স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: বয়সের অনুপাতে ব্যায়ামের ধরণ হয় আলাদা। সুস্থ থাকতে হলে ব্যায়াম করতে হবে। আবার ব্যায়াম করতে গেলে শরীর ও বয়স সংবেদনশীল হওয়া জরুরি। সবার মধ্যে এক ধরনের ধারণা রয়েছে যে জিমে গেলেই শরীরচর্চা হয়। আবার অনেকে জিমে যেতে পারেন না তখন অনলাইনে কোনো ভিডিও দেখে শরীরচর্চা করতে শুরু করেন। কিন্তু এমনটা ঠিক নয়। বয়সের অনুপাতে কিছু সাধারণ ব্যায়াম সবাই করতে পারেন। শরীর এই ভারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে কি-না সেটি বুঝতে হবে। আজ মূলত বয়সভেদে কি ধরনের ব্যায়াম করবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বিশ থেকে ত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত
এই বয়সটা এমন যে যা ইচ্ছা তা খেতে পারবেন। আর এই সময় পেশি গঠনে অনেক মনোযোগ দেওয়া যায়। বিশের পর থেকে সুস্থ থাকার চর্চা করলে আপনারই লাভ। যদি প্রতিদিন কিছু ব্যায়াম ত্রিশ মিনিট করতে পারেন তাহলে দীর্ঘদিন তার সুফল ভোগ করবেন। এক্ষেত্রে আপনার উপযুক্ত ব্যায়াম:
* ভারোত্তলন।
* পুশ আপ।
* লাঞ্জেস।
তিরিশের পর
তিরিশের পর ব্যায়ামের রুটিনে বদল আনতে হয়। এই সময় শরীরের সব অংশের উপকারিতার কথাই ভাবতে হয়। শুধু পেশির কথা ভাবলে হবে না। স্ট্রেচিং ধরনের ব্যায়াম এই সময় সবচেয়ে ভালো হয়। তিরিশ বছর বয়সে আপনাকে শরীরের উর্দ্ধ ও নি¤œ উভয় অংশের জন্য উপকারী ব্যায়াম বেছে নিতে হবে। এই সময় সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম হলো:
* সাইক্লিং।
* ক্রস ট্রেইনিং।
* সুইমিং।
* ইয়োগা।
* তাই চি।
চল্লিশের পর
চল্লিশ গেলো আর অনেকের পেটে চর্বি জমতে শুরু করলো। পেটের চর্বি কমানো সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি। আর এই সময়ে পেশির শক্তিও অনেক কমে যায়। পুরুষের ক্ষেত্রে পেশি দূর্বল হওয়ার হার তুলনামূলক বেশি। হজম শক্তিও কমে। তাই এই সময় নিয়মিত স্ট্রেন্থ ওয়ার্ক আউট করা যেতে পারে। আপনার জন্য এই বয়সে
* ভারোত্তলন।
* ইয়োগা।
* অ্যারোবিকস।
পঞ্চাশ বছর
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নানারকম ব্যথা শুরু হয়। এসব ব্যথার সঙ্গে খাপ খাইয়েই নানারকম ব্যায়াম করতে হবে। যদি আপনার হাঁটু ব্যথা থাকে, তবে দৌড়ের পরিবর্তে সাঁতার কাটুন। এছাড়াও যেগুলো করতে পারেন তা হল:
* পিলেট।
* যোগব্যায়াম।
* অ্যারোবিকস।
পিলেট এবং যোগব্যায়ামে পিঠের শক্তি বাড়ায় ও কুঁজো হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে সপ্তাহে পঁয়ত্রিশ মিনিট অ্যারোবিকস করতে পারেন। তবে ভুলেও শরীরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এমন ব্যায়াম করা যাবে না। এতে ভয়ানক ক্লান্তি ও পেশীতে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।
ষাট বছরে গেলে
হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে নানারকম ব্যায়াম। হঠাৎ পড়ে গেলে কোমরের হাড় ভাঙা রোধ করতেও ব্যায়ামের বিকল্প নাই। তবে অবশ্যই একজন ব্যায়ামের প্রশিক্ষকের পরামর্শ নেবেন। এই বয়সে যে ব্যায়ামগুলো করবেন:
* ভারোত্তলন (সপ্তাহে দুই থেকে তিন বারে তিরিশ মিনিট)।
* জুম্বা।
* ওয়াটার অ্যারোবিকস।
সত্তর বছর (যদি সুস্থ থাকেন)
এই বয়সে এসে খুবই সাবধানতার সঙ্গে ব্যায়াম করতে হবে আপনাকে। ব্যায়ামের চেয়েও কর্মক্ষম থাকা বেশি জরুরী এই সময়ে। চেয়ারে বসে করা যায় এমন ব্যায়াম এসময়ের জন্য ভালো।
* রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ডের সাহায্যে দুই বাহু ওপরে তোলা।
* লেগ লিফট (দেয়াল বা চেয়ারে ভর দিয়ে)।
* অ্যারোবিকস (চেয়ার ধরে)।
* স্ট্রেচিং।
বয়স অনুপাতে ব্যায়ামের ধরণ
ট্যাগস :
বয়স অনুপাতে ব্যায়ামের ধরণ
জনপ্রিয় সংবাদ