ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

চট্টগ্রামে দুই আসনে ৮ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল

  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ভোটারের তথ্যে গরমিল, সেবা সংস্থার বিল বকেয়া ও আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় চট্টগ্রামে ২টি আসনের ৮ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ পর্যন্ত মোট ৫টি আসনের যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে। গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের দ্বিতীয় দিনে এসব প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এদিন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ৭, ১২ ও ১৪ আসনের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে চার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এর মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিলের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস মিয়া ও গোলাম কিবরিয়া চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এম এ মতিনের বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় মনোনয়ন বাতিল হয়। এ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী এম ইয়াকুব আলীর মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ও চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়। চট্টগ্রাম-১২ আসনে চারজনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর, পাহাড়তলী, ডবলমুরিং, খুলশী) আসনেরও চারজনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এক শতাংশ ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর জমা দিতে হয় মনোনয়নপত্রের সঙ্গে। এর মধ্যে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০ জন ভোটার যাচাই করা হয়। সেখানে তিনজনকে শনাক্ত করা যায়নি বলে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওসমান গনি ও ফয়সাল আমীন এবং বিএনএফের মঞ্জুরুল ইসলামের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়। এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এদিন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এ আসনেও একজনের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে ১৬ আসনে মোট ১৫১ জন মনোনয়ন জমা দেয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ লাখ ৯৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৬২ জন এবং নারী ভোটার ৩০ লাখ ২১ হাজার ৯০২ জন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রামে দুই আসনে ৮ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল

আপডেট সময় : ১২:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ভোটারের তথ্যে গরমিল, সেবা সংস্থার বিল বকেয়া ও আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় চট্টগ্রামে ২টি আসনের ৮ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ পর্যন্ত মোট ৫টি আসনের যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে। গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের দ্বিতীয় দিনে এসব প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এদিন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ৭, ১২ ও ১৪ আসনের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে চার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এর মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিলের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস মিয়া ও গোলাম কিবরিয়া চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এম এ মতিনের বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় মনোনয়ন বাতিল হয়। এ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী এম ইয়াকুব আলীর মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ও চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়। চট্টগ্রাম-১২ আসনে চারজনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর, পাহাড়তলী, ডবলমুরিং, খুলশী) আসনেরও চারজনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এক শতাংশ ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর জমা দিতে হয় মনোনয়নপত্রের সঙ্গে। এর মধ্যে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০ জন ভোটার যাচাই করা হয়। সেখানে তিনজনকে শনাক্ত করা যায়নি বলে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওসমান গনি ও ফয়সাল আমীন এবং বিএনএফের মঞ্জুরুল ইসলামের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়। এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এদিন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এ আসনেও একজনের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে ১৬ আসনে মোট ১৫১ জন মনোনয়ন জমা দেয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ লাখ ৯৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৬২ জন এবং নারী ভোটার ৩০ লাখ ২১ হাজার ৯০২ জন।