নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে হুমকি-ধামকি ও নানারকম লোভ-লালসা দিয়ে বিরোধী শিবির থেকে নেতাকর্মী ভাগিয়ে নির্বাচনে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগে করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। এসব করে শেষ রক্ষা হবে না বলেও অভিমত তাদের।
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জোট ও দলগুলোর আহ্বানে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে গতকাল বুধবার (২২ নভেম্বর) মিছিল-সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। পুরানা পল্টন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন মঞ্চের নেতারা। সমাবেশে নেতারা বলেন, সরকার এবার কোনোভাবেই ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো বিনাভোটের কিংবা রাতের ভোটের নির্বাচন করতে পারবে না। বিরোধীদের ছোট একটা অংশকে যদি নির্বাচনের লোভ দেখিয়ে পাতানো ফাঁদে নিতেও পারে, আর বাকিদের সবাইকেও যদি জেলে পুরেও রাখে, তারপরও বাংলাদেশের জনগণ এই অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তারা বলেন, যারা আজ লোভে পড়ে নির্বাচনে অংশ নেবে তারা জাতির সামনে বেঈমান, মীরজাফর ও দালাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকারের এই আন্দোলন জারি রেখেই এই সরকারের পতন নিশ্চিত করে ঘরে ফিরবে। তারা আরও বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের নাটক মঞ্চায়ন করতে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস, ককটেল সন্ত্রাসের মতো ঘৃণ্য পথ অবলম্বন করেছে। কিন্তু তাদের নিজেদের লোকেরাই বারবার তাদের নাটক জনগণের সামনে প্রকাশ করে দিয়েছে। তারা বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে লাগাতারভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। আদালতকে ব্যবহার করে নজিরবিহীনভাবে রাতের বেলায় কোর্ট চালিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ফরমায়েশি রায় দিয়ে সাজা ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হকের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকম-লির সদস্য জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ। এসময় মঞ্চের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।