ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

বিবিসি : রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া দ্বীপে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও তিনটি মনুষ্যবিহীন নৌযান দিয়ে শক্তিশালী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় অন্তত দুটি নৌযান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই ডজন মানুষ। রুশ নৌবহরের ওপর ইউক্রেনের অন্যতম সফল হামলা বলে ধরা হচ্ছে এটিকে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার ফলে সেভাস্টোপল শিপইয়ার্ডে বড় ধরনের অগ্নিকাÐ ঘটে। এতে ২৪ জন আহত হন। ক্রিমিয়ায় মস্কো-নিযুক্ত গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ দাবি করেছেন, ইউক্রেনের ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রই ধ্বংস করা হয়েছিল। তবে দুটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেন ইঙ্গিত দিয়েছে, হামলায় পশ্চিমা মিত্রদের সরবরাহ করা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল তারা। টেলিগ্রামে রাজভোজায়েভের শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা যায়, বন্দরে একটি জাহাজে আগুন জ্বলছে এবং তার পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ফোনে কথা বলছেন। ধারণা করা হয়, বন্দরের ওই জায়গাটিতে নৌযান মেরামতের কাজ চলে। ইউক্রেনীয় সামরিক গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ার একটি বিশাল উভচর জাহাজ এবং একটি সাবমেরিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী প্রধান মিকোলা ওলেশচুক টেলিগ্রামের এক পোস্টে ‘দারুণ যুদ্ধের’ জন্য তার পাইলটদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ওলেশচুকের পোস্ট থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হামলায় যুক্তরাজ্য বা ফ্রান্সের সরবরাহ করা স্টর্ম শ্যাডো/স্কালপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫০ মাইলেরও বেশি। ইউক্রেন এতদিন যে ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছিল, তার চেয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অন্তত তিনগুণ দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলার ক্ষেত্রে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা এটাই প্রথম। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের ছোড়া ১০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে সাতটি এবং মনুষ্যবিহীন তিনটি নৌযানই ধ্বংস করা হয়েছে।
অর্থাৎ, অন্তত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছিল। এ ধরনের ঘটনা মস্কোর জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট সময় : ০১:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিবিসি : রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া দ্বীপে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও তিনটি মনুষ্যবিহীন নৌযান দিয়ে শক্তিশালী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় অন্তত দুটি নৌযান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই ডজন মানুষ। রুশ নৌবহরের ওপর ইউক্রেনের অন্যতম সফল হামলা বলে ধরা হচ্ছে এটিকে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার ফলে সেভাস্টোপল শিপইয়ার্ডে বড় ধরনের অগ্নিকাÐ ঘটে। এতে ২৪ জন আহত হন। ক্রিমিয়ায় মস্কো-নিযুক্ত গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ দাবি করেছেন, ইউক্রেনের ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রই ধ্বংস করা হয়েছিল। তবে দুটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেন ইঙ্গিত দিয়েছে, হামলায় পশ্চিমা মিত্রদের সরবরাহ করা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল তারা। টেলিগ্রামে রাজভোজায়েভের শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা যায়, বন্দরে একটি জাহাজে আগুন জ্বলছে এবং তার পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ফোনে কথা বলছেন। ধারণা করা হয়, বন্দরের ওই জায়গাটিতে নৌযান মেরামতের কাজ চলে। ইউক্রেনীয় সামরিক গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ার একটি বিশাল উভচর জাহাজ এবং একটি সাবমেরিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী প্রধান মিকোলা ওলেশচুক টেলিগ্রামের এক পোস্টে ‘দারুণ যুদ্ধের’ জন্য তার পাইলটদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ওলেশচুকের পোস্ট থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হামলায় যুক্তরাজ্য বা ফ্রান্সের সরবরাহ করা স্টর্ম শ্যাডো/স্কালপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫০ মাইলেরও বেশি। ইউক্রেন এতদিন যে ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছিল, তার চেয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অন্তত তিনগুণ দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলার ক্ষেত্রে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা এটাই প্রথম। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের ছোড়া ১০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে সাতটি এবং মনুষ্যবিহীন তিনটি নৌযানই ধ্বংস করা হয়েছে।
অর্থাৎ, অন্তত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছিল। এ ধরনের ঘটনা মস্কোর জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।