ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার শপথ বিএনপির

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক দিবসে আমাদের শপথ হচ্ছে, যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ও সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, আর বিলম্ব নয়, এখনই সবাইকে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে। আসুন আমরা সবাই একযোগে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি— এই হোক আজকে গণতন্ত্র দিবসে আমাদের শপথ। যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, যদি জনগণ ভোট দিতে যেতে পারে তাহলে তারা ১০টি আসনও পাবে না। সেজন্য তারা প্রশাসনকে নিজেদের মতো করে সাজাচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’র প্রধান আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিনকে কারাদÐ প্রদানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে যিনি কথা বলেছেন, তাকে কারাদÐ দেওয়া হয়েছে। সরকার এত ভীত যে, তাদের দুই বছর করে কারাদÐ দেওয়া হয়েছে। আজকে সারা বিশ্ব এই সরকারের নিন্দা জানিয়েছে এবং অবিলম্বে তাদেরকে মুক্ত করতে বলেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তারা রেজুলেশন করেছে যে, অবিলম্বে এই মামলা বাতিল করে তাদের মুক্ত করা হোক, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হোক এবং মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হোক। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছরে এ ফ্যাসিস্ট সরকার গোটা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ডিসি-এসপিদের নিজেদের মতো সাজিয়েছে। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যত পারো মামলা দাও। আজকে মামলাকে উপেক্ষা করে মানুষ রাজপথে নেমেছে। খালেদ জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলেও দাবি করেন তিনি। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। এতে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভ‚ঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।
লাগাতার আন্দোলনে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে : ১২ দলীয় জোট: বর্তমান সরকারের বিদায়ের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের নেতা বলেছেন, সামনে লাগাতার আন্দোলন আসছে। খুব শিগগিরই এই সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বরে) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে আয়োজিত সমাবেশে তারা এ কথা বলেন। ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে এক দফা দাবিতে এবং আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, এই সরকারের পতনের শেষ ঘণ্টা বেজে গেছে। আদিলুর রহমানকে দÐ দেওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারা হলো। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এই সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এসব করে শেষরক্ষা হবে না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। বর্তমান অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেজন্যই তারা নিশিরাতে ভোট করে ক্ষমতায় আছে। বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশ ও জাতি আজ চরম ক্রান্তিকালে উপনীত হয়েছে। কারণ বর্তমান বিনা ভোটের সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে। আবারও ভোট ছাড়াই নির্বাচন করলে তারা যা খুশী করবে। তবে এবার ডু অর ডাই। লাগাতার আন্দোলন আসছে। এছাড়া বিকল্প নেই। আমরা লড়াই করেই এই সরকারের পতন ঘটাব ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রধানসহ আরও অনেকে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার শপথ বিএনপির

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক দিবসে আমাদের শপথ হচ্ছে, যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ও সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, আর বিলম্ব নয়, এখনই সবাইকে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে। আসুন আমরা সবাই একযোগে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি— এই হোক আজকে গণতন্ত্র দিবসে আমাদের শপথ। যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, যদি জনগণ ভোট দিতে যেতে পারে তাহলে তারা ১০টি আসনও পাবে না। সেজন্য তারা প্রশাসনকে নিজেদের মতো করে সাজাচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’র প্রধান আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিনকে কারাদÐ প্রদানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে যিনি কথা বলেছেন, তাকে কারাদÐ দেওয়া হয়েছে। সরকার এত ভীত যে, তাদের দুই বছর করে কারাদÐ দেওয়া হয়েছে। আজকে সারা বিশ্ব এই সরকারের নিন্দা জানিয়েছে এবং অবিলম্বে তাদেরকে মুক্ত করতে বলেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তারা রেজুলেশন করেছে যে, অবিলম্বে এই মামলা বাতিল করে তাদের মুক্ত করা হোক, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হোক এবং মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হোক। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছরে এ ফ্যাসিস্ট সরকার গোটা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ডিসি-এসপিদের নিজেদের মতো সাজিয়েছে। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যত পারো মামলা দাও। আজকে মামলাকে উপেক্ষা করে মানুষ রাজপথে নেমেছে। খালেদ জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলেও দাবি করেন তিনি। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। এতে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভ‚ঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।
লাগাতার আন্দোলনে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে : ১২ দলীয় জোট: বর্তমান সরকারের বিদায়ের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের নেতা বলেছেন, সামনে লাগাতার আন্দোলন আসছে। খুব শিগগিরই এই সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বরে) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে আয়োজিত সমাবেশে তারা এ কথা বলেন। ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে এক দফা দাবিতে এবং আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, এই সরকারের পতনের শেষ ঘণ্টা বেজে গেছে। আদিলুর রহমানকে দÐ দেওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারা হলো। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এই সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এসব করে শেষরক্ষা হবে না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। বর্তমান অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেজন্যই তারা নিশিরাতে ভোট করে ক্ষমতায় আছে। বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশ ও জাতি আজ চরম ক্রান্তিকালে উপনীত হয়েছে। কারণ বর্তমান বিনা ভোটের সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে। আবারও ভোট ছাড়াই নির্বাচন করলে তারা যা খুশী করবে। তবে এবার ডু অর ডাই। লাগাতার আন্দোলন আসছে। এছাড়া বিকল্প নেই। আমরা লড়াই করেই এই সরকারের পতন ঘটাব ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রধানসহ আরও অনেকে।