ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
লালমনিরহাটে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

লালমনিরহাটে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

  • আপডেট সময় : ০৩:১২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : বিএনপির ডাকা হরতালে লালমনিরহাটে সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪৮ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর হোসেন সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মহেন্দ্রনগর বাফার গোডাউন লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকও। তিনি বেড়পাঙ্গা এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আরও এক নেতা ও একজন কর্মী। চিকিৎসার জন্য তাদের একজনকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় যে হরতাল আহ্বান করা হয়েছে, তার পক্ষে রোববার সকালে লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও পিকেটিং করতে থাকে দলটির নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে ‘শান্তি সমাবেশ’ ও মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের তিন জনকে কুপিয়ে জখম করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান। জাহাঙ্গীর ছাড়াও আহত হন মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও আওয়ামী লীগ কর্মী বাবলু মিয়া। তাদের প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুপুরের দিকে সেখানে মৃত্যু হয় জাহাঙ্গীরের। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক একজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজু মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। সংঘর্ষ হয়েছে আদিতমারী উপজেলায়ও। সকাল সাড়ে দশটার দিকে সেখানকার সাপ্টিবাড়ি বাজারের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ করতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে বের হলে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ সময় বিএনপির দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে সকাল এগারোটার দিকে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তখন আবার শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ের বাইরে চেয়ার ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। পালিয়ে যায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এরপর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাটে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

লালমনিরহাটে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ০৩:১২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : বিএনপির ডাকা হরতালে লালমনিরহাটে সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪৮ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর হোসেন সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মহেন্দ্রনগর বাফার গোডাউন লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকও। তিনি বেড়পাঙ্গা এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আরও এক নেতা ও একজন কর্মী। চিকিৎসার জন্য তাদের একজনকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় যে হরতাল আহ্বান করা হয়েছে, তার পক্ষে রোববার সকালে লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও পিকেটিং করতে থাকে দলটির নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে ‘শান্তি সমাবেশ’ ও মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের তিন জনকে কুপিয়ে জখম করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান। জাহাঙ্গীর ছাড়াও আহত হন মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও আওয়ামী লীগ কর্মী বাবলু মিয়া। তাদের প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুপুরের দিকে সেখানে মৃত্যু হয় জাহাঙ্গীরের। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক একজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজু মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। সংঘর্ষ হয়েছে আদিতমারী উপজেলায়ও। সকাল সাড়ে দশটার দিকে সেখানকার সাপ্টিবাড়ি বাজারের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ করতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে বের হলে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ সময় বিএনপির দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে সকাল এগারোটার দিকে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তখন আবার শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ের বাইরে চেয়ার ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। পালিয়ে যায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এরপর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।