নিজস্ব প্রতিবেদক : এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পদত্যাগ এবং জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, “১০ নভেম্বরে মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সকল নিবন্ধিত এবং প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।”
গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। কারাবন্দি রাজনীতিকদের মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি সংলাপের উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্র প্রধানের প্রতি আহ্বান জানান রেজাউল করীম।
“বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপিসহ সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”
সরকার বিরোধী ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনের প্রতি সংহতিও প্রকাশ করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির। তিনি বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধীদল সমূহের সকল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছি।” মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেকে দলটির নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন। জুমার নামাজের পর শুরু হয় সমাবেশ। সড়ক বন্ধ না করার শর্ত থাকলেও দুপুরে পর কদম ফোয়ারা থেকে মৎস্য ভবন ও শাহবাগ পর্যন্ত সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। অনেক নেতা-কর্মী উদ্যানের বাইরে সড়কে বসে দুপুরের খাবার সেরে নিয়ে সেখান থেকেই বক্তব্য শোনেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বলেন, “উদ্যানের ভেতরে অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে। বাইরের কর্মীদের বলে ভেতরে পাঠাচ্ছি।” জাতীয় সরকার গঠন করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফরিদ উদ্দীন আল মোবারক, মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ।
১০ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় সরকার চায় ইসলামী আন্দোলন
১০ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় সরকার চায় ইসলামী আন্দোলন
জনপ্রিয় সংবাদ