প্রযুক্তি ডেস্ক: শ্রমিকদের সাংগঠনিক কর্মকা- নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কোম্পানিটি ও তার পরামর্শদাতার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল শ্রম আইন লঙ্ঘনের তথ্য খুঁজে পেয়েছেন এক বিচারক।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় শ্রমিক পর্ষদ ‘এনএলআরবি’ বলেছে, নিউ ইয়র্কে অবস্থিত কোম্পানির বৃহত্তম ওয়্যারহাউজ ‘জেএফকে৮’ এ অ্যামাজনের ‘একাধিক আইন লঙ্ঘন’ খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক আইন বিভাগের বিচারক লরেন এসপোস্তিও। অ্যামাজনের মুখপাত্র ইলিন হার্ডস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিচারকের সিদ্ধান্তকে পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কোম্পানিটি। এ প্রসঙ্গে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসি মসের মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০২১ সালের মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ওই ওয়্যারহাউজে শ্রমিকদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়তে দেখা গেছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে ‘অ্যামাজন লেবার ইউনিয়ন’ নামের সংগঠনে যোগ দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন কোম্পানির তৃণমূল পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান কর্মীরা। পরে যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানিটির প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে সংগঠনটির, যারা কোম্পানিটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে লড়াই করছে। এ মামলার ভার্চুয়াল শুনানিতে প্রায় এক বছর অ্যামাজনের বিভিন্ন কর্মী, ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে শ্রমিক পরামর্শকদের সাক্ষ্য নিয়েছেন বিচারক এসপোস্তিও। মামলার রায়ে তিনি উল্লেখ করেন, অ্যামাজন অবৈধ উপায়ে শ্রমিকদের প্রচারপত্র জব্দ করার পাশাপাশি তাদের সাংগঠনিক কর্মকা-েও নজরদারি চালিয়েছে। এসপোস্তিও আরও বলেন, শ্রমিক ইউনিয়ন ঠেকানোর লক্ষ্যে অ্যামাজনের নিয়োগ করা পরামর্শক ব্র্যাডলি মস কর্মীদেরকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, তারা এএলইউ’তে যোগ দেওয়ার পক্ষে ভোট দিলেও তা ‘কোনো কাজে আসবে না’। মার্চে মার্কিন সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে দেখা যায়, মসের মতো ‘ইউনিয়ন বিরোধী’ পরামর্শকদের পেছনে এক কোটি ৪০ লাখ ডলার খরচ করেছে অ্যামাজন।