ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে জাতীয় পার্টি, ফরম নেননি রওশন

  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়ে গেলেও এখনও মনোনয়ন ফরম নেননি দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, রওশন এরশাদ চাইলে মনোনয়ন ফরম তার বাসায় পৌঁছে দেবেন তারা। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমার কাজ চলে। ওই চার দিনে সব মিলিয়ে এক হাজার ৭৩৭ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়। তবে ‘অবরোধের কারণে’ অনেকে ফরম জমা দিতে না পারায় শুক্রবারও ফরম তোলা ও জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চুন্নু। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্যরা। পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেনসহ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত আছেন। চুন্নু দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, “দু-একটি বাদে ৩০০ আসনেই একাধিক প্রার্থী দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। প্রার্থীদের এলাকায় প্রভাব, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার বিষয়গুলো মাথায় রাখা হচ্ছে। ২৭ তারিখ জাপার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হতে পারে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসা। আমরা চেয়েছি, ভোটাররা যেনে নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, ভোটাররা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।” জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই দাবি করে মহাসচিব বলেন, “জাতীয় পার্টিতে পন্থি একটাই, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আমরা সবাই এরশাদপন্থি।”
এরশাদের স্ত্রী, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদও (সাদ এরশাদ)এখনো মনোনয়ন ফরম নেননি জানিয়ে চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠায় রওশন এরশাদের অবদান ও ত্যাগ ‘অনেক’। তিনি নির্বাচন করলে, সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। ২০১৮, ২০১৪ এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে রওশন নির্বাচিত হয়েছিলেন ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে। আর ২০০১ সালে তিনি গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে এমপি হন। ২০০৮ সালে ওই দুই আসন থেকে নির্বাচন করে তিনি পরাজিত হন। চুন্নু বলেন, “বেগম রওশন এরশাদ গতকালও আমাকে ফোন করেছিলেন, আজ হয়তো তারা মনোনয়ন ফরম নিতে পারেন। হরতাল ও অবরোধের কারণে আমাদের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকায় আসতে পারেননি, তাদের জন্য ফরম বিতরণের সময় একদিন (শুক্রবার) বাড়ানো হয়েছে। “বেগম রওশন এরশাদের জন্য কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই, তিনি যখন বলবেন, তখনই মনোনয়ন ফরম দেওয়া হবে। বেগম রওশন এরশাদ চাইলে মনোনয়ন ফরম তার বাসায় পৌছে দেব। তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র।” ২৭ নভেম্বর জাতীয় পার্টির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে জানিয়ে দলের মহাসচিব বলেন, “মনোনয়ন বোর্ডের মতামত বোর্ড সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপিকে জানানো হবে, তিনি মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন। পার্টি চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলে মনোনয়ন পরিবর্তনও করতে পারবেন। “নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কেউ যদি কাজ করে, অথবা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ যদি প্রার্থী হয়, তাকে আর পার্টিতে রাখা হবে না।”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে জাতীয় পার্টি, ফরম নেননি রওশন

আপডেট সময় : ০৯:৫২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়ে গেলেও এখনও মনোনয়ন ফরম নেননি দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, রওশন এরশাদ চাইলে মনোনয়ন ফরম তার বাসায় পৌঁছে দেবেন তারা। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমার কাজ চলে। ওই চার দিনে সব মিলিয়ে এক হাজার ৭৩৭ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়। তবে ‘অবরোধের কারণে’ অনেকে ফরম জমা দিতে না পারায় শুক্রবারও ফরম তোলা ও জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চুন্নু। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্যরা। পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেনসহ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত আছেন। চুন্নু দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, “দু-একটি বাদে ৩০০ আসনেই একাধিক প্রার্থী দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। প্রার্থীদের এলাকায় প্রভাব, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার বিষয়গুলো মাথায় রাখা হচ্ছে। ২৭ তারিখ জাপার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হতে পারে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসা। আমরা চেয়েছি, ভোটাররা যেনে নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, ভোটাররা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।” জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই দাবি করে মহাসচিব বলেন, “জাতীয় পার্টিতে পন্থি একটাই, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আমরা সবাই এরশাদপন্থি।”
এরশাদের স্ত্রী, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদও (সাদ এরশাদ)এখনো মনোনয়ন ফরম নেননি জানিয়ে চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠায় রওশন এরশাদের অবদান ও ত্যাগ ‘অনেক’। তিনি নির্বাচন করলে, সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। ২০১৮, ২০১৪ এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে রওশন নির্বাচিত হয়েছিলেন ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে। আর ২০০১ সালে তিনি গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে এমপি হন। ২০০৮ সালে ওই দুই আসন থেকে নির্বাচন করে তিনি পরাজিত হন। চুন্নু বলেন, “বেগম রওশন এরশাদ গতকালও আমাকে ফোন করেছিলেন, আজ হয়তো তারা মনোনয়ন ফরম নিতে পারেন। হরতাল ও অবরোধের কারণে আমাদের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকায় আসতে পারেননি, তাদের জন্য ফরম বিতরণের সময় একদিন (শুক্রবার) বাড়ানো হয়েছে। “বেগম রওশন এরশাদের জন্য কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই, তিনি যখন বলবেন, তখনই মনোনয়ন ফরম দেওয়া হবে। বেগম রওশন এরশাদ চাইলে মনোনয়ন ফরম তার বাসায় পৌছে দেব। তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র।” ২৭ নভেম্বর জাতীয় পার্টির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে জানিয়ে দলের মহাসচিব বলেন, “মনোনয়ন বোর্ডের মতামত বোর্ড সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপিকে জানানো হবে, তিনি মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন। পার্টি চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলে মনোনয়ন পরিবর্তনও করতে পারবেন। “নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কেউ যদি কাজ করে, অথবা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ যদি প্রার্থী হয়, তাকে আর পার্টিতে রাখা হবে না।”