ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

সংসদে কণ্ঠ ভোটে ‘কণ্ঠ রুদ্ধ করার আইন’ পাস করা হয়েছে: বাসদ

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদে কণ্ঠ ভোটে ‘কণ্ঠ রুদ্ধ করার আইন’ পাস করা হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

গণতান্ত্রিক মহলের দাবি উপেক্ষা করে এবং তড়িঘড়ি করে সংসদের শেষ অধিবেশনে নিবর্তনমূলক সাইবার নিরাপত্তা বিল ২০২৩ পাস করার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, অতীতের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সাইবার নিরাপত্তা আইনটিও সমালোচনা, ভিন্নমত ও মুক্তচিন্তা দমনের ক্ষেত্রে সরকারের হাতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আইনের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার, ২৭ ও ৩২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১ কোটি টাকা জরিমানা এবং ১৪ বছর কারাদÐের বিধান, ২৮ ধারায় (ঘৃণ্য বøাসফেমি আইনের নবসংস্করণ) ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাতের শাস্তির নামে ২ বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাস্তবে সাংবাদিক ও সচেতন মানুষদের হয়রানির কাজে ব্যবহৃত হবে। ফলে সাইবার নিরাপত্তা নয়, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরুপদ্রæপ করাই এ আইন পাস করার অন্যতম উদ্দেশ্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতই অপরাধ চিহ্নিত করা ও হয়রানি করার সকল বিধান সন্নিবেশিত আছে এই আইনে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার প্রণীত আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা ব্যবহার করেছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিল আর আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে জনমত উপেক্ষা করে একই রকম নিবর্তনমূলক সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট কণ্ঠ ভোটে পাস করা হলো, যা মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হরণ করবে।
বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিবর্তনের আইন প্রণয়নে সরকার এত উদগ্রীব যে তাদের বন্ধুপ্রতিম সংগঠনসমূহের প্রতিবাদকেও অগ্রাহ্য করতে দ্বিধা করেনি। তিনি এই আইনসহ সকল নিবর্তনমূলক কালা-কানুন বাতিলের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল প্রগতিশীল গণতন্ত্রমনা দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানান।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংসদে কণ্ঠ ভোটে ‘কণ্ঠ রুদ্ধ করার আইন’ পাস করা হয়েছে: বাসদ

আপডেট সময় : ০২:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদে কণ্ঠ ভোটে ‘কণ্ঠ রুদ্ধ করার আইন’ পাস করা হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

গণতান্ত্রিক মহলের দাবি উপেক্ষা করে এবং তড়িঘড়ি করে সংসদের শেষ অধিবেশনে নিবর্তনমূলক সাইবার নিরাপত্তা বিল ২০২৩ পাস করার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, অতীতের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সাইবার নিরাপত্তা আইনটিও সমালোচনা, ভিন্নমত ও মুক্তচিন্তা দমনের ক্ষেত্রে সরকারের হাতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আইনের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার, ২৭ ও ৩২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১ কোটি টাকা জরিমানা এবং ১৪ বছর কারাদÐের বিধান, ২৮ ধারায় (ঘৃণ্য বøাসফেমি আইনের নবসংস্করণ) ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাতের শাস্তির নামে ২ বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাস্তবে সাংবাদিক ও সচেতন মানুষদের হয়রানির কাজে ব্যবহৃত হবে। ফলে সাইবার নিরাপত্তা নয়, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরুপদ্রæপ করাই এ আইন পাস করার অন্যতম উদ্দেশ্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতই অপরাধ চিহ্নিত করা ও হয়রানি করার সকল বিধান সন্নিবেশিত আছে এই আইনে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার প্রণীত আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা ব্যবহার করেছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিল আর আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে জনমত উপেক্ষা করে একই রকম নিবর্তনমূলক সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট কণ্ঠ ভোটে পাস করা হলো, যা মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হরণ করবে।
বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিবর্তনের আইন প্রণয়নে সরকার এত উদগ্রীব যে তাদের বন্ধুপ্রতিম সংগঠনসমূহের প্রতিবাদকেও অগ্রাহ্য করতে দ্বিধা করেনি। তিনি এই আইনসহ সকল নিবর্তনমূলক কালা-কানুন বাতিলের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল প্রগতিশীল গণতন্ত্রমনা দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানান।