স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: বর্তমানে প্রতি ১০ জনের একজনের বেশি মানুষ অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারে আসক্ত এবং তাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ জাংক ফুড আসক্তির চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়াই করছেন। তারা আলুর চিপস, আইসক্রিম এবং অনুরূপ খাবার খাওয়া থেকে নিজেদের মুক্ত করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তা করতে পারছেন না। এই ঘটনাটি অনেক ডায়েটিশিয়ান এবং গবেষকদের গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার নিকোটিন এবং হেরোইনের মতোই আসক্তির। সম্প্রতি ৩৬টি ভিন্ন দেশে ২৮১টি গবেষণার ফল ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের অক্টোবর ২০২৩ ইস্যুতে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে প্রকাশিত হওয়া বিশ্লেষণ অনুসারে, ১৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারে আসক্ত। এখন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো মাদকের মতোই আসক্তির হতে পারে। এটি উদ্বেগজনক, কারণ এসব খাবার অস্বাস্থ্যকর এবং অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ৩৬টি দেশের ২৮১ জন অংশগ্রহণকারীর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ১৪ শতাংশ মানুষ ইউপিএফ-এ আসক্ত। এটি একটি গুরুতর সমস্যা কারণ। সম্প্রতি এই নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, সসেজ, আইসক্রিম, বিস্কুট, কোল্ড ড্রিংকস অস্বাস্থ্যকর খাবার। এগুলো খেলে ক্যানসার, মানসিক যন্ত্রণা এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কেন এমন সমস্যা হয়, তা নিয়ে বেশ কয়েকটি মত রয়েছে। তাদের মতে, মিহি কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বিগুলোর সংমিশ্রণ প্রায়ই অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাওয়া যায়। এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট-গুলি মস্তিষ্কের সিস্টেমের উপর একটি অতি-সংযোজনকারী প্রভাব ফেলে, যা এই খাবারগুলোর আসক্তির আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট খাবারে বেশি কার্বোহাইড্রেট বা বেশি চর্বি থাকে, কিন্তু উচ্চ মাত্রায় নয়, যেখানে অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারে উভয়েরই উচ্চ মাত্রা থাকে। এই কারণে আপনি ঘরে তৈরি আলুর চিপসে আসক্ত হবেন না। তবে প্যাকেটজাত আলুর চিপসে হবেন। তার কারণ দুটি পদ্ধতিগত ভাবে সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। তাই দ্বিতীয়টি মারাত্মক ক্ষতির হয়ে উঠতে পারে।