ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

এক সেলফিতেই বিএনপি নেতাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে: কাদের

  • আপডেট সময় : ০২:০১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময় বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নয়া দিল্লির একটি সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে এবং তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন কাকে দেখাবে, কে নিষেধাজ্ঞা দেবে, কে ভিসানীতি দেবে? এসব আমরা ভয় পাই না। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, ওদের (বিএনপি) তো নেতা নেই। আজকে লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক করেছেন… দিন যায়, মাস যায়, দেখতে দেখতে ১৫ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপি মানুষের মনে আস্থা রাখতে পারছে না।’
অর্থ খরচ করে ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি কেনা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি একেক সময় একেক জায়গায় ভর করে। হঠাৎ দেখলাম ইউনূস সাহেবের জন্য ১৬০ জনের বিশাল চিঠি। এই চিঠির দাম কত? এই স্টেটমেন্টের দাম দুই মিলিয়ন ডলার। ওই চিঠি কিনতে দুই মিলিয়ন ডলার লেগেছে। কোথায় পান এত টাকা? শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে এগুলো চলছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেন আওয়ামী লীগ ড. ইউনূসকে অপমান করে এবং নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত গণ্যমাণ্য ব্যক্তিকে ছোট করে। যে মানুষ শহীদ মিনারে আসে না, স্মৃতিসৌধে আসে না, ১৫ আগস্টে কোনো শোক প্রকাশ নেই, এমনকি জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নেই…. তিনি তো আমাদের দুঃখ-কষ্টে নেই, তাহলে তিনি মানুষকে আপন ভাববেন কী করে? আমাদের জন্য তার কোনো দরদ নেই। দেশের কোনো সংকটে তার কোনো অবদান নেই। তাহলে আমরা তাকে কেন ভালোবাসবো?’
‘নোবেল বিজয়ী হয়েও তিনি আমাদের দেশের কোনো দুঃখ-কষ্টে নেই। তার জন্য বিএনপির এত মায়াকান্না কেন আমি জানতে চাই? তারা ভেবেছে ওয়ান ইলেভেনের মতো একটি নাগরিক কমিটি করে সুশীল সরকার গঠন করবে। সেদিন চলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ কাকে ভোট দেবে সেটি তারা মনে মনে ঠিক করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দল নয়, সা¤প্রদায়িক দল নয় ও অপকর্মের দল নয়। আওয়ামী লীগ সত্য ও জনগণের পক্ষে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সুদৃঢ় অবস্থানের জানান দিতে পারে।’
‘বিএনপির আন্দোলনে জনগণ নেই। শুধু আছে নেতাকর্মী। বিএনপি নেতারা কর্মীদেরকে আশ্বাস দিচ্ছে যে— ভয় পেয়ো না আমেরিকা ও ইউরোপ আছে। তারা কর্মীদের কত কথা শোনাচ্ছে! অথচ একটি সেলফি দেখে কর্মীরা আর আশা রাখতে পারছে না।’
যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কার্যক্রম রাজনীতিতে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাÐে বেশ ভালো কাজ। এখানে যারা আসে তারা সারাজীবন যুবলীগ করবে না। খারাপ যুবক আমাদের প্রয়োজন নেই। খারাপ ২০ জনের চেয়ে ভালো দুইজন অনেক ভালো। খারাপরা নিজের অর্জনকে বিসর্জন দেয়। খারাপ আচরণের জন্য আমাদেরকে মানুষের কাছে ছোট করে। আমরা জনগণের দল, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণকে ভালোবাসি।’
‘আমি তো মনে করি যুবলীগ রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে এক বৈশাখী ঝড়। নেত্রী কোনো ভুল করেননি। এখন পর্যন্ত যুবলীগ আন্দোলন-সংগ্রামে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ। যুবলীগ এখন পর্যন্ত অন্য সংগঠনের অনুকরণীয়। যুবলীগের ভালো কাজের প্রশংসা হওয়া উচিত। তাহলে আরও বেশি করে ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবে।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান ভালো বক্তৃতা দেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। গৎবাঁধা কথা এখন আর কেউ শুনতে চায় না। কথা বলতে হবে রাজনীতির বস্তুগত প্রস্তুতি, সুসংগঠিত প্রস্তুতির আলোকে… বঙ্গবন্ধু ও আমাদের নেত্রীর উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের আলোকে বক্তৃতা দিতে হবে।’ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক সেলফিতেই বিএনপি নেতাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে: কাদের

আপডেট সময় : ০২:০১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময় বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নয়া দিল্লির একটি সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে এবং তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন কাকে দেখাবে, কে নিষেধাজ্ঞা দেবে, কে ভিসানীতি দেবে? এসব আমরা ভয় পাই না। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, ওদের (বিএনপি) তো নেতা নেই। আজকে লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক করেছেন… দিন যায়, মাস যায়, দেখতে দেখতে ১৫ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপি মানুষের মনে আস্থা রাখতে পারছে না।’
অর্থ খরচ করে ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি কেনা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি একেক সময় একেক জায়গায় ভর করে। হঠাৎ দেখলাম ইউনূস সাহেবের জন্য ১৬০ জনের বিশাল চিঠি। এই চিঠির দাম কত? এই স্টেটমেন্টের দাম দুই মিলিয়ন ডলার। ওই চিঠি কিনতে দুই মিলিয়ন ডলার লেগেছে। কোথায় পান এত টাকা? শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে এগুলো চলছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেন আওয়ামী লীগ ড. ইউনূসকে অপমান করে এবং নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত গণ্যমাণ্য ব্যক্তিকে ছোট করে। যে মানুষ শহীদ মিনারে আসে না, স্মৃতিসৌধে আসে না, ১৫ আগস্টে কোনো শোক প্রকাশ নেই, এমনকি জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নেই…. তিনি তো আমাদের দুঃখ-কষ্টে নেই, তাহলে তিনি মানুষকে আপন ভাববেন কী করে? আমাদের জন্য তার কোনো দরদ নেই। দেশের কোনো সংকটে তার কোনো অবদান নেই। তাহলে আমরা তাকে কেন ভালোবাসবো?’
‘নোবেল বিজয়ী হয়েও তিনি আমাদের দেশের কোনো দুঃখ-কষ্টে নেই। তার জন্য বিএনপির এত মায়াকান্না কেন আমি জানতে চাই? তারা ভেবেছে ওয়ান ইলেভেনের মতো একটি নাগরিক কমিটি করে সুশীল সরকার গঠন করবে। সেদিন চলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ কাকে ভোট দেবে সেটি তারা মনে মনে ঠিক করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দল নয়, সা¤প্রদায়িক দল নয় ও অপকর্মের দল নয়। আওয়ামী লীগ সত্য ও জনগণের পক্ষে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সুদৃঢ় অবস্থানের জানান দিতে পারে।’
‘বিএনপির আন্দোলনে জনগণ নেই। শুধু আছে নেতাকর্মী। বিএনপি নেতারা কর্মীদেরকে আশ্বাস দিচ্ছে যে— ভয় পেয়ো না আমেরিকা ও ইউরোপ আছে। তারা কর্মীদের কত কথা শোনাচ্ছে! অথচ একটি সেলফি দেখে কর্মীরা আর আশা রাখতে পারছে না।’
যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কার্যক্রম রাজনীতিতে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাÐে বেশ ভালো কাজ। এখানে যারা আসে তারা সারাজীবন যুবলীগ করবে না। খারাপ যুবক আমাদের প্রয়োজন নেই। খারাপ ২০ জনের চেয়ে ভালো দুইজন অনেক ভালো। খারাপরা নিজের অর্জনকে বিসর্জন দেয়। খারাপ আচরণের জন্য আমাদেরকে মানুষের কাছে ছোট করে। আমরা জনগণের দল, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণকে ভালোবাসি।’
‘আমি তো মনে করি যুবলীগ রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে এক বৈশাখী ঝড়। নেত্রী কোনো ভুল করেননি। এখন পর্যন্ত যুবলীগ আন্দোলন-সংগ্রামে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ। যুবলীগ এখন পর্যন্ত অন্য সংগঠনের অনুকরণীয়। যুবলীগের ভালো কাজের প্রশংসা হওয়া উচিত। তাহলে আরও বেশি করে ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবে।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান ভালো বক্তৃতা দেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। গৎবাঁধা কথা এখন আর কেউ শুনতে চায় না। কথা বলতে হবে রাজনীতির বস্তুগত প্রস্তুতি, সুসংগঠিত প্রস্তুতির আলোকে… বঙ্গবন্ধু ও আমাদের নেত্রীর উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের আলোকে বক্তৃতা দিতে হবে।’ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।