ঢাকা ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
দুই সপ্তাহ পর ত্রাণ ঢুকল গাজায়

দুই সপ্তাহ পর ত্রাণ ঢুকল গাজায়

  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় শিশু-নারীসহ অন্তত ৪৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় জাবালিয়ার আল-মোতাওয়াক এলাকায় ২৪ জন এবং আল–আজরামিতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। গাজার খাদের এলাকায় নিহত হয়েছেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে চারটি শিশু ও এক নারী রয়েছেন। গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর এল-বালাহ ও আল–বুরেজি শরণার্থীশিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় প্রাণ গেছে আরও সাতজনের। ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, গাজায় তারা হামাস নিয়ন্ত্রিত স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। হামাসের ঘাঁটি, ট্যাংক-বিধ্বংসী লঞ্চার ও বিভিন্ন অবকাঠামো ছিল ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তু। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই দিনই পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে নির্বিচার হামলা চলছে। অবরুদ্ধ রয়েছে গাজা উপত্যকা। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে শিশু ১ হাজার ৫২৪টি, নারী ১ হাজারের বেশি। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হামলা ও তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের দেশে নিহত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৯ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬৩ সেনা ও পুলিশ সদস্য।
এদিকে গাজায় নির্বিচার ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভে হাজারো মানুষ অংশ নেন। তাঁরা অবিলম্বে হামলা বন্ধের দাবি জানান।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, ব্রিসবেন ও পার্থে।
দুই সপ্তাহ পর ত্রাণ ঢুকল গাজায়: ইসরায়েলের হামলা আর অবরোধে বিপর্যস্ত গাজায় দুই সপ্তাহ পর ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ঢুকেছে ২০টি ট্রাক। বিবিসি জানিয়েছে, মিশর থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ওষুধ ও খাবার নিয়ে গাজায় ঢুকেছে ২০টি ট্রাকের একটি বহর। বিধ্বস্ত গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই রাফাহ ক্রসিংয়ে অপেক্ষায় ছিল এসব ট্রাক।
গতকাল শনিবার ক্রসিংটি খুলে দেওয়ার পরপর ট্রাকগুলো গাজায় ঢুকতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ভিডিওতে এই চিত্র দেখা গেছে। সেখানে কাজ করছেন জাতিসংঘ ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা। তবে ক্রসিংটি কতদিন খোলা রাখা হবে তা জানা যায়নি। ইসরায়েল আপাতত ত্রাণের ২০টি ট্রাক ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে খাবার, পানি, জ্বালানির সঙ্কটে থাকা লাখ লাখ গাজাবাসীর জন্য এ সহায়তাকে ‘সাগরে এক ফোঁটা জল’ হিসেবে তুলনা করেছে গাজায় জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা। রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিসের কর্মকর্তা জুলিয়েট তৌমা বলেছেন, “গাজার নাগরিকদের টেকসই এবং ধারাবাহিক মানবিক সহায়তা দরকার,,,বিশেষ করে পানি সরবরাহ কেন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি।”
পানির পাম্পগুলো চালানোর জন্য অবশ্যই জ্বালানি দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, “গাজায় পানি ফুরিয়ে আসছে, কোথা কোথাও একেবারেই পানি মিলছে না।”

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

দুই সপ্তাহ পর ত্রাণ ঢুকল গাজায়

দুই সপ্তাহ পর ত্রাণ ঢুকল গাজায়

আপডেট সময় : ০২:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় শিশু-নারীসহ অন্তত ৪৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় জাবালিয়ার আল-মোতাওয়াক এলাকায় ২৪ জন এবং আল–আজরামিতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। গাজার খাদের এলাকায় নিহত হয়েছেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে চারটি শিশু ও এক নারী রয়েছেন। গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর এল-বালাহ ও আল–বুরেজি শরণার্থীশিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় প্রাণ গেছে আরও সাতজনের। ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, গাজায় তারা হামাস নিয়ন্ত্রিত স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। হামাসের ঘাঁটি, ট্যাংক-বিধ্বংসী লঞ্চার ও বিভিন্ন অবকাঠামো ছিল ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তু। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই দিনই পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে নির্বিচার হামলা চলছে। অবরুদ্ধ রয়েছে গাজা উপত্যকা। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে শিশু ১ হাজার ৫২৪টি, নারী ১ হাজারের বেশি। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হামলা ও তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের দেশে নিহত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৯ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬৩ সেনা ও পুলিশ সদস্য।
এদিকে গাজায় নির্বিচার ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভে হাজারো মানুষ অংশ নেন। তাঁরা অবিলম্বে হামলা বন্ধের দাবি জানান।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, ব্রিসবেন ও পার্থে।
দুই সপ্তাহ পর ত্রাণ ঢুকল গাজায়: ইসরায়েলের হামলা আর অবরোধে বিপর্যস্ত গাজায় দুই সপ্তাহ পর ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ঢুকেছে ২০টি ট্রাক। বিবিসি জানিয়েছে, মিশর থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ওষুধ ও খাবার নিয়ে গাজায় ঢুকেছে ২০টি ট্রাকের একটি বহর। বিধ্বস্ত গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই রাফাহ ক্রসিংয়ে অপেক্ষায় ছিল এসব ট্রাক।
গতকাল শনিবার ক্রসিংটি খুলে দেওয়ার পরপর ট্রাকগুলো গাজায় ঢুকতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ভিডিওতে এই চিত্র দেখা গেছে। সেখানে কাজ করছেন জাতিসংঘ ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা। তবে ক্রসিংটি কতদিন খোলা রাখা হবে তা জানা যায়নি। ইসরায়েল আপাতত ত্রাণের ২০টি ট্রাক ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে খাবার, পানি, জ্বালানির সঙ্কটে থাকা লাখ লাখ গাজাবাসীর জন্য এ সহায়তাকে ‘সাগরে এক ফোঁটা জল’ হিসেবে তুলনা করেছে গাজায় জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা। রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিসের কর্মকর্তা জুলিয়েট তৌমা বলেছেন, “গাজার নাগরিকদের টেকসই এবং ধারাবাহিক মানবিক সহায়তা দরকার,,,বিশেষ করে পানি সরবরাহ কেন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি।”
পানির পাম্পগুলো চালানোর জন্য অবশ্যই জ্বালানি দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, “গাজায় পানি ফুরিয়ে আসছে, কোথা কোথাও একেবারেই পানি মিলছে না।”