ঢাকা ০২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা ঘুরে আসুন দেশের এই ৫ বন

  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বিস্তীর্ণ সুন্দরবন বা মিঠা পানির রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের মতো বেশ কয়েকটি চমৎকার ও বৈচিত্র্যময় বনের অবস্থান বাংলাদেশে। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর বনগুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। একজন অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীর কাছে বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর চেয়ে দারুণ অ্যাডভেঞ্চার আর কী-ই বা হতে পারে? তাই আপনি যদি হোন প্রকৃতিপ্রেমী কিংবা অ্যাডভেঞ্চার সন্ধানী, তবে ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশের এই ৫টি বন থেকে।
সুন্দরবন, খুলনা
রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং ভারতীয় অজগরের মতো বিপন্ন প্রজাতির জন্য আশ্রয়স্থল সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এ বনের ভ‚মিরেখায় এঁকেবেঁকে গেছে কাদামাটি ও জোয়ারের জটিল জলপথ। এখানে গেলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং লবণাক্ত পানির কুমির, হরিণের মতো নানা ধরনের প্রাণীর দেখা মিলতে পারে।মাসব্যাপী অ্যাডভেঞ্চার কিংবা এক সপ্তাহের ছোট ভ্রমণেও একসঙ্গে নদী ও বন দুই সৌন্দর্য উপভোগ করে আসতে পারেন সুন্দরবন থেকে।
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, সিলেট
মনে করুন, আপনি এমন একটি বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন যেখানে নুইয়ে থাকা গাছের ডালপালা, পাখির কিচিরমিচির এবং মাঝেমাঝেই সাপের ফিসফিস আওয়াজ আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে প্রকৃতির বিশালতার স্বর্গে। এই স্বর্গের নাম রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। সিলেটের গোয়াইন নদীতে অবস্থিত বনটি বিশ্বের স্বাদু পানির জলাভ‚মির মধ্যে অন্যতম। চিরসবুজ এ বনটি অসংখ্য প্রজাতির সাপ, টিকটিকি, পোকামাকড় ও পাখির আবাসস্থল, যা বছরের বেশিরভাগ সময়ই থাকে পানির নিচে। সিলেট শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরের এ বনে নৌকাযোগে যাওয়া যাবে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মৌলভীবাজার
আপনি কি অগণিত প্রজাতির পাখি, গাছপালা, প্রাণী ও সরীসৃপবেষ্টিত প্রকৃতির মাঝে নির্জনে ঘুরে বেড়াতে চান? তাহলে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক হতে পারে আপনার পছন্দের স্থান। এখানে হাইকিং ও ট্রেকিং উপভোগ করার সুযোগও পাবেন। তবে সঙ্গে একজন স্থানীয় গাইড নিলে সুবিধা হবে। প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের জন্য এটি যেন এক টুকরো স্বর্গ। সারাবছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এখানে।
ঝাউ বন, কুয়াকাটা
কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঝাউ বন। এটি ‘ঝাউ ফরেস্ট’ নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। বঙ্গোপসাগরের বালুকাময় তীরের উপক‚লীয় এই মরূদ্যানটি ঝাউ গাছের বেষ্টনীতে ঘেরা। এখানে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সাগরের ঢেউয়ের প্রশান্তিময় শব্দ, ঝাউ পাতার মৃদু কোলাহল ও সমুদ্রের বাতাস আপনাকে স্বাগত জানাবে। কুয়াকাটার কাউয়ার চরে অবস্থিত এই ঝাউ বনে গেলে লাল কাঁকড়ার প্রেমে পড়তে পারেন। কুয়াকাটা গেলে এটি ঘুরে আসতে ভুলবেন না যেন।
সাতছড়ি ন্যাশনাল পার্ক, হবিগঞ্জ
আপনি যদি প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলি সময় কাটাতে চান, তাহলে হবিগঞ্জের সাতছড়ি ন্যাশনাল পার্ক আপনার জন্য হতে পারে শান্তিপূর্ণ স্থান। সবুজাভ ভ‚মি, স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ পানির স্রোত এবং বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণীতে ভরপুর বনটি আপনার ভ্রমণকে করে রাখবে স্মরণীয়। বনের পথ ধরে হাঁটার সময় হুলক গিবন, জঙ্গলপাখি ও কাঠঠোকরার সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে। সাতছড়ি ন্যাশনাল ফরেস্ট হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে বাসে করে এখানে যেতে পারেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা ঘুরে আসুন দেশের এই ৫ বন

আপডেট সময় : ০৯:২৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বিস্তীর্ণ সুন্দরবন বা মিঠা পানির রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের মতো বেশ কয়েকটি চমৎকার ও বৈচিত্র্যময় বনের অবস্থান বাংলাদেশে। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর বনগুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। একজন অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীর কাছে বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর চেয়ে দারুণ অ্যাডভেঞ্চার আর কী-ই বা হতে পারে? তাই আপনি যদি হোন প্রকৃতিপ্রেমী কিংবা অ্যাডভেঞ্চার সন্ধানী, তবে ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশের এই ৫টি বন থেকে।
সুন্দরবন, খুলনা
রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং ভারতীয় অজগরের মতো বিপন্ন প্রজাতির জন্য আশ্রয়স্থল সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এ বনের ভ‚মিরেখায় এঁকেবেঁকে গেছে কাদামাটি ও জোয়ারের জটিল জলপথ। এখানে গেলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং লবণাক্ত পানির কুমির, হরিণের মতো নানা ধরনের প্রাণীর দেখা মিলতে পারে।মাসব্যাপী অ্যাডভেঞ্চার কিংবা এক সপ্তাহের ছোট ভ্রমণেও একসঙ্গে নদী ও বন দুই সৌন্দর্য উপভোগ করে আসতে পারেন সুন্দরবন থেকে।
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, সিলেট
মনে করুন, আপনি এমন একটি বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন যেখানে নুইয়ে থাকা গাছের ডালপালা, পাখির কিচিরমিচির এবং মাঝেমাঝেই সাপের ফিসফিস আওয়াজ আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে প্রকৃতির বিশালতার স্বর্গে। এই স্বর্গের নাম রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। সিলেটের গোয়াইন নদীতে অবস্থিত বনটি বিশ্বের স্বাদু পানির জলাভ‚মির মধ্যে অন্যতম। চিরসবুজ এ বনটি অসংখ্য প্রজাতির সাপ, টিকটিকি, পোকামাকড় ও পাখির আবাসস্থল, যা বছরের বেশিরভাগ সময়ই থাকে পানির নিচে। সিলেট শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরের এ বনে নৌকাযোগে যাওয়া যাবে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মৌলভীবাজার
আপনি কি অগণিত প্রজাতির পাখি, গাছপালা, প্রাণী ও সরীসৃপবেষ্টিত প্রকৃতির মাঝে নির্জনে ঘুরে বেড়াতে চান? তাহলে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক হতে পারে আপনার পছন্দের স্থান। এখানে হাইকিং ও ট্রেকিং উপভোগ করার সুযোগও পাবেন। তবে সঙ্গে একজন স্থানীয় গাইড নিলে সুবিধা হবে। প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের জন্য এটি যেন এক টুকরো স্বর্গ। সারাবছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এখানে।
ঝাউ বন, কুয়াকাটা
কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঝাউ বন। এটি ‘ঝাউ ফরেস্ট’ নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। বঙ্গোপসাগরের বালুকাময় তীরের উপক‚লীয় এই মরূদ্যানটি ঝাউ গাছের বেষ্টনীতে ঘেরা। এখানে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সাগরের ঢেউয়ের প্রশান্তিময় শব্দ, ঝাউ পাতার মৃদু কোলাহল ও সমুদ্রের বাতাস আপনাকে স্বাগত জানাবে। কুয়াকাটার কাউয়ার চরে অবস্থিত এই ঝাউ বনে গেলে লাল কাঁকড়ার প্রেমে পড়তে পারেন। কুয়াকাটা গেলে এটি ঘুরে আসতে ভুলবেন না যেন।
সাতছড়ি ন্যাশনাল পার্ক, হবিগঞ্জ
আপনি যদি প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলি সময় কাটাতে চান, তাহলে হবিগঞ্জের সাতছড়ি ন্যাশনাল পার্ক আপনার জন্য হতে পারে শান্তিপূর্ণ স্থান। সবুজাভ ভ‚মি, স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ পানির স্রোত এবং বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণীতে ভরপুর বনটি আপনার ভ্রমণকে করে রাখবে স্মরণীয়। বনের পথ ধরে হাঁটার সময় হুলক গিবন, জঙ্গলপাখি ও কাঠঠোকরার সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে। সাতছড়ি ন্যাশনাল ফরেস্ট হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে বাসে করে এখানে যেতে পারেন।