নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সমাবেশ ঘিরে শনিবারের সংঘর্ষ এবং রোববারের হরতালের দুই দিনে সারাদেশে ৪৫টি আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে অর্ধেকই ঘটেছে রাজধানীতে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার এ সময়ে ৩৭টি যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে রোববার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তরফে জানানো হয়েছে।
সংস্থার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ১টা থেকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে আগুন দেওয়ার মোট ৪৫টি ঘটনার মধ্যে ২৭টিই ঘটেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এর মধ্যে হরতালের দিনে ঢাকায় চারটি আগুন দেওয়ার ঘটনা আছে, ঢাকার বাইরে এই সংখ্যা ৯। বিভাগওয়ারি হিসাবে, দুই দিনে কেবল ঢাকা বিভাগে আগুন দেওয়ার ঘটনা ৪১টি, খুলনা বিভাগে দুটি এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এসব ঘটনায় ১৯টি বাস, ৩টি মাইক্রোবাস, ৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি ট্রাক, ৭টি মোটরসাইকেল, ৩টি পিকআপ এবং সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশা পুড়ে যায়। যানবাহন ছাড়াও পুলিশ বক্স, বিদ্যুৎ অফিস, বাস কাউন্টার এবং রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস এও জানিয়েছে, শনিবার বিকালে ঢাকার শাজাহানপুর ফ্লাইওভারের নিচে অগ্নি নির্বাপণ শেষে ফেরার পথে সংস্থাটির পানিবাহী একটি গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন দেয় ‘উচ্ছৃঙ্খল জনতা’। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা ও এক চালক আহত হয়েছে। এদিকে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সমাবেশ কর্মসূচির নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা শনিবার ঢাকা শহরে বিভিন্ন পরিবহনের ৫টি এবং রোববার হরতালে আরও ৭টি গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে।” এ সময় এক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় উল্লেখ করে তিনি আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। পাশাপাশি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।