ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

কোনো অপরাধ করিনি, তাই শঙ্কিত নই’ : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • আপডেট সময় : ০২:০২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি, তাই শঙ্কিত নই। আমাকে ডাকা হয়েছিল, সেজন্য এসেছিলাম। যেহেতু এটা আইনি বিষয়, সুতরাং আমার আইনজীবী বিস্তারিত বলবেন।’ অর্থপাচার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সকালে সংস্থাটির কার্যালয়ে হাজির হন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান দুদক কার্যালয়ে আসেন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা। ইউনূসের আইনজীবী ও দুদক সূত্র জানায়, সকাল ১০ টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর ১১ টার দিকে দুদক কার্যালয়ে থেকে বের হন ড. ইউনুসসহ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তারা। পরে ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই মামলা অবশ্যই ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি ড. ইউনূসের আইনজীবী হিসেবে ভেতরে ( দুদক কার্যালয়ে) গিয়েছিলাম এবং আমি আইনের সমস্ত ব্যাখ্যা ওইখানে দিয়েছি। ওনারা (দুদক) বলেছেন ওই সমঝোতা চুক্তিটি জাল। আমি বলেছি আপনারা জাল বলতে পারেন না, কারণ দুই পক্ষের সমঝোতা যখন হয় তখন আর সেটা জাল থাকে না। যেহেতু এটা হাইকোর্টের অনুমোদন পাওয়া সুতরাং এটা জাল না। ওই চুক্তিতে ছিল শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে সাত দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। সাত দিনের মধ্যেই আমরা অ্যকাউন্ট করেছি। ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, হ্যাঁ, আমরা টেলিফোনে অনুমতি নিয়েছি কারণ সবাই এক সঙ্গে থাকে না। আমরা ৯ তারিখের জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে সবার অনুমতি নিয়েছি। দুদক বলেছে আপনারা অনুমতিটা পরে নিয়েছেন। আমি বলেছি দেরি হওয়ার ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে এটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। এর আগে গত বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিন কর্মকর্তা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্ট ১৩ জনকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে নোটিশ দেয় সংস্থাটি। গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাত ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন-প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

কোনো অপরাধ করিনি, তাই শঙ্কিত নই’ : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেট সময় : ০২:০২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি, তাই শঙ্কিত নই। আমাকে ডাকা হয়েছিল, সেজন্য এসেছিলাম। যেহেতু এটা আইনি বিষয়, সুতরাং আমার আইনজীবী বিস্তারিত বলবেন।’ অর্থপাচার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সকালে সংস্থাটির কার্যালয়ে হাজির হন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান দুদক কার্যালয়ে আসেন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা। ইউনূসের আইনজীবী ও দুদক সূত্র জানায়, সকাল ১০ টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর ১১ টার দিকে দুদক কার্যালয়ে থেকে বের হন ড. ইউনুসসহ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তারা। পরে ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই মামলা অবশ্যই ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি ড. ইউনূসের আইনজীবী হিসেবে ভেতরে ( দুদক কার্যালয়ে) গিয়েছিলাম এবং আমি আইনের সমস্ত ব্যাখ্যা ওইখানে দিয়েছি। ওনারা (দুদক) বলেছেন ওই সমঝোতা চুক্তিটি জাল। আমি বলেছি আপনারা জাল বলতে পারেন না, কারণ দুই পক্ষের সমঝোতা যখন হয় তখন আর সেটা জাল থাকে না। যেহেতু এটা হাইকোর্টের অনুমোদন পাওয়া সুতরাং এটা জাল না। ওই চুক্তিতে ছিল শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে সাত দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। সাত দিনের মধ্যেই আমরা অ্যকাউন্ট করেছি। ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, হ্যাঁ, আমরা টেলিফোনে অনুমতি নিয়েছি কারণ সবাই এক সঙ্গে থাকে না। আমরা ৯ তারিখের জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে সবার অনুমতি নিয়েছি। দুদক বলেছে আপনারা অনুমতিটা পরে নিয়েছেন। আমি বলেছি দেরি হওয়ার ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে এটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। এর আগে গত বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিন কর্মকর্তা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্ট ১৩ জনকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে নোটিশ দেয় সংস্থাটি। গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাত ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন-প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।