ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

সরকার গদি টিকাতে দেশের মানুষ নিয়ে বাজি ধরছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

  • আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবারও আরেকটি ‘তামাশার’ নির্বাচন করতে চায় বলেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলছেন, সেটা করে ফেললে দেশ আন্তর্জাতিক পরিম-লে ভয়ংকর কূটনৈতিক সংকটে এবং নানা বিপদের মুখে পড়বে।
গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হরতালের সমর্থনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, এই সরকার ওই গদি টিকিয়ে রাখার জন্য দেশের মানুষ ও দেশের অস্তিত্ব নিয়ে বাজি ধরছে।
সমাবেশের আগে জাতীয় প্রেসক্লাব, পুরানা পল্টন, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা এলাকায় মিছিল করেন তাঁরা। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে তাঁরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আওয়ামী লীগ একলা একলা গোল দিতে চায়, প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না। সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, আরেকটি একতরফা নির্বাচন করলে শুধু অর্থনৈতিক সংকট নয়, দেশ আন্তর্জাতিক পরিম-লে একটা ভয়ংকর কূটনৈতিক সংকটে পড়বে। দেশ নানা ধরনের বিপদের মুখে পড়বে। এই সরকার দেশের মানুষ ও দেশের অস্তিত্বকে নিয়ে বাজি ধরছে শুধু ওই গদি টিকিয়ে রাখার জন্য। নির্বাচনী তফসিল স্থগিত করে, সব বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিয়ে, হাজার হাজার হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে চান বলেন তিনি। এই সরকার পদত্যাগ করলে কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার হবে, এ ব্যাপারে যদি সরকারি দল নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে বিরোধী দল আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে বলেও জানান। এবার জনগণ ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত দাবি করে সাইফুল হক বলেন, ‘নির্বাচনের নামে আরেকটা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো তামাশা এ দেশের মানুষ কোনোভাবেই হতে দেবে না। সময় এখনো কয়েক দিন আছে। আলোচনা করুন, সিদ্ধান্ত নিন। সোজা পথে হাঁটলে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আপনাদের বিদায় নেওয়ার সুযোগ আছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সরকার গদি টিকাতে দেশের মানুষ নিয়ে বাজি ধরছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবারও আরেকটি ‘তামাশার’ নির্বাচন করতে চায় বলেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলছেন, সেটা করে ফেললে দেশ আন্তর্জাতিক পরিম-লে ভয়ংকর কূটনৈতিক সংকটে এবং নানা বিপদের মুখে পড়বে।
গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হরতালের সমর্থনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, এই সরকার ওই গদি টিকিয়ে রাখার জন্য দেশের মানুষ ও দেশের অস্তিত্ব নিয়ে বাজি ধরছে।
সমাবেশের আগে জাতীয় প্রেসক্লাব, পুরানা পল্টন, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা এলাকায় মিছিল করেন তাঁরা। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে তাঁরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আওয়ামী লীগ একলা একলা গোল দিতে চায়, প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না। সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, আরেকটি একতরফা নির্বাচন করলে শুধু অর্থনৈতিক সংকট নয়, দেশ আন্তর্জাতিক পরিম-লে একটা ভয়ংকর কূটনৈতিক সংকটে পড়বে। দেশ নানা ধরনের বিপদের মুখে পড়বে। এই সরকার দেশের মানুষ ও দেশের অস্তিত্বকে নিয়ে বাজি ধরছে শুধু ওই গদি টিকিয়ে রাখার জন্য। নির্বাচনী তফসিল স্থগিত করে, সব বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিয়ে, হাজার হাজার হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে চান বলেন তিনি। এই সরকার পদত্যাগ করলে কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার হবে, এ ব্যাপারে যদি সরকারি দল নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে বিরোধী দল আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে বলেও জানান। এবার জনগণ ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত দাবি করে সাইফুল হক বলেন, ‘নির্বাচনের নামে আরেকটা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো তামাশা এ দেশের মানুষ কোনোভাবেই হতে দেবে না। সময় এখনো কয়েক দিন আছে। আলোচনা করুন, সিদ্ধান্ত নিন। সোজা পথে হাঁটলে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আপনাদের বিদায় নেওয়ার সুযোগ আছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।