ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

চামড়া শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় : ০২:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চামড়া শিল্পকে উন্নত করে আরও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চামড়া শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ খাতের এক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার লাল ফিতা থেকে বেরিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানান। তিনি বলেছেন, “আমি চাই কাজের ক্ষেত্রে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য যেন আর না থাকে।” ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী চামড়া খাতের উন্নয়ন এবং রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খোঁজাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। এ খাতের ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী পৃথক চামড়া শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন এবং এ শিল্পের জন্য আরও ১০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণাও দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, “পরিবেশগত দিক বিবেচনায় ট্যানারি শিল্পকে আমরা সাভারে স্থানান্তর করেছি। সেটাকে আরও উন্নত করে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন করব। চামড়া শিল্প উন্নয়নের জন্য ‘চামড়া শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ আমরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীনে করে দেব, সেই ঘোষণা করছি। “ছোটখাটো সমস্যা যেন আর না হয় সেজন্য এখন সাভারে করেছি, পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে অঞ্চলভিত্তিক ট্যানারি শিল্প গড়ে তুললে চামড়ার ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এটাকে আমরা বড় করে তুলব।” দেশের চামড়া শিল্পকে রপ্তানির সম্ভাবনমায় খাত হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে ধরা হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলে আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্সের শর্ত পরিপালনে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলোকে সাভারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময়েও সেই চামড়া শিল্প নগরী এখনও পরিপূর্ণভাবে পরিবেশ ও শিল্পবান্ধব হিসেবে গড়ে ওঠেনি। বিপুল বিনিয়োগে শিল্প নগরী স্থাপন হলেও সেখানে বর্জ্য নিষ্কাশনের জটিলতা রয়েই গেছে। যে কারণে শিল্প উদ্যোক্তারা স্বতন্ত্র বিশেষ কর্তৃপক্ষ গঠনে গত কয়েকদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ কর্তৃপক্ষের অধীনে চামড়া শিল্পনগরী উন্নয়ন ও তা পরিচালনায় দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তোলেন তারা। তিন দিনের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সেই কর্তৃপক্ষ গঠনের ঘোষণা এল। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের নীতিমালা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। তিন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে ২০২৫ সালে। পাদুকা ছাড়া অন্যান্য পণ্যে চামড়ার ব্যবহার বাড়ানোর নজর দিতে হবে। “২০৩০ সালে যেন ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয় সেটা আমি চাই। চামড়া পণ্য ও পাদুকা শিল্প গড়ে তোলার জন্য অন্তত ১০০ একর জমি বরাদ্ধ থাকবে। এখানে একজন উদ্যোক্তাকে আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে বরাদ্দ দিব,” বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, “আমাদের প্রচলিত লাল ফিতা ধারণা সেটার অবসান হলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে, দেশ আরও উন্নত হবে। আমাদের একটা মানসিকতা আছে যে, আমলারা ভাবেন যে আরেকটু টাইট দিতে পারলে বোধহয় সব ভালো হবে, সবসময় সেটা ভালো হয় না। “দ্রুত সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন, সেই নীতিতে আমি বিশ্বাস করি। আমি চাই কাজের ক্ষেত্রে লাল ফিতার দৌড়াত্ব যেন আর না থাকে। আমি চাই যত দ্রুত, দ্রুত আমরা রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত দিতে পারি, আবার আটকে যাই। সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।” চামড়ার পাশাপাশি আরও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যেটা আমাদের জন্য মূল্যবান হবে, আরও বেশি আমরা অর্থ উপার্জন করতে পারব। সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করতে চাই। “আমদানি পণ্যটা যাতে দ্রুত খালাস করা যায় সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিচ্ছি এবং নেব। পোর্টগুলোকে আমরা আরও উন্নত করছি। কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে সময় সুযোগের কথা বলা হয়েছে, আমরা দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করব।” প্রধানমন্ত্রী আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে স্থানীয়ভাবে নিজেরাই পণ্য তৈরি বাড়াতে ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজে মনযোগ দিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশি ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেরা কিছু করতে পারি কি না সেটার দিকে নজর দিতে হবে। আমরা আমাদের দেশের নামে পণ্য বাজারজাত করতে পারি কি না সেটা এখন দেখতে হবে।” এজন্য সরকার বিশ্বজুড়ে নতুন বাজার খুঁজছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা নতুন নতুন বাজার খুঁজছি। আমি যখন যেই রাষ্ট্রে যাই, সেই দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করি। বৈঠক করে তাদেরকে আমি নির্দেশনাটা দেই।

“এখন ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসি, এখন আর পলিটিক্যাল ডিপ্লোমেসি নেই। কোন কোন দেশে রপ্তানিটা বাড়ানো যায় বা আমদানির ক্ষেত্রে কোন সুবিধাটা বেশি পেতে পারি, কোথায় কী চাহিদাটা বেশি, কোথায় কী দক্ষ জনশক্তিটা দরকার সেটা আমরা খুঁজি।” শ্রমিকদের পাওনা সঠিকভাবে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ আমাদের মূল শক্তি এ জনগণের বড় অংশ হচ্ছে শ্রমিক। আপনার সময় বেশি দেওয়ার প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কিন্তু কথা শোনে, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের শ্রমিকরা কিন্তু সেটা শোনে না। “আপনারা তাদের, সেই শ্রমিকদের দিকে দৃষ্টি দেবেন, তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করার জন্য যতটুকু সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থাটা করবেন।” অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ইসরায়েল যেভাবে প্যালেস্টাইনের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে, ইতোমধ্যে তাদের অনেক জায়গা দখলই করে রেখেছে। এখন অবরুদ্ধ আছে অনেক জায়গা। আমার অনুরোধ থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগুলো বন্ধ করতে হবে। “এই যুদ্ধ বন্ধ না করতে পারলে, আর এইভাবে অস্ত্রের খেলা বন্ধ না করলে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাবে। আমরা শান্তি চাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিমালা খুবই স্পষ্ট, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে বৈরিতা নয়। আমরা সেই নীতিতেই এগিয়ে চলছি।”

 

 

ৃো

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

চামড়া শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০২:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : চামড়া শিল্পকে উন্নত করে আরও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চামড়া শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ খাতের এক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার লাল ফিতা থেকে বেরিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানান। তিনি বলেছেন, “আমি চাই কাজের ক্ষেত্রে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য যেন আর না থাকে।” ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী চামড়া খাতের উন্নয়ন এবং রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খোঁজাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। এ খাতের ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী পৃথক চামড়া শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন এবং এ শিল্পের জন্য আরও ১০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণাও দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, “পরিবেশগত দিক বিবেচনায় ট্যানারি শিল্পকে আমরা সাভারে স্থানান্তর করেছি। সেটাকে আরও উন্নত করে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন করব। চামড়া শিল্প উন্নয়নের জন্য ‘চামড়া শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ আমরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীনে করে দেব, সেই ঘোষণা করছি। “ছোটখাটো সমস্যা যেন আর না হয় সেজন্য এখন সাভারে করেছি, পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে অঞ্চলভিত্তিক ট্যানারি শিল্প গড়ে তুললে চামড়ার ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এটাকে আমরা বড় করে তুলব।” দেশের চামড়া শিল্পকে রপ্তানির সম্ভাবনমায় খাত হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে ধরা হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলে আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্সের শর্ত পরিপালনে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলোকে সাভারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময়েও সেই চামড়া শিল্প নগরী এখনও পরিপূর্ণভাবে পরিবেশ ও শিল্পবান্ধব হিসেবে গড়ে ওঠেনি। বিপুল বিনিয়োগে শিল্প নগরী স্থাপন হলেও সেখানে বর্জ্য নিষ্কাশনের জটিলতা রয়েই গেছে। যে কারণে শিল্প উদ্যোক্তারা স্বতন্ত্র বিশেষ কর্তৃপক্ষ গঠনে গত কয়েকদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ কর্তৃপক্ষের অধীনে চামড়া শিল্পনগরী উন্নয়ন ও তা পরিচালনায় দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তোলেন তারা। তিন দিনের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সেই কর্তৃপক্ষ গঠনের ঘোষণা এল। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের নীতিমালা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। তিন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে ২০২৫ সালে। পাদুকা ছাড়া অন্যান্য পণ্যে চামড়ার ব্যবহার বাড়ানোর নজর দিতে হবে। “২০৩০ সালে যেন ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয় সেটা আমি চাই। চামড়া পণ্য ও পাদুকা শিল্প গড়ে তোলার জন্য অন্তত ১০০ একর জমি বরাদ্ধ থাকবে। এখানে একজন উদ্যোক্তাকে আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে বরাদ্দ দিব,” বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, “আমাদের প্রচলিত লাল ফিতা ধারণা সেটার অবসান হলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে, দেশ আরও উন্নত হবে। আমাদের একটা মানসিকতা আছে যে, আমলারা ভাবেন যে আরেকটু টাইট দিতে পারলে বোধহয় সব ভালো হবে, সবসময় সেটা ভালো হয় না। “দ্রুত সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন, সেই নীতিতে আমি বিশ্বাস করি। আমি চাই কাজের ক্ষেত্রে লাল ফিতার দৌড়াত্ব যেন আর না থাকে। আমি চাই যত দ্রুত, দ্রুত আমরা রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত দিতে পারি, আবার আটকে যাই। সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।” চামড়ার পাশাপাশি আরও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যেটা আমাদের জন্য মূল্যবান হবে, আরও বেশি আমরা অর্থ উপার্জন করতে পারব। সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করতে চাই। “আমদানি পণ্যটা যাতে দ্রুত খালাস করা যায় সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিচ্ছি এবং নেব। পোর্টগুলোকে আমরা আরও উন্নত করছি। কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে সময় সুযোগের কথা বলা হয়েছে, আমরা দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করব।” প্রধানমন্ত্রী আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে স্থানীয়ভাবে নিজেরাই পণ্য তৈরি বাড়াতে ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজে মনযোগ দিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশি ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেরা কিছু করতে পারি কি না সেটার দিকে নজর দিতে হবে। আমরা আমাদের দেশের নামে পণ্য বাজারজাত করতে পারি কি না সেটা এখন দেখতে হবে।” এজন্য সরকার বিশ্বজুড়ে নতুন বাজার খুঁজছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা নতুন নতুন বাজার খুঁজছি। আমি যখন যেই রাষ্ট্রে যাই, সেই দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করি। বৈঠক করে তাদেরকে আমি নির্দেশনাটা দেই।

“এখন ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসি, এখন আর পলিটিক্যাল ডিপ্লোমেসি নেই। কোন কোন দেশে রপ্তানিটা বাড়ানো যায় বা আমদানির ক্ষেত্রে কোন সুবিধাটা বেশি পেতে পারি, কোথায় কী চাহিদাটা বেশি, কোথায় কী দক্ষ জনশক্তিটা দরকার সেটা আমরা খুঁজি।” শ্রমিকদের পাওনা সঠিকভাবে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ আমাদের মূল শক্তি এ জনগণের বড় অংশ হচ্ছে শ্রমিক। আপনার সময় বেশি দেওয়ার প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কিন্তু কথা শোনে, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের শ্রমিকরা কিন্তু সেটা শোনে না। “আপনারা তাদের, সেই শ্রমিকদের দিকে দৃষ্টি দেবেন, তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করার জন্য যতটুকু সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থাটা করবেন।” অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ইসরায়েল যেভাবে প্যালেস্টাইনের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে, ইতোমধ্যে তাদের অনেক জায়গা দখলই করে রেখেছে। এখন অবরুদ্ধ আছে অনেক জায়গা। আমার অনুরোধ থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগুলো বন্ধ করতে হবে। “এই যুদ্ধ বন্ধ না করতে পারলে, আর এইভাবে অস্ত্রের খেলা বন্ধ না করলে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাবে। আমরা শান্তি চাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিমালা খুবই স্পষ্ট, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে বৈরিতা নয়। আমরা সেই নীতিতেই এগিয়ে চলছি।”

 

 

ৃো