু সরকার। তার ছোট পাসে নিখুঁত টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন ইমন। ম্যাচের লাগাম নিতে মরিয়া কিংস এগিয়ে যায় ৭৬তম মিনিটে। রাকিব হোসেনের পাস ধরে সাদউদ্দিন বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান; গোলমুখ থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন দোরিয়েলতন। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দামাশেনোর ফ্রি কিক ক্রসবারের উপরের দিকে লেগে বেরিয়ে যায়। একটু পরই বাজে শেষের বাঁশি। সেমি-ফাইনালে ওঠার উৎসব শুরু হয় কিংসের। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে স্বাধীনতা কাপে চমক দেখাচ্ছিল সেনাবাহিনী। গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেরা আটে উঠে এসেছিল তারা, কিন্তু পথচলা থামল তাদের।