ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

নিবন্ধন-প্রতীক নিয়ে জামায়াত জনগণের কাছে ফিরে যাবে: ড. মাসুদ

  • আপডেট সময় : ০১:২৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে জামায়াত তার নিবন্ধন ও প্রতীক নিয়ে জনগণের কাছে আবার ফিরে যাবে। জামায়াতে ইসলামী তার গঠনতন্ত্রে বলেছে, সব ক্ষমতার উৎস হচ্ছে আল্লাহ। যারা এ কথা মানে না তাদের নিবন্ধন আমাদের প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা নিবন্ধন চাই না, ঈমান নিয়ে বাঁচতে চাই। এই ঈমান দিয়েই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হেফাজত করা হবে। আপিল রায়ে নিবন্ধন হারানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন ড. মাসুদ।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে অর্থবহ করে ইসলামের ভিত্তিতে ন্যায় ও ইনসাফের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। জামায়াত একটি গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক বৃহৎ ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন। বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে অধিকাংশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অধিকাংশ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে। সারাদেশে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল সংখ্যক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দেশ ও জাতির খেদমত করেছে। তিনি আরো বলেন, নিবন্ধন বাতিল করে জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করা যাবে না। সভা-সমাবেশ ও মিছিল করার অধিকার বন্ধ করা যাবে না। বাংলাদেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে এই অধিকার দিয়েছে। আমরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে চলমান গণআন্দোলনকে আরো বেগবান করে সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো. শামসুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুল্লাহ আলামীন, শাহিন আহমেদ খান, আবু নাবিল, আবু আম্মার, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্ব সভাপতি আকিক হাসান ও ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি তৌফিক হাসান, ছাত্রনেতা তাজুল ইসলাম ফয়সাল, হাসিবুর রহমান, নাঈম ইসলাম সহ বিভিন্ন থানা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি নেতারা। অন্যদিকে রাজধানীতে একই দাবিতে আরো একটি বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন সেখানে নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামাল হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান ও ড. মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো. হাফিজুর রহমান, কামরুল আহসান হাসান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরার সদস্য আব্দুর রহীম জীবন, ইঞ্জি. মুহাম্মদ আলী, মীর বাহার, মুহাম্মদ শাহজাহান, আবু জয়নব, মির্জা হেলাল, সাদেক বিল্লাহ, মোজাফফর হোসাইনসহ অন্যান্য নেতারা।

 

 

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

নিবন্ধন-প্রতীক নিয়ে জামায়াত জনগণের কাছে ফিরে যাবে: ড. মাসুদ

আপডেট সময় : ০১:২৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে জামায়াত তার নিবন্ধন ও প্রতীক নিয়ে জনগণের কাছে আবার ফিরে যাবে। জামায়াতে ইসলামী তার গঠনতন্ত্রে বলেছে, সব ক্ষমতার উৎস হচ্ছে আল্লাহ। যারা এ কথা মানে না তাদের নিবন্ধন আমাদের প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা নিবন্ধন চাই না, ঈমান নিয়ে বাঁচতে চাই। এই ঈমান দিয়েই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হেফাজত করা হবে। আপিল রায়ে নিবন্ধন হারানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন ড. মাসুদ।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে অর্থবহ করে ইসলামের ভিত্তিতে ন্যায় ও ইনসাফের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। জামায়াত একটি গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক বৃহৎ ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন। বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে অধিকাংশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অধিকাংশ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে। সারাদেশে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল সংখ্যক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দেশ ও জাতির খেদমত করেছে। তিনি আরো বলেন, নিবন্ধন বাতিল করে জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করা যাবে না। সভা-সমাবেশ ও মিছিল করার অধিকার বন্ধ করা যাবে না। বাংলাদেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে এই অধিকার দিয়েছে। আমরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে চলমান গণআন্দোলনকে আরো বেগবান করে সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো. শামসুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুল্লাহ আলামীন, শাহিন আহমেদ খান, আবু নাবিল, আবু আম্মার, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্ব সভাপতি আকিক হাসান ও ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি তৌফিক হাসান, ছাত্রনেতা তাজুল ইসলাম ফয়সাল, হাসিবুর রহমান, নাঈম ইসলাম সহ বিভিন্ন থানা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি নেতারা। অন্যদিকে রাজধানীতে একই দাবিতে আরো একটি বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন সেখানে নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামাল হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান ও ড. মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো. হাফিজুর রহমান, কামরুল আহসান হাসান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরার সদস্য আব্দুর রহীম জীবন, ইঞ্জি. মুহাম্মদ আলী, মীর বাহার, মুহাম্মদ শাহজাহান, আবু জয়নব, মির্জা হেলাল, সাদেক বিল্লাহ, মোজাফফর হোসাইনসহ অন্যান্য নেতারা।